ফাঁকা শ্রেণীকক্ষের ভার বইছে অর্থনীতি | The Business Standard
Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • চাকরি
  • অন্যান্য
  • English
The Business Standard বাংলা
tbs
FRIDAY, APRIL 23, 2021
FRIDAY, APRIL 23, 2021
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • চাকরি
  • অন্যান্য
  • English
ফাঁকা শ্রেণীকক্ষের ভার বইছে অর্থনীতি

মতামত

শাখাওয়াত লিটন
27 January, 2021, 02:40 am
Last modified: 27 January, 2021, 11:52 am

Related News

  • করোনায় নতুন করে দারিদ্র্য সীমার নিচে দুই কোটি ৪৫ লাখ মানুষ
  • মহামারীর মধ্যেও এসএসসির ফরম পূরণে অতিরিক্ত ফি চাপিয়ে দিচ্ছে বিদ্যালয়গুলো 
  • শিক্ষাখাতে মহামারির ক্ষতি পুষিয়ে নিতে অতিরিক্ত বরাদ্দের আবেদন মন্ত্রণালয়ের
  • ৩০ মার্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার আগে জরুরি নির্দেশনা 
  • দেশের নগরবাসী শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যে তীব্র প্রভাব ফেলেছে মহামারি

ফাঁকা শ্রেণীকক্ষের ভার বইছে অর্থনীতি

স্কুল বন্ধের অর্থনৈতিক প্রভাব নিয়ে অনেক গবেষণাই হয়েছে। সবগুলো গবেষণাই বলছে, এর ফলে অর্থনীতিতে যে ক্ষতি হবে, তা ব্যাপক।
শাখাওয়াত লিটন
27 January, 2021, 02:40 am
Last modified: 27 January, 2021, 11:52 am

বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় যখন দেশে দেশে স্কুলগুলো বন্ধ হয়ে গিয়েছিল তখন এর প্রভাব নিয়ে একটি গবেষণা করেছিলেন যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক সাইমন রেন-লুইস। গত বছরের মার্চে করা সেই গবেষণায় তিনি দেখিয়েছিলেন, মাত্র চার সপ্তাহের জন্য যুক্তরাজ্যের স্কুলগুলো বন্ধ থাকলে দেশটির জিডিপি ৩ শতাংশ কমতে পারে, যার পরিমাণ হবে কয়েক বিলিয়ন পাউন্ড।

যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতিবিদ এরিক হানুশেক এবং জার্মানির ইউনিভার্সিটি অব মিউনিখের অধ্যাপক লুজার উজম্যান ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে প্রকাশ করা তাদের এক গবেষণার ফলাফলে দাবি করেছেন, করোনা মহামারির কারণে স্কুল বন্ধ থাকায় যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির ক্ষতি হতে পারে প্রায় ১৪ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার; দেশটির ভবিষ্যত জিডিপির দিক থেকে যা ১ দশমিক ৫ শতাংশ।

বিভিন্ন গবেষণার আলোকে তারা উন্নত দেশগুলোতে স্কুল বন্ধের কারণে অর্থনীতিতে এর প্রভাব মূল্যায়ন করেছেন। তাতে দেখা গেছে, মহামারির কারণে প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক পর্যায়ের এই শিক্ষার্থীরা তাদের সারাজীবন ৩ শতাংশ কম আয়ের অভিজ্ঞতা পাবে। শিক্ষাবর্ষের এক-তৃতীয়াংশ সময়ে পড়াশোনার এই ক্ষয়-ক্ষতির কারণে শতাব্দীর বাকী সময়টা জুড়ে দেশগুলোতে গড়ে বার্ষিক জিডিপি কমতে পারে ১ দশমিক ৫ শতাংশ। পুরো সময়ের হিসেবে এটি একটি আদর্শ দেশের বর্তমান জিডিপির ৬৯ শতাংশ। এই গবেষকদের অনুমান, এই মুহুর্তে ততোটা অনুভূত না হলেও ভবিষ্যতের অর্থনীতিতে এটি অপূরণীয় ক্ষতি নিয়ে আসবে।

