ইসরায়েল আল জাজিরার সম্প্রচার বন্ধ করে দিচ্ছে
যতদিন গাজা যুদ্ধ চলবে ততদিন ইসরায়েলে আল জাজিরার সম্প্রচার বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে উঠছে এমন অভিযোগে সম্প্রচারমাধ্যমটির বিরুদ্ধে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার। খবর বিবিসির।
নেতানিয়াহু কাতারভিত্তিক এই সংবাদমাধ্যমটির বিরুদ্ধে 'উসকানি' দেওয়ার অভিযোগ এনেছেন। আল জাজিরা এই পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছে।
বেশ কয়েক বছর ধরেই ইসরায়েলের কর্মকর্তারা আল জাজিরাকে ইসরায়েলবিরোধী বলে অভিযোগ করে আসছেন। তাদের দাবি হামাসের সাথে এই সম্প্রচারমাধ্যমটির ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে।
তবে আলজাজিরা এ দাবিকে দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করে।
গত মাসে ইসরায়েলের পার্লামেন্টে একটি আইন পাস হয়। এ আইনে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি বলে বিবেচিত হলে বিদেশি সম্প্রচারমাধ্যমকে সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়ার ক্ষমতা সরকারকে দেওয়া হয়।
ইসরায়েলের যোগাযোগ বিষয়ক মন্ত্রী শ্লোমো কার্হি বলেছেন, এই নিষেধাজ্ঞা "তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হবে''।
এর ফলে এখন ইসরায়েলে আল জাজিরার কার্যালয় বন্ধ করে দেওয়া, সম্প্রচার সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত করা, কেবল লাইন এবং স্যাটেলাইট কোম্পানি থেকে চ্যানেলটি বাদ দেওয়া এবং তাদের ওয়েবসাইট ব্লক করার মতো ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।
কাতার সরকারের অর্থায়নে পরিচালিত সম্প্রচারমাধ্যম আল–জাজিরা ফিলিস্তিনের গাজায় শুরু থেকেই ইসরায়েলের চলমান সামরিক অভিযানের সমালোচনা করে আসছে।
গাজা যুদ্ধে বহু সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মী নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে গাজায় আল জাজিরার ব্যুরো প্রধান ওয়ায়েল আল-দাহদোহের ছেলে সাংবাদিক হামজা আল-দাহদোহও রয়েছেন।
আল জাজিরার দাবি, ইসরায়েল ইচ্ছা করেই তাদের কর্মীদের লক্ষ্যবস্তু করছে।
রবিবারের নিষেধাজ্ঞার প্রতিক্রিয়ায় আল জাজিরা বলেছে, সাংবাদিকদের হত্যা ও গ্রেপ্তার করে ইসরায়েল অপরাধ ধামাচাপা দিতে গণমাধ্যমকে দমনের যে চেষ্টা করছে, তা আমাদের দায়িত্ব পালন করা থেকে বিরত রাখতে পারেনি।
অনুবাদ: রেদওয়ানুল হক