প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের বিরুদ্ধে পাকিস্তান সরকারের ‘অনাস্থা’ প্রকাশ
![](https://www.tbsnews.net/bangla/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2023/04/02/020805041ad14f9.jpg)
পাকিস্তানের প্রাদেশিক নির্বাচন সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি ওমর আতা বান্দিয়ালের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের সুপ্রিম কোর্ট বেঞ্চের দেওয়া সিদ্ধান্তের ওপর 'সম্পূর্ণ অনাস্থা' প্রকাশ করেছে দেশটির পিএমএল-এন (পাকিস্তান মুসলিম লিগ-এন) নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন জোট।
শনিবার (১ এপ্রিল) ক্ষমতাসীন জোটের এ ইঙ্গিতের পর পাকিস্তানে চলমান রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক সংকট আরও গভীর হলো বলে মনে করছেন দেশটির রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। খবর ডনের।
মডেল টাউনে পিএমএল-এন-এর সদরদপ্তরে অনুষ্ঠিত পিডিএম এবং পিপিপি মিত্রদের সঙ্গে এক বৈঠকে ফেডারেল জোট তিন সদস্যের সুপ্রিমকোর্ট বেঞ্চের ওপর 'সম্পূর্ণ অনাস্থা' প্রকাশ করে এ বিষয়ে আদালতের কার্যক্রম বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে জানানো হয়েছে, নির্বাচনের তারিখ নিয়ে পিটিআই প্রধান ইমরান খানের সঙ্গে 'কোন ধরনের আলোচনা' করবে না ক্ষমতাসীন জোট এবং চলতি বছরের অক্টোবরের আগে কোনো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে না।
পিএমএল-এন নেতা নওয়াজ শরিফ এবং পিপিপি নেতা আসিফ আলি জারদারি চিকিৎসার জন্য দুবাইয়ে অবস্থান করায় ভিডিও লিঙ্কের মাধ্যমে বৈঠকে অংশ নেন।
বৈঠকের পর পিএমএল-এন'র বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'প্রধান বিচারপতি ওমর আতা বান্দিয়াল, বিচারপতি ইজাজ-উল-আহসান এবং বিচারপতি মুনিব আখতারের সমন্বয়ে গঠিত সুপ্রিম কোর্টের তিন সদস্যের বেঞ্চের ওপর সম্পূর্ণ অনাস্থা দেখানো হলো।'
বিবৃতিতে অবিলম্বে পাঞ্জাব বিধানসভার নির্বাচনের বিলম্বের বিষয়ে তিন সদস্যের বেঞ্চের কার্যক্রম বন্ধের পাশাপাশি স্বতঃপ্রণোদিত এই মামলায় চার সদস্যের সংখ্যাগরিষ্ঠ বেঞ্চের সিদ্ধান্ত গ্রহণের দাবি জানানো হয়।
বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, সুপ্রিমকোর্টে একটি স্পষ্ট বিভাজন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সুতরাং বিতর্কিত রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত দেওয়া থেকে আদালতের বিরত থাকা উচিত।
বৈঠকে রাজনীতিবিদদের পরামর্শ দেওয়ার আগে বিচারকদের নিজেদের মধ্যকার মতভেদ দূর করার আহ্বান জানানো হয়।
সেইসঙ্গে, একযোগে সব বিধানসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি পুনর্ব্যক্ত করে পিএমএল-এন নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন জোট। এছাড়া, পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপের এখতিয়ার নেই বলেও উল্লেখ করা হয় বৈঠকে। কারণ নির্বাচন কমিশন একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান।
সভায় আরও উল্লেখ করা হয়, ধারা ৬৩(এ) সংক্রান্ত তিন সদস্যের বেঞ্চের দেওয়া রায়টি দেশে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করেছে। এই রায়ের মাধ্যমে সংবিধানকে 'পুনরায় লেখার চেষ্টা' করে হয়েছিল।