স্কুল বন্ধের অর্থনৈতিক প্রভাব নিয়ে আরও অনেক গবেষণাই হয়েছে। সবগুলো গবেষণাই বলছে, এর ফলে অর্থনীতিতে যে ক্ষতি হবে, তা ব্যাপক।

মহামারির কারণে অন্যান্য দেশের মতোই গতবছরের মার্চ থেকে বাংলাদেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই অন্যদের মতো বাংলাদেশের অর্থনীতিও এই ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে পারেনি।

বছরজুড়ে খালি পড়ে থাকা ক্লাসরুম শুধু যে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায়ই আঘাত হেনেছে তা নয়; এর ধাক্কা পড়েছে দেশের অর্থনীতিতেও। শিক্ষা সংশ্লিষ্ট শিল্পগুলোর আনুমানিক হিসাব মতে, শিক্ষার্থীদের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় এর ওপর নির্ভর করা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা। এটা হিমশৈলের চূড়া মাত্র। ভবিষ্যতে দেশের অর্থনীতিতে এর কী প্রভাব পড়বে তা নিয়ে কোনো পূর্বানুমান নেই কারও।

দীর্ঘ সময় ধরে বন্ধ থাকা দেশের স্কুলগুলোতে পুনরায় শ্রেণি কার্যক্রম চালু করতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে সরকারকে। করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি থাকায় প্রায় দুই লাখ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাড়ে ৪ কোটি শিক্ষার্থীকে একই সময়ে সরাসরি ক্লাসরুমে নিয়ে আসা বেশ চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়িয়েছে সরকারের জন্য।

এরমধ্যেও শিক্ষার্থীরা যেনো বিদ্যালয়ে এসে ক্লাস করতে পারে সে জন্য সরকারের একটি পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। এই পরিকল্পনা অনুযায়ী, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার পর এখন শুধুমাত্র দশম ও দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের নিয়মিত ক্লাস হবে। বাকিরা সপ্তাহে এক দিন করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে ক্লাস করবে।

পালাক্রমে ক্লাস করার এমন আয়োজন দেখে মনে হচ্ছে শিক্ষা অনেকটা দুর্লভ এক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবুও আশার কথা হল, মহামারির দীর্ঘ বছরের শেষে শিক্ষার্থীরা ফেব্রুয়ারির শুরুতে ক্লাসে ফিরছে।

এমন এক পরিস্থিতিতে এসে শিক্ষার্থীদের অ্যাকাডেমিক ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এবং দেশের অর্থনীতিতে এর ভয়াবহ প্রভাবের কথা বিবেচনায় নিয়ে কিছু বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়া এখন জরুরি। আগে কখনো মোকাবিলা না করা এমন সংকটকে সামাল দিতে বিশ্বজুড়ে বিশেষজ্ঞরাও এরকম বিশেষ পদক্ষেপের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন।

গত বছর দেশের স্কুলগুলোতে স্ব-শরীরে ক্লাস কিংবা পরীক্ষা কোনোটিই হয়নি। কোনো ধরণের মূল্যায়ন ছাড়াই শিক্ষার্থীদের পরের ক্লাসে উন্নীত করতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ। এই সময় কোন শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় উন্নতি হয়েছে, কাদের হয়নি সেটিও জানার কোনো উপায় নেই। তাই ভবিষ্যত বাংলাদেশ নির্মাণের এই কর্মীরা কতোটা দক্ষ হয়ে বেড়ে উঠলো সেটি আমরা কেউই জানি না।

সুতরাং, স্কুলগুলোর বন্ধকালীন সময়ে নেওয়া অস্থায়ী ব্যবস্থা ঠিকভাবে কাজ না করায় এখন করণীয় তালিকাটি আরও বড় হয়েছে।

ক্যাম্পেইন ফর পপুলার এডুকেশন নামে একটি সংস্থা তাদের সাম্প্রতিক একটি জরিপের ফলাফলে জানিয়েছে, করোনাকালীন সময়ে গত বছর সংসদ টেলিভিশন, রেডিও এবং অন্যান্য প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে নেওয়া অনলাইন ক্লাসে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের ৬৯ শতাংশ শিক্ষার্থী অংশ নেয়নি।

