‘রাষ্ট্রপত্নী’ মন্তব্যে এবার লিখিত ক্ষমা চাইলেন অধীর চৌধুরী
ভারতের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে 'রাষ্ট্রপত্নী' বলে উল্লেখ করায় এবার লিখিতভাবে ক্ষমা চাইলেন কংগ্রেস সংসদ সদস্য অধীর রঞ্জন চৌধুরী।
তিনি লিখেছেন, তার 'মুখ ফস্কে' এই শব্দ বেরিয়ে গিয়েছিল।
মনের ভুলে এ কথা বলেছেন উল্লেখ করে অধীর লিখেন, "ভুল করে যথার্থ নয় এমন একটি শব্দ দিয়ে আপনার [দ্রৌপদী মুর্মু] পদবী উল্লেখ করেছিলাম। আমি নিশ্চিতভাবে বলছি এটা স্লিপ অব দ্য টাং ছিল। আমি ক্ষমা চাইছি আপনার কাছে।"
একটি টিভি ইন্টারভিউতে তিনি রাষ্ট্রপতি সম্পর্কে অসংসদীয় শব্দটি ব্যবহার করেন।
এ মন্তব্যের পর বিজেপি সরাসরি দাবি করে, সোনিয়া গান্ধীকে ক্ষমা চাইতে হবে। এরপর সোনিয়া গান্ধী জানান অধীররঞ্জন ইতোমধ্যেই ক্ষমা চেয়েছেন। কিন্তু তারপরও বিক্ষোভ থামেনি।
অধীর রঞ্জন চৌধুরীর এই মন্তব্য নিয়ে সোনিয়া গান্ধীকে উদ্দেশ্য করে ভারতের নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি বলেন, "দেশের সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদে থাকা একজন নারীকে অপমান করার অনুমোদন দিয়েছেন সোনিয়া গান্ধী।" একইসঙ্গে তাকে আদিবাসী-বিরোধী, দলিত-বিরোধী ও নারী-বিরোধী বলেও আখ্যা দেন কেন্দ্রীয় এই মন্ত্রী।
এদিকে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনও সংসদ চত্বরে প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে বিক্ষোভ দেখান। তিনি বলেন ইচ্ছাকৃতভাবেই লিঙ্গ বৈষম্যমূলক মন্তব্য করেছেন অধীর রঞ্জন। এরজন্য কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধীরও দলের তরফ থেকে রাষ্ট্রপতি ও দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত বলে তিনি মন্তব্য করেন।
আরো পড়ুন: 'রাষ্ট্রপত্নী' মন্তব্যে উত্তাল ভারতের রাজনীতি
লিখিতভাবে ক্ষমা চাওয়ার আগে অধীর রঞ্জন চৌধুরী জানিয়েছিলেন, তিনি মুখ ফসকে 'রাষ্ট্রপত্নী' বলে ফেলেছেন। বিজেপি তিলকে তাল বানাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি দাবি করেন বিজেপি মূল্যস্ফীতি, জিএসটি, অগ্নিপথ স্কিম, বেকারত্ব ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু থেকে মনোযোগ সরাতেই এসব করছে।
নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে প্রকাশিত এক ভিডিও বিবৃতিতে তিনি বলেন, "ভারতের রাষ্ট্রপতি যেই হোক, ব্রাহ্মণ কিংবা আদিবাসী- আমাদের জন্য তিনি রাষ্ট্রপতিই। আমাদের কাছে পদটি অত্যন্ত সম্মানজনক।"
"গতকাল বিজয় চকে বিক্ষোভ করার সময় সাংবাদিকরা জিজ্ঞেস করেন আমরা কী চাই। তখন মুখ ফসকে রাষ্ট্রপতির পরিবর্তে 'রাষ্ট্রপত্নী'র বাড়ি যাওয়ার কথা বলে ফেলি। রিপোর্টার আমাকে সেটা ধরিয়ে দিলে তখনই ভুলবশত বলে ফেলার কথা স্বীকার করি। এটা তারা প্রচার না করলেই ভালো হতো। বিজেপি এখন এই সামান্য বিষয় নিয়ে হাঙ্গামা করছে। আমি ভুল করেছি, তবে একবারই, একটি মাত্র শব্দ।"