উইকেটরক্ষক পুরানের স্পিন ঘূর্ণিতে দিশেহারা পাকিস্তান
নিকোলাস পুরান; ওয়েস্ট ইন্ডিজের উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। এটাই তার পরিচয়। কিন্তু পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানদের কাছে প্রশ্ন রাখলে এবার ভিন্ন উত্তর আসতে পারে। হঠাৎ-ই বদলে গেল তার পরিচয়। পুরান হয়ে উঠলেন 'ব্র্যান্ড নিউ' হুমকির নাম। বল হাতে তুলে নিয়ে দেখিয়ে গেলেন স্পিন ভেল্কি, তার স্পিন ঘূর্ণিতে দিশেহারা হয়ে পথ হারাল পাকিস্তান।
রোববার মুলতানে তৃতীয় ওয়ানডেতে একাই পাকিস্তানের ব্যটিং লাইন আপ ওলট পালট করে দিলেন পুরোদস্তর অফ স্পিনার হয়ে ওঠা পুরান। গ্লাভস ছেড়ে বল হাতে তুলে নিলেন, করে গেলে টানা বোলিং। বষ্টিতে খেলা বন্ধ হওয়ার আগে পাকিস্তানের যাওয়া ৫ উইকেটের ৪টি নিলেন ক্যারিবীয় অধিনায়ক।
এদিন পুরো ১০ ওভার বোলিং করেছেন ক্যারিবীয় এই ক্রিকেটার। ৪ উইকেট নিতে পুরানের খরচা ৪৮ রান। তার নেওয়া উইকেটগুলো বেশি দামি। পুরানের স্পিনে পরাস্থ হয়ে একে একে সাজঘরে ফেরেন ফকর জামান, ইমাম উল হক, মোহাম্মদ হারিস ও মোহাম্মদ রিজওয়ান।
আগ্রাসী ব্যাটসম্যান হিসেবেই খ্যাত পুরান। তাকে বল হাতে তুলে নিতে দেখে পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানরা নিশ্চয়ই ভরকে যাননি। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই স্পিন জাদু দেখাতে শুরু করেন পুরান। একটি-দুটি নয়, বোগলদাবা করেন ৪টি উইকেট।
নিঃসন্দেহে যেকোনো ফরম্যাটে এটা পুরানের ক্যারিয়ার সেরা বোলিং। সেটা না হয়েই উপায় কী! ৯৯টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ (এই ম্যাচ বাদে) খেলা পুরান একবারই বোলিং করেছেন, সেটাও মাত্র ৩ বল। গত বছর জুলাইতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৩ বলে ৬ রান খরচায় উইকেটশূন্য ছিলেন তিনি।
পুরান এবার পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রধান স্পিন হাতিয়ায়ের ভূমিকা পালন করলেন। ফকরকে ফিরিয়ে নামের পাশে প্রথম আন্তর্জাতিক উইকেট যোগ করার পর তুলে নিলেন আরও তিন উইকেট। তার স্পিন ছোবলেই ১১৭ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারায় পাকিস্তান। বাকি উইকেটটি নেন হেইডেন ওয়ালশ। ৩৩তম ওভার শেষে বৃষ্টি শুরু হয়, এখনও খেলা বন্ধ আছে।