ট্রাম্পের হোয়াইট হাউসে ফেরা বাইডেন যেভাবে ঠেকাতে পারে, নির্বাচনী দৌড় থেকে সরে গিয়ে!
চলতি বছরের নভেম্বরে হতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। সেখানে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে বাইডেন ও ট্রাম্পই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। তবে এমন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়তো মার্কিনিরা চায়নি। কেননা বয়স্ক এই দুই রাজনীতিবিদ সম্ভবত দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ইতিহাসে অন্যতম অজনপ্রিয় প্রার্থী।
এক্ষেত্রে রিপাবলিকানদের পক্ষ থেকে সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ওপরই ভরসা রাখা হয়েছে। মারা না গেলে কিংবা শারীরিকভাবে অক্ষম না হলে তিনিই দলটির প্রার্থী থাকবেন।
এদিকে সম্প্রতি বেশ কয়েকটি অভিযোগে তদন্ত চলছে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। এমতাবস্থায় নিজেকে জেল থেকে বাঁচাতে ট্রাম্পের নির্বাচনে জয়ী হওয়া বেশ প্রয়োজন।
অন্যদিকে জো বাইডেনের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর সুযোগ রয়েছে। সেক্ষেত্রে তিনি দেশ ও দলের কথা চিন্তা করে নিজ থেকেই হয়ত সরে দাঁড়াতে পারেন।
গুঞ্জন রয়েছে যে, চলতি গ্রীষ্মে বাইডেন যেকোনো সময় প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে আসতে পারে। সেক্ষেত্রে ২০২০ সালে যে যুক্তিতে তিনি প্রার্থিতা পেয়েছিলেন, সেই একই যুক্তি এই সিদ্ধান্ত নিতে কাজে লাগতে পারে।
২০২০ সালের নির্বাচনের সময় পরিস্থিতি এমন ছিল যে, ডেমোক্রেট শিবির থেকে বাইডেনই ছিল সবচেয়ে শক্তিশালী প্রার্থী যিনি ট্রাম্পকে হারাতে পারতেন। আর এবার তিনিই অল্প সংখ্যক ডেমোক্রেটদের মধ্যে অন্যতম যারা কি-না ট্রাম্পের কাছে হেরে যেতে পারেন।
সম্প্রতি জরিপে দেখা যায়, ট্রাম্পের তুলনায় পিছিয়ে আছেন বাইডেন। বিশেষ করে তরুণ ও কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে তার জনসমর্থন কম। এটি দোদুল্যমান রাজ্যগুলোতে পার্থক্য গড়ে দিতে পারে।
এক্ষেত্রে বাইডেন সম্পর্কে প্রার্থীদের সিদ্ধান্তে হয়ত কিছু পরিবর্তন আসতে পারে। তবে ভোটাররা যে তাকে কম বয়সী কিংবা আরও শক্তিশালী মনে করবেন না; সেটা নিশ্চিত।
এক্ষেত্রে ডেমোক্র্যাট শিবির যদি পেনসিলভানিয়ার গভর্নর জোশ শাপিরোকে প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করতেন তবে তিনি হয়ত ট্রাম্পকে আরও জোরালোভাবে টক্কর দিতে পারতেন। এছাড়াও মিশিগানের গভর্নর গ্রেটচেন হুইটমার কিংবা নিউ জার্সির সেন কোরি বুকারও শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন। তারা তুলনামূলক কম বয়সি ও বিতর্কহীন চরিত্রের প্রার্থী হিসেবে ট্রাম্পকে হয়ত ধরাশায়ী করতে পারতেন।
বাইডেন অবশ্য প্রেসিডেন্ট হিসেবে মোটাদাগে সফলই ছিলেন। তবে দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি, আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার এবং গাজায় ইসরাইল-হামাস যুদ্ধের জন্য তাকে দায়ী করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে অনেক বিশ্লেষক মনে করেন, প্রেসিডেন্ট হিসেবে নতুন কেউ মধ্যপ্রাচ্যের মতো জটিল সমস্যাগুলিতে আরও ভালো কাজ করতে পারবে।
অনুবাদ: মোঃ রাফিজ খান