দুবাইয়ে প্রথমবারের মতো ভবন রাঙাবে রংমিস্ত্রী রোবট
রোবট আবিষ্কারের পর থেকে মানুষ যেন এই যন্ত্রটির পিছুই ছাড়ছে না। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, শিল্পকারখানার ভারী কাজ, যুদ্ধাস্ত্র চালানো থেকে শুরু করে বাসাবাড়ির আয়ার কাজেও খাটানো হচ্ছে একে। রোবটকে দিয়ে আর কী করানো যায়, মানুষের যেন প্রতিনিয়ত ভাবনাই এটি। এবার দুবাই তাদের বড় বড় বিল্ডিংগুলো রং করানোর কাজে মানুষের বদলে প্রথমবারের মতো রোবট ব্যবহার শুরু করতে যাচ্ছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাত ভিত্তিক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইমার দুবাইয়ে তাদের বিলাসবহুল আবাসিক প্রকল্পগুলোতে রং করানোর কাজে রোবট ব্যবহার করবে।
এই কাজে সিঙ্গাপুরভিত্তিক প্রতিষ্ঠান মাইরোর ডিজাইন করা রোবট ব্যবহার করা হবে। মাইরো মূলত বিল্ডিং নির্মাণ শিল্পে রোবটিক পণ্য ও স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র সরবরাহ করার জন্য বিশ্বে পরিচিত। এটি বেসরকারি বিনোয়োগ কোম্পানি মোজে হোল্ডিং লিমিটেডের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান।
প্রথম স্তরের পরীক্ষা করার জন্য মাইরোর রোবটগুলো বর্তমানে ইমারের আবাসিক প্রকল্পগুলোতে স্থাপন করা হয়েছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে রোবট আসলেই মানুষের মতো রং করতে পারে কি না।
পরীক্ষায় দেখা গেছে, এই রোবটগুলো ঘণ্টায় প্রায় ১০ হাজার বর্গফুট রং করতে সক্ষম; যা মানুষের চেয়ে ১০ গুণ দ্রুত।
সাধারণত ভবনের একটি অ্যাপার্টমেন্ট রং করতে চারজন মানুষের পুরো একদিন সময় লাগে। সেখানে মাইরোর এই রোবট সেই পরিমাণ কাজ করতে পারে ৪ ঘণ্টায়।
এই রোবটগুলোর উচ্চ কর্মক্ষমতা ও গুণাগুণ দেখে ইমার কোম্পানি তাদের বিলাসবহুল বিল্ডিংগুলোর একটির রং করানো কাজ রোবট দিয়ে করাবে।
ভবিষ্যতে কতগুলো কাজে কী পরিমাণ রোবট নিয়োগ করা যায়, ইমার ও মাইরো ইন্টারন্যাশনাল বর্তমানে তা পরিকল্পনা করছে।
মোজের প্রোডাক্ট অফিসার শ্রীকর রেড্ডি বলেন, 'নির্মাণ শিল্পে কার্যক্ষমতা বা উৎপাদনশীলতা একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। ঠিকারদারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিকদের সাথে আলোচনা করে এই প্রক্রিয়াকে আরও ত্বরান্বিত করার জন্য মাইরোকে উন্নত করা হচ্ছে। আমরা ইমার প্রোপার্টিজের সাথে কাজ করতে পেরে খুবই আনন্দিত। নিমার্ণ শিল্পকে কীভাবে আরও বেশি স্বয়ংক্রিয় করা যায়, সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি।'
- সূত্র: আরব নিউজ