পেমেন্ট সংক্রান্ত জটিলতায় চাল ও ছোলা বিনিময় করবে রাশিয়া ও পাকিস্তান
ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কারণে অর্থ আদান-প্রদানে জটিলতায় পড়েছে রাশিয়া ও চীন। এক্ষেত্রে রাশিয়ান এক কোম্পানি পাকিস্তান থেকে কমলা ও চাল আমদানির বিনিময়ে ছোলা ও মসুর ডাল রপ্তানি করবে।
তাস নিউজ এজেন্সির পক্ষ থেকে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। মূলত পাকিস্তান-রাশিয়া বাণিজ্য চুক্তি অনুযায়ী এই আদান-প্রদান হবে।
রাশিয়ান কোম্পানি এস্টো এগ্রো ট্রেডিং পাকিস্তানকে ২০ হাজার মেট্রিক টন ছোলা রপ্তানি করবে। আর পাকিস্তানি কোম্পানি মিসকে এন্ড ফিমটে ট্রেডিং একই পরিমাণে চাল রপ্তানি করবে।
এক্ষেত্রে রাশিয়ান পক্ষ পাকিস্তান থেকে ১৫ হাজার টন কমলা ও ১০ হাজার টন আলুর বিনিময়ে ১৫ হাজার টন ছোলা ও ১০ হাজার টন মসুর ডাল সরবরাহের পরিকল্পনা করেছে।
ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে আর্থিক খাতে একের পর এক পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হয়েছে রাশিয়া। সেক্ষেত্রে দেশটিকে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে নানা জটিলতার মুখোমুখি হতে হয়েছে।
এদিকে বাংলাদেশ ও রাশিয়ার বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও নেতিবাচক প্রভাব দেখা যাচ্ছে। গত ২১ আগস্ট রাশিয়ান সরকারের প্রতিনিধি সংস্থা ভিইবি.আরএফ ব্যাংক বাংলাদেশকে এক চিঠিতে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে ইতিমধ্যে ছাড় করা ঋণের বকেয়া ও চলতি সুদ বাবদ ৬৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পরিশোধ করার অনুরোধ করে।
ব্যাংকটি চিঠিতে ব্যাংক অব চায়নার সাংহাই শাখায় মার্কিন ডলার অথবা চায়না মুদ্রা ইউয়ানে পাওনা অর্থ জমা করার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু এই ব্যাংকটিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রয়েছে। ফলে বাংলাদেশ চাইলেও অর্থ পরিশোধ করতে পারছে না।
চুক্তি অনুযায়ী যতটা ঋণ বিতরণ করা হবে, বিতরণের পরে ষান্মাসিক ভিত্তিতে তার সুদ পরিশোধ করতে হবে। এক্ষেত্রে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর আগ পর্যন্ত নিয়ম অনুযায়ী বাংলাদেশ সরকার সুদ পরিশোধ করে আসছিলো। কিন্তু এই যুদ্ধ শুরুর পর রাশিয়ান ব্যাংক ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র লেনদেনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় নিয়মিত অর্থ পরিশোধ সম্ভব হয়নি। সেই থেকে সুদের পাশাপাশি জমতে থাকে জরিমানা সুদও।
অনুবাদ: মোঃ রাফিজ খান