গাজায় ইসরায়েলি হামলায় পিআইজে'র শীর্ষস্থানীয় নেতাসহ ২৯ ফিলিস্তিনি নিহত

গাজা উপত্যকায় দ্বিতীয় দিনের মতো ইসরায়েলি বিমান হামলায় ছয় শিশুসহ ২৯ ফিলিস্তিনি নাগরিক নিহত হয়েছে, খবর বিবিসির।
নিহতদের মধ্যে ফিলিস্তিনি ইসলামী জিহাদ গ্রুপ (পিআইজে)-এর নেতা খালেদ মনসুর ও তাইসির জাবারি-সহ দলের একাধিক সদস্য রয়েছেন। ইসরায়েলের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গেল শুক্রবার থেকে এখন পর্যন্ত চারশো রকেট ও মর্টার নিক্ষেপ করেছে ফিলিস্তিন। ইসরায়েল বলছে, পিআইজে'র কাছ থেকে 'তাৎক্ষণিক হুমকি' পাওয়ায় তারা এই অভিযান শুরু করেছে।
২০২১ সালের মে মাসে টানা ১১ দিনের সংঘাতের পর এটিই ইসরায়েল-গাজার মধ্যে সবচেয়ে গুরুতর সংঘাত। গত বছরের ঐ সংঘাতে ২০০ ফিলিস্তিনি ও ডজনখানেক ইসরায়েলি নাগরিক নিহত হন।
ইসরায়েল তাদের এই চলমান অভিযানের নাম দিয়েছে 'ব্রেকিং ডন'। এ অভিযান এক সপ্তাহ ধরে চলতে পারে বলে ইতোমধ্যেই সতর্ক করেছে দেশটি।
শনিবার সংঘাতের দ্বিতীয় দিনে দক্ষিণ গাজার রাফাহ শহরের একটি বাড়িতে বিমান হামলা চালিয়ে পিআইজে'র নেতা খালেদ মনসুরকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। উল্লেখ্য, এর আগে পাঁচ বার ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হত্যা প্রচেষ্টার হাত থেকে বেঁচে এসেছিলেন পিআইজে'র এই নেতা। তার বিরুদ্ধে গাজা থেকে জঙ্গি অভিযান পরিচালনা করার অভিযোগ এনেছিল ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। এর আগে শুক্রবার ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত হন পিআইজে'র আরেক কমান্ডার তাইসির জাবারি।
এদিকে গাজায় বিমান হামলার পাশাপাশি, অধিকৃত পশ্চিম তীরে অভিযানে পিআইজের ১৯ জন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও দাবি করেছে ইসরায়েল।
ফিলিস্তিনিদের মৃত্যু এবং ২০৩ জন আহত হওয়ার পেছনে 'ইসরায়েলি আগ্রাসন'কে দায়ী করেছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।