এর আগে, ব্র্যাকের একটি জরিপে তারা জানিয়েছে, ৫৬ শতাংশ প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের শিক্ষার্থী অনলাইন ক্লাসে অংশ নেয়নি।

ক্যাম্পেইন ফর পপুলার এডুকেশনের ওই জরিপে উঠে এসেছে, প্রয়োজনীয় ডিভাইসের অভাবে ৫৮ শতাংশ শিক্ষার্থীর অনলাইন ক্লাসে অংশ নেওয়ার কোনো উপায় ছিল না। জরিপটি বলছে, পরিবারের মৌলিক ভরণপোষণ মেটাতে আর্থিকভাবে সক্ষম শিক্ষার্থীদের অভিভাবকের সংখ্যা ৭৩ শতাংশ থেকে নেমে ২৯ শতাংশে এসেছে।

শিক্ষকরাও অর্থনৈতিক সংকটের মুখোমুখি হয়েছেন। ক্যাম্পেইন ফর পপুলার এডুকেশনের জরিপে বলা হয়, পরিবারের সদস্যদের মৌলিক চাহিদা মেটাতে আর্থিকভাবে সক্ষম স্কুল শিক্ষকের সংখ্যা ৯৩ শতাংশ থেকে কমে ৬৭ শতাংশ নেমে এসেছে।

সম্প্রতি সানেমের করা একটি জরিপেও শিক্ষার্থীদের অনলাইন ক্লাসে অংশগ্রহণ বিষয়ে এবং শিক্ষার্থীদের পরিবারের অর্থনৈতিক দুর্ভোগের প্রায় কাছাকাছি চিত্র উঠে এসেছে।

বিশ্ব ব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ জাহিদ হুসেইনের দৃষ্টিতে, কেবলমাত্র ভোগের ক্ষেত্রেই নয়, শিক্ষায় প্রবেশের সুযোগের ক্ষেত্রেও দারিদ্র অনেক গভীরে চলে গেছে।

সংক্রমণের এই সময়ে চার ভাগের তিন ভাগ শিক্ষার্থী অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম থেকে বঞ্চিত ছিল।

ড. জাহিদ বলেন, "শিক্ষার দারিদ্র্য, ভোগের দারিদ্র্যের চেয়ে কম সংকটময় নয়।"

এর বাস্তবতা যাচাইয়ে একটি উদাহরণ দেওয়া যাক।

অন্যান্য অনেক শিক্ষকের মতো, পাবনার একটি বেসরকারি কলেজের শিক্ষক নাসিম মাহমুদও জানেন না, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পুনরায় চালুর পর তাকে অতিরিক্ত কী কী কাজ করা লাগতে পারে; কারণ এ বিষয়ে তাদের জন্য কোনো গাইডলাইন নেই।

তিনি বলেন, "আমরা এখন যেটা করছি তা হলো- শ্রেণিকক্ষগুলোকে ঝেড়ে-মুছে পরিষ্কার করছি এবং শিক্ষার্থীরা যাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ক্লাসে বসতে পারে সেজন্য শ্রেণিকক্ষে বেঞ্চগুলো পুনরায় সাজাচ্ছি।"

এই শিক্ষক বলছেন, এরফলে বেশ বড় একটি সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে তাদের। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ক্লাস নিতে হলে প্রত্যেক বিষয়ের জন্যই শিক্ষক সংকট দেখা দেবে।

তিনি জানান, তার কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশ নেবেন এমন ১৩৫ জন শিক্ষার্থী আছে। মহামারির আগে, সব শিক্ষার্থীই একটি রুমে একসঙ্গে ক্লাস করতো। কিন্তু শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এই শিক্ষার্থীদের বসানোর জন্য তিনটি শ্রেণিকক্ষ প্রস্তুত করছেন তারা।

তিনি বলেন, "এই শিক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত দুটি ক্লাসরুম চালাতে আমাদের আরও শিক্ষকের প্রয়োজন। কিন্তু নতুন শিক্ষক পাওয়ার কোনো সুযোগ আমাদের আদৌ নেই।"

