ঝিনাইদহে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১০, আহত ৩০

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে যাত্রীবাহী বাস ও ট্রাকের সংঘর্ষে বাস উল্টে বুধবার ১০ জন নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৩০ জন। বিকাল ৩টার দিকে যশোর-ঝিনাইদহ সড়কের বারোবাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
হতাহতদের নাম ও পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গড়াই পরিবহনের একটি বাস যাত্রী নিয়ে কুষ্টিয়ার দিকে যাচ্ছিল। বাসটি বারোবাজার পার হয়ে আমজাদ আলী ফিলিং স্টেশনের সামনে পৌঁছালে বিপরীত থেকে আসা একটি ট্রাকের সাথে হালকা সংঘর্ষ হয়। এতে যাত্রীবাহী বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার ওপর আড়াআড়ি হয়ে উল্টে পড়ে।
কালীগঞ্জ দমকল বাহিনীর স্টেশন অফিসার মামুনুর রশিদ বলেন, 'আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে ১০ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছি। বাসটি রাস্তার ওপর উল্টে পড়ে ছিল। পুলিশ ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় বাসের ভেতর থেকে হতাহতদের উদ্ধার করি। আহতদের কালীগঞ্জ ও যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।'
চলতি বছরের জানুয়ারিতে সারা দেশে ৪২৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ৪৮৪ জন নিহত এবং ৬৭৩ জন আহত হয়েছেন।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের (আরএসএফ) তথ্যমতে, গত বছরের একই সময়ের তুলনায় সড়ক দুর্ঘটনা ২৫.৫৮ শতাংশ এবং হতাহতের সংখ্যা ৮.৭৬ শতাংশ বেড়েছে।
গত শনিবার আরএসএফ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত বছরের জানুয়ারিতে ৩৪০টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৪৫ জন নিহত হন।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ জানুয়ারির মধ্যে সারা দেশে ১৫৯টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৬৮ জন মারা গেছেন, যা মোট নিহতের ৩৪ শতাংশ এবং মোট দুর্ঘটনার ৩৭.২৩ শতাংশ।
যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৫৩ জন, যা মোট হতাহতের ১০ দশমিক ৯৫ শতাংশ।
চারটি নৌ দুর্ঘটনায় সাতজন নিহত, চারজন আহত এবং ছয়জন নিখোঁজ রয়েছেন। একই সময়ে ১১টি রেল দুর্ঘটনায় ১৪ জন নিহত এবং ছয়জন আহত হয়েছেন।
১৫৩টি দুর্ঘটনা (৩৫.৮৩ শতাংশ) মহাসড়কে, ১০৭টি দুর্ঘটনা (২৫.০৫ শতাংশ) আঞ্চলিক সড়কে এবং ১১টি দুর্ঘটনায় (২.৫৭ শতাংশ) অন্যান্য সড়কে ঘটেছে।
ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটেছে। সবচেয়ে কম দুর্ঘটনা ঘটেছে সিলেট বিভাগে।
দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, বেপরোয়া গতি, দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাসহ সড়ক দুর্ঘটনায় ১০টি প্রধান কারণ চিহ্নিত করা হয়েছে।
আরএসএফ সাতটি জাতীয় দৈনিক, পাঁচটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমের তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে।