মধ্যপ্রাচ্যে পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ করতে ব্যাপক পশ্চিমা সহায়তা লাগবে ইসরায়েলের, বলছেন বিশেষজ্ঞরা
কার্নেগি মিডল ইস্ট সেন্টার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের পরিচালক মাহা ইয়াহিয়া মনে করেন, মধ্যপ্রাচ্যে পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধে জড়াতে পশ্চিমা মিত্রদের কাছ থেকে উল্লেখযোগ্য সমর্থন প্রয়োজন ইসরায়েলের।
সিএনএন এর সাংবাদিক জন ভাউসকে তিনি বলেন, 'বাইরের (পশ্চিমাদের) সাহায্য ছাড়া দীর্ঘমেয়াদি সর্বাত্মক যুদ্ধের সক্ষমতা ইসরায়েলের নেই। অস্ত্র সরবরাহ অব্যাহত রাখতে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা প্রয়োজন হবে তার। বেশ কয়েকটি সামরিক ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য পশ্চিমা শক্তির উপর নির্ভর করে দেশটি।'
তিনি আরও বলেন, গত সপ্তাহে ইরানের হামলার জেরে দেশটির পশ্চিমা মিত্রদের সংযম বজায় রাখার আহ্বান ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের প্রতিশোধ নেওয়ার সিদ্ধান্তে বড় প্রভাব ফেলেছে।
তিনি বলেন, 'এটা স্পষ্ট, পরিস্থিতি আর না উত্তপ্ত করতে ইসরায়েলের ওপর প্রচণ্ড (আন্তর্জাতিক) চাপ ছিল।'
প্রসঙ্গত যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স গত সপ্তাহে হামলায় ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন মোকাবিলায় ইসরায়েলকে সহায়তা করেছে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, ইরানের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রের '৯৯ শতাংশ' ইসরায়েল ও তার মিত্ররা প্রতিহত করেছে। মাত্র 'অল্প সংখ্যক' ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলে আঘাত হেনেছে।
উল্লেখ্য, ইরানের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রতিশোধ নিতে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) ভোরে ইরানের একটি লক্ষ্যবস্তুতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এছাড়া সিরিয়া ও ইরাকেও বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে।
ইরান দাবি করেছে, স্থানীয় সময় ভোর ৪টার পর তাদের বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী ইসফাহানের আকাশে তিনটি ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করেছে। ইরানি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শুধু ছোট ড্রোন দ্বারা আক্রমণ পরিচালনা করা হয়েছে এবং তাদের রাডার সিস্টেম ইরানের আকাশসীমায় প্রবেশকারী কোনো অজ্ঞাত বিমান শনাক্ত করেনি। তারা আরও জানিয়েছে, ইসফাহান থেকে প্রায় ৫০০ মাইল উত্তরে তাবরিজ অঞ্চলে আরও কয়েকটি ছোট ড্রোন প্রতিহত করেছে তারা।
ভাবানুবাদ: তাবাসসুম সুইটি