এই পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়েই সামাজিক দূরত্বের নিয়ম ভেঙ্গে ক্লাস নিতে হতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।

এছাড়াও অনেক শিক্ষার্থীর পরিবার অর্থনৈতিক দুর্দশার মধ্য দিয়ে যাওয়ায়, সব শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ফিরতে পারবে কিনা সে বিষয়েও নিশ্চিত নন এই শিক্ষক।

তার এলাকার মাধ্যমিক স্কুলটিতেও একই চিত্র বলে তিনি জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, "ওই স্কুলটিতে শিক্ষার্থী রয়েছে দেড় হাজারেরও বেশি। শিক্ষক স্বল্পতার কারণে ওই স্কুলটিতে সামাজিক দূরত্ব মেনে ক্লাস করানো অসম্ভব এবং অতিরিক্ত ক্লাসরুমের ব্যবস্থা করার সুযোগও সেখানে নেই।"

কয়েকজন সহকর্মীকে নিয়ে একটি কোচিং সেন্টার চালাতেন এই কলেজ শিক্ষক। মহামারির কারণে তা দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকায় পরিবারকে যে অতিরিক্ত আর্থিক সহায়তা তারা দিতেন, সেটিও থমকে গেছে।

প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক পর্যায়ের আরও বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে খোঁজ নিলে, এই চিত্রই উঠে আসবে।

বহু বছর ধরেই বাংলাদেশের শিক্ষা খাতে শিক্ষক স্বল্পতা একটি বড় সমস্যা হয়ে আছে। উন্নত দেশগুলোতে, প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রতি ১৫ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে একজন শিক্ষক থাকেন; নিম্ন মাধ্যমিকে থাকেন প্রতি ১৩ জনের বিপরীতে একজন। কিন্তু বাংলাদেশ প্রতিজন শিক্ষকের বিপরীতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা এর প্রায় তিন-চারগুণ। 

এই পার্থ্যকটাই আমাদের প্রয়োজনীয়তার কথা বলে দেয়। করোনার কারণে দুর্বল শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সামাজিক দূরত্বের বিধি নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে এই মুহুর্তে আরও শিক্ষকের প্রয়োজন।

একাডেমিক ক্ষয়ক্ষতি পোষাতে যেমন একটি দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার প্রয়োজন তেমনি ব্যাপক পরিমাণে শিক্ষক নিয়োগ দিতে প্রয়োজন নতুন বিনিয়োগ। শুধুমাত্র শিক্ষার্থীদের জন্যই নয়, বরং দেশের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ অর্থনীতির জন্যেও এমন পদক্ষেপ প্রয়োজন। কেননা, আজকের শিক্ষার্থীরাই আগামীর অর্থনীতিতে জনশক্তি হিসেবে থাকবে। তাদের বেড়ে ওঠা যদি ঠিকভাবে না হয় তাহলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে এ দেশের অর্থনীতি। সুতরাং দেশের অর্থনীতির স্বার্থেই ভবিষ্যৎ এই জনশক্তিকে রক্ষা করতে হবে।

কেবলমাত্র স্কুল কার্যক্রম পুনরায় চালু করার মাধ্যমেই ক্ষতি হওয়া পড়াশোনা পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়। অর্থনীতিকে ক্ষতির হাত থেকে বাঁচাতে স্কুলগুলোর জন্য এমন ধরণের পুনর্গঠনমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে যাতে সেগুলো আরও ভালো পারফরম্যান্স দেখাতে পারে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটনের এডুকেশন পলসির সহযোগী অধ্যাপক মিন সুন এর মতে, অর্থনীতির মৌলিক কাঠামোগুলোর উন্নয়নে বিনিয়োগের মতো শিক্ষা ব্যবস্থার পুনর্গঠনে বিনিয়োগও সমানভাবে বিবেচিত হওয়া উচিত। 

তিনি বলেন, "অর্থনীতির পুনরুদ্ধারে বছরের পর বছর ধরে অন্যতম একটি মন্ত্র হল অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগ। যেখানে জরুরিভাবে রাস্তাঘাট এবং সেতু পুন:নির্মাণের প্রয়োজন হয়, সেখানে স্কুলে বিনিয়োগের বিষয়টি আমাদের এড়িয়ে যাওয়া উচিত নয়। কারণ অর্থনীতির পুনরুদ্ধারে আমাদের এই শিক্ষা ব্যবস্থাই দক্ষ কর্মী সরবরাহ করে।"

সুতরাং স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতিবিদ এরিক হানুশেক এবং ইউনিভার্সিটি অব মিউনিখের লুজার উজম্যানের বক্তব্যের মতোই শেষ কথাটা অত্যন্ত পরিষ্কার।  
"এই ক্ষতি (অর্থনৈতিক) স্থায়ী হবে যদি না স্কুলগুলো ২০১৯ সালের চেয়ে ভালো পর্যায়ের পারফরম্যান্স দেখাতে না পারে।"

  • লেখক: উপ-নির্বাহী সম্পাদক, দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড 
  • মূল লেখা: Economic recovery feels the weight of empty classrooms
  • অনুবাদ: তারেক হাসান নির্ঝর

Related Topics

অর্থনীতি / টপ নিউজ

স্কুল বন্ধের প্রভাব / অর্থনীতিতে করোনার প্রভাব / শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • বাঁশখালীতে ‘শ্রমিকরাই শ্রমিকদের গুলি করে হত্যা করেছে’: পুলিশ
  • ঢাকার যানজট নিরসনে ২৫৮ কিলোমিটার দীর্ঘ দ্বিতীয় ভূগর্ভস্থ রেলের প্রস্তাব
  • গভীর সমুদ্রবন্দর থেকে পায়রা এখন শুধু সমুদ্রবন্দর
  • বিমান আকৃতির ব্যাগের দাম আসল বিমানের চেয়েও বেশি!
  • রিফাত সুলতানা: সকালে সন্তান জন্ম দিয়ে বিকেলে করোনার বলি যে মা
  • স্পুটনিক ফাইভ: রাশিয়ার ভ্যাকসিন যেভাবে ইউরোপের রাজনীতিতে ভাঙন সৃষ্টি করেছে

Related News

  • করোনায় নতুন করে দারিদ্র্য সীমার নিচে দুই কোটি ৪৫ লাখ মানুষ
  • মহামারীর মধ্যেও এসএসসির ফরম পূরণে অতিরিক্ত ফি চাপিয়ে দিচ্ছে বিদ্যালয়গুলো 
  • শিক্ষাখাতে মহামারির ক্ষতি পুষিয়ে নিতে অতিরিক্ত বরাদ্দের আবেদন মন্ত্রণালয়ের
  • ৩০ মার্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার আগে জরুরি নির্দেশনা 
  • দেশের নগরবাসী শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যে তীব্র প্রভাব ফেলেছে মহামারি

Most Read

1
বাংলাদেশ

বাঁশখালীতে ‘শ্রমিকরাই শ্রমিকদের গুলি করে হত্যা করেছে’: পুলিশ

2
বাংলাদেশ

ঢাকার যানজট নিরসনে ২৫৮ কিলোমিটার দীর্ঘ দ্বিতীয় ভূগর্ভস্থ রেলের প্রস্তাব

3
অর্থনীতি

গভীর সমুদ্রবন্দর থেকে পায়রা এখন শুধু সমুদ্রবন্দর

4
অফবিট

বিমান আকৃতির ব্যাগের দাম আসল বিমানের চেয়েও বেশি!

5
ফিচার

রিফাত সুলতানা: সকালে সন্তান জন্ম দিয়ে বিকেলে করোনার বলি যে মা

6
আন্তর্জাতিক

স্পুটনিক ফাইভ: রাশিয়ার ভ্যাকসিন যেভাবে ইউরোপের রাজনীতিতে ভাঙন সৃষ্টি করেছে

The Business Standard
Top
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - [email protected]

For advertisement- [email protected]

Copyright © 2020 THE BUSINESS STANDARD All rights reserved. Technical Partner: RSI Lab