টোঙ্গায় প্রথম করোনা রোগী, লকডাউনের পরিকল্পনা
দক্ষিণ প্রশান্তমহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জ টোঙ্গায় প্রথমবারের মতো কোভিড আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে।
মহামারি শুরুর পর থেকে হাতেগোনা যে কয়টি দেশে কোভিড গিয়ে পৌঁছায়নি তাদের মধ্যে টোঙ্গা ছিল অন্যতম। তবে, শেষ পর্যন্ত শুক্রবার দেশটিতে প্রথম করোনা শনাক্তের সংবাদ নিশ্চিত করেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী পোহিভা টুইওয়ানতোয়া।
আক্রান্ত ব্যক্তি সম্প্রতি নিউজিল্যান্ড ভ্রমণ শেষে দেশে ফেরেন। তিনি দুই ডোজ ভ্যাকসিনও গ্রহণ করেছিলেন। নিউজিল্যান্ড থেকে ফেরার সময় ফ্লাইটে বসার আগেও করোনা পরীক্ষায় তার নেগেটিভ আসে।
টোঙ্গায় ফেরার পর বিদেশফেরত হিসেবে কোয়ারেন্টাইন পালনের জন্য হোটেলে আইসোলেশনে যান ওই ব্যক্তি। সেখানেই তার করোনা শনাক্ত হয়।
করোনা শনাক্তের ঘোষণা আসার পরই দেশব্যাপী সম্ভাব্য লকডাউনের মুখে ভ্যাকসিন নিতে হুমড়ি খেয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ।
ফ্লাইটে ওই ব্যক্তির সঙ্গে যারা এসেছেন, তাদের সংস্পর্শে আসা এয়ারপোর্টের কর্মীদের কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী টুইওয়ানতোয়া। সংক্রমণের সংবাদ সামনে আসায় দেশে লকডাউন জারি হতে পারে বলেও আভাস দেন তিনি।
তিনি বলেন, "অন্যদের মাঝেও ভাইরাস শনাক্ত হতে পারে। সেক্ষেত্রে আগেই এই সময়টুকু ব্যবহার করে আমাদের প্রস্তুত হতে হবে।"
করোনা শনাক্তের সংবাদ পাওয়ার পরেই হাজার হাজার মানুষ কোভিড ভ্যাকসিন নিতে টিকাদান কেন্দ্রে ছুটেছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যম।
"দেশের ৮৬ শতাংশ মানুষ টিকার প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন। দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণকারীদের সংখ্যা প্রায় ৬২ শতাংশ। আর এজন্যই এখন বহু মানুষ ছুটে আসছেন। বিষয়টি টিকাদান কর্মসূচিকে গতিশীল করবে," বলেন প্রধানমন্ত্রী।
দক্ষিণ প্রশান্তমহাসাগরীয় ১৭০টি দ্বীপ নিয়ে গঠিত রাষ্ট্র টোঙ্গার জনসংখ্যা প্রায় এক লাখ।
করোনা শনাক্ত না হলেও গত বছর মার্চে টোঙ্গা জরুরি অবস্থা ঘোষণার মাধ্যমে বিদেশিদের আগমণ বন্ধ করে।
কঠোর পদক্ষেপের কারণে দেশটি করোনা ঠেকাতে সক্ষম হলেও দেশটির পর্যটন নির্ভর অর্থনীতিতে ধস নামে।
- সূত্র: সিএনএন