অল আইজ অন রাফাহ: ৪৭ মিলিয়নেরও বেশি শেয়ার হয়েছে যে ইনস্টাগ্রাম পোস্ট
ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের তাঁবু শিবিরে হামলার একটি এআই ছবি 'অল আইজ অন রাফাহ' স্লোগানে সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো ঝড় তুলেছে৷ পোস্টটি গতকাল (বৃহস্পতিবার) বিকেল পর্যন্ত প্রায় ৪৭ মিলিয়ন বার শেয়ার হয়েছে। খবর বিবিসির।
পোস্টটি শেয়ারে যুক্ত হয়েছেন বিশ্বের নামিদামি সব তারকা। যাদের মধ্যে ডুয়া লিপা, লুইস হ্যামিলটন, জিজি হাদিদ ও বেলা হাদিদ অন্যতম।
মূলত সম্প্রতি রাফায় শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলা ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর প্রতিবাদস্বরূপ ছবি ও স্লোগানটি ছড়িয়ে পরে। হামাস শাসিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, এই হামলায় প্রায় ৪৫ জন নিহত এবং শত শত মানুষ আহত হয়েছেন।
রাফায় ইসরায়েলি হামলার ঘটনায় আন্তর্জাতিক মহলে নিন্দার ঝড় উঠেছে। অন্যদিকে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এটিকে 'দুঃখজনক দুর্ঘটনা' বলে অভিহিত করেছেন।
বিবিসির তথ্যমতে, ছড়িয়ে পড়া এআই ছবিটি মূলত মালয়েশিয়ার এক তরুণ তার সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছে। মূলত অধিকৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি রিচার্ড পিপারকর্ন সাংবাদিকদের গত ফেব্রুয়ারি মাসে কথা প্রসঙ্গে বলেছিল, 'অন আইজ অন রাফাহ'। লাখ লাখ মানুষের আশ্রয় নেওয়া শহরটিতে ইসরায়েলি বাহিনীর আক্রমণের বিরুদ্ধে সতর্কতার অংশ হিসেবে তিনি এমনটা বলেছিলেন।
জেনেভায় জাতিসংঘের সদর দফতরে সাংবাদিকদের একটি অনলাইন কলের মাধ্যমে কথা বলার সময় পিপারকর্ন জানান, যদি ইসরায়েলি সেনাবাহিনী রাফাহতে বড় আকারের অনুপ্রবেশ করে তবে তিনি 'অকল্পনীয় বিপর্যয়ের' আশঙ্কা করছেন।
তিন সপ্তাহ আগে শুরু হওয়া রাফায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের বিষয়ে উদ্বেগ ও বিরোধিতা প্রকাশ করার জন্য কর্মকর্তারা তখন থেকে পিপারকর্নের উক্তিটি পুনরাবৃত্তি করছেন।
শব্দগুচ্ছটির প্রথম ব্যবহারের পরের মাসগুলিতে সারা বিশ্বের নানা সমাবেশে এবং সোশ্যাল মিডিয়াতে তা ব্যবহার করা হয়েছিল। কিন্তু গত দুই দিনে তা নেটিজেনদের মধ্যে বৃহৎ আকারে ছড়িয়ে পরে। মার্কিন অভিনেতা মার্ক রুফালো, ভারতীয় অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়াও ছবিটি শেয়ার করেছেন।
বিবিসির সাথে কথা বলা বিশেষজ্ঞরা বলেন, বেশ কয়েকটি কারণেই 'অল আইজ অন রাফাহ' স্লোগান এত অল্প সময়ের মধ্যে ভাইরাল হয়েছে। এর মধ্যে ছবিটির এআই প্রকৃতি, স্লোগানের সরলতা, ইনস্টাগ্রামে সহজে শেয়ার করতে পারা ও সেলিব্রেটিদের যুক্ত হওয়া অন্যতম।
তবে ওয়েস্টমিনিস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ে মিডিয়া, ক্যাম্পেইনিং ও সোশ্যাল চেঞ্জের উপর এমএ কোর্স পরিচালনা করা আনাস্তাসিয়া কাভাদার মতে, এক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে পোস্টের সময় ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট। কাভাদা বলেন, এটি এমন সময়ে ভাইরাল হয়েছে যখন রাফাহ শিবিরে হামলার খবরে অনেকে ক্ষুব্ধ ছিলেন।
অনুবাদ: মোঃ রাফিজ খান