একে-অপরের কর্মী ছিনিয়ে নেবেন না! আদানি-আম্বানির গোপন চুক্তি
ভারতের দুই শীর্ষ বিলিয়নিয়ার গৌতম আদানি ও মুকেশ আম্বানি। অনেক খাতেই একে-অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী এই দুই শতকোটিপতি; স্বাভাবিকভাবেই তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী ব্যবসায়িক সংগঠনগুলো একে অপরের প্রতিভাবান কর্মীদের নিজেদের দিকে টানতে চাইবে।
তবে এখন থেকে সেই প্রতিদ্বন্দ্বিতার পথে হাঁটবেন না আম্বানি-আদানিরা। গৌতম আদানির নেতৃত্বাধীন আদানি গ্রুপ এবং মুকেশ আম্বানির রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ একে অপরের থেকে প্রতিভাবান কর্মী ছিনিয়ে না নেওয়ার জন্য চুক্তি করেছে বলে জানা গিয়েছে।
বিজনেস ইনসাইডারের এক রিপোর্ট অনুযায়ী, চলতি বছরের মে মাস থেকেই কার্যকর হয়েছে দুই গোষ্ঠীর 'নো-পোচিং চুক্তি'। এই চুক্তি আম্বানি এবং আদানির মালিকানাধীন সকল সংস্থার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।
আদানি গ্রুপ মূলত বিদ্যুৎ, বন্দর, বিমানবন্দর, পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি এবং সৌর শক্তি সেক্টরে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করেছে। এদিকে আদানি গ্রুপ সম্প্রতি পেট্রোকেমিক্যাল সেগমেন্টে প্রবেশ করেছে। এই খাতে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ শীর্ষে রয়েছে বর্তমানে।
এদিকে আম্বানির ভায়াকম মিডিয়া ব্যবসায় রয়েছে দীর্ঘদিন। একাধিক টিভি চ্যানেলের মালিক আম্বানির রিলায়েন্স গোষ্ঠী। পাশাপাশি সিনেমাতে বিনিয়োগ করে ভায়াকম। এদিকে আদানি সম্প্রতি এনডিটিভি শেয়ার নিজের নামে করেছেন। সংস্থার রাশ নিজের হাতে নিতে এনডিটিভির আরও শেয়ার কিনতে কোমর কষছেন গৌতম আদানি।
পাশাপাশি খুচরা পণ্যের ব্যবসায় আদানি এবং আম্বানি নিজেদের জমি পোক্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। সম্প্রতি খুচরা ব্যবসার প্রসার ঘটাতে ৫ বিলিয়ন ডলার মূল্যের বিনিয়োগ লাভ করেছে আইপিও-র মাধ্যমে। অপরদিকে রিলায়েন্সও খুচরা ব্যবসায় নিজেদের প্রসার ঘটানোর নীল নকশা তৈরির ঘোষণা করেছে। মুকেশ আম্বানির মেয়ে সেই প্রজেক্টের দায়িত্বে থাকবেন।
সম্প্রতি গৌতম আদানি বিশ্বের দ্বিতীয় ধনীতম ব্যক্তি হয়েছেন। মুকেশ আম্বানিকে পিছনে ফেলে নিজের মুকুটে এই পালক জুড়েছেন আদানি। আদানির মোট সম্পত্তির পরিমাণ ১৫,৩৫০ কোটি ডলার। অন্যদিকে বর্তমানে মুকেশ আম্বানির মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৯,১৪০ কোটি ডলার। বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তিদের তালিকায় বর্তমানে অষ্টম স্থানে আছেন আম্বানি।