শঙ্কা উড়িয়ে মুমিনুল বললেন, সাকিব খেলবেন
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্টে সাকিব আল হাসানের খেলা নিয়ে ধোঁয়াশা ছিল। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় তার ফিটনেস সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে চেয়েছিল বাংলাদেশ দলের টিম ম্যানেজমেন্ট। যে কারণে শনিবারের অনুশীলন ছিল সাকিবের জন্য এক ধরনের পরীক্ষা। কিন্তু এদিন সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক জানিয়ে দিলেন সাকিব প্রথম টেস্টে খেলছেন।
শনিবার দলের সঙ্গে মাঠে আসেন সাকিব। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সকাল ১০টার আগেই শুরু হয় অনুশীলন। কিছুক্ষণ পরই নেটে ব্যাটিং অনুশীলন করেন সাকিব। বৃষ্টির কারণে ৩০ মিনিটের বেশি ব্যাটিং করার সুযোগ হয়নি অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডারের। তবে পাশের নেটে থাকা মুমিনুল এই ৩০ মিনিটের ব্যাটিং দেখেই বুঝে ফেলেছেন, খেলার জন্য সাকিব শতভাগ ফিট।
ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে সাকিবের খেলার বিষয়ে মুমিনুল বলেন, 'দেখে তো ভালো মনে হলো (সাকিবের ব্যাটিং)। ব্যাটিং তো ভালোই করলেন আমার কাছে মনে হয়। খেলবে, খেলবে ইনশা আল্লাহ।' ব্যাটিং করলেও এদিন বোলিং করতে দেখা যায়নি সাকিবকে। এমনকি অনুশীলনে ফিটনেস নিয়েও কাজ করেননি তিনি। কিন্তু ব্যাটিং দেখেই মুমিনুলের মনে হয়েছে, সাকিব খেলার অবস্থায় আছেন।
বাংলাদেশের প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো আগের দিন জানিয়েছেন, ৫০ বা ৬০ শতাংশ ফিট খেলোয়াড়কে দিয়ে টেস্ট ম্যাচ খেলানো কঠিন। এ কারণে পুরো ফিট সাকিবকে চান তিনি। মুমিনুলকে প্রশ্ন করা হয়েছিল সাকিবকে ৭০ ভাগের বেশি ফিট মনে হয়েছে কিনা? উত্তরে তিনি বলেন, 'আমার কাছে তাই মনে হয়েছে। সাকিব ভাইয়ের সাইকোলজি অনেক শক্তিশালী। উনি যদি চায় উনি খেলতে পারবেন। আপনারও জানেন। আমার কাছে ওটা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।'
৭০ ভাগ নয়, সাকিবকে দেখে ম্যাচ খেলার জন্য শতভাগ ফিট মনে হয়েছে মুমিনুলের। টেস্ট অধিনায়কের ভাষায়, 'একটা খেলোয়াড়ের ব্যাটিং দেখলেই তার সাইকোলজি অনেক কিছু বোঝা যায়। আপনারাই মনে হয় আমার থেকে বেশি দেখেছেন। আমি তো আমার ব্যাটিং নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। আপনারা ভালো দেখেছেন, বুঝতে পারবেন। উনি শতভাগ ফিট। অধিনায়ক হিসেবে মনে হয়, খেলার জন্য ফিট আছেন।'
শনিবারের অনুশীলনে দলের সঙ্গে মাঠে নামের সাকিব। মাঠে নেমে প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর সঙ্গে সারেন কুশলাদি। এরপর টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদের সঙ্গে কিছুক্ষণ আলোচনা হয় তার। কিছুক্ষণ পর ব্যাট-প্যাড পরে নেটের পাশে হাজির বিশ্বের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডার।
জহুর আহমেদের দক্ষিণ পাশের দুই নেটে তখন ব্যাটিং ঝালাই করে নিচ্ছেন ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় ও মুশফিকুর রহিম। সাকিবকে অপেক্ষায় থাকতে হয় ১০-১২ মিনিটের মতো। এরপর জয় নেট ছাড়লে ব্যাটিং দিয়ে অনুশীলন শুরু করেন সাকিব। থ্রো ডাউনে চালাতে থাকেন ব্যাটিং। বৃষ্টি নামার আগ পর্যন্ত দুই দফায় ৩০ মিনেটের মতো ব্যাটিং করেন তিনি। কিছুক্ষণ পর বৃষ্টি থামলেও ব্যাটিং বা বোলিং করেননি বাংলাদেশ প্রাণ ভোমরা। বাংলাদেশ দলও আর অনুশীলন করেনি।