মুম্বাইয়ে ভারতীয় রাজনীতিবিদ বাবা সিদ্দিককে গুলি করে হত্যা
ভারতের মুম্বাইয়ে শনিবার (১২ অক্টোবর) রাতে মহারাষ্ট্রের তিনবারের বিধায়ক ও সাবেক মন্ত্রী বাবা সিদ্দিককে (৬৬) গুলি করে খুন করা হয়েছে।
শনিবার রাতে মুম্বাইয়ে তার ছেলের অফিসের বাইরে তার ওপর একাধিক গুলি চালানো হয়। পরে নগরীর লীলাবতী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুইজনকে আটক করা হয়েছে।
সাবেক মন্ত্রী এবং মহারাষ্ট্র রাজ্যের রাজনীতির গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব সিদ্দিক সম্প্রতি কংগ্রেস পার্টি থেকে ক্ষমতাসীন বিজেপি জোটের অংশ আঞ্চলিক জাতীয় কংগ্রেস পার্টিতে (এনসিপি) যোগ দিয়েছেন।
হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পূর্ণ তদন্তের প্রতিশ্রুতি রাজ্য দিলেও বিরোধী দলগুলো গুরুতর নিরাপত্তা ব্যবস্থার ত্রুটির জন্য সরকারকে দোষারোপ করেছে।
হত্যার উদ্দেশ্য স্পষ্ট না হলেও এরই মধ্যে পুলিশ সন্দেহভাজন দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে এবং তৃতীয় সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে।
কিছু প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বন্দুকধারীরা কুখ্যাত অপরাধী লরেন্স বিষ্ণোইয়ের নেতৃত্বাধীন একটি গ্যাংয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে পারে। ২০২২ সালে র্যাপার সিধু মুসে ওয়ালাসহ বেশ কয়েকটি হত্যাকাণ্ডের জড়িত থাকার অপরাধে বর্তমানে কারাগারে বন্দী আছেন লরেন্স বিষ্ণোই।
এক সপ্তাহ আগে সিদ্দিককে হত্যার হুমকির প্রেক্ষিতে নিরাপত্তা বাড়ানোর পর তাকে হত্যা করল বন্দুকধারীরা।
সিদ্দিক বেশ কয়েকজন বলিউড সুপারস্টারের ঘনিষ্ঠ ছিলেন এবং বিলাসবহুল পার্টি আয়োজনের জন্য সুপরিচিত ছিলেন।
মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী ও সিদ্দিকের এনসিপি পার্টির প্রধান অজিত পাওয়ার বলেছেন, তিনি এই হত্যাকাণ্ডে 'স্তম্ভিত'।
তিনি এই 'কাপুরুষোচিত হামলার নিন্দা জানিয়েছেন।'
এক্স-এ দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, 'এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই হামলার পেছনের মাস্টারমাইন্ডকেও খুঁজে বের করা হবে।'
তিনি আরও বলেন, 'এটা বিভাজনের সময় নয় বা রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য অন্যের বেদনাকে কাজে লাগানোর সময় নয়। এই মুহূর্তে আমাদের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা।'
ভাবানুবাদ: তাবাসসুম সুইটি