আজ থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি, মুক্তি পাবে ১৩ জিম্মি ও ১৫০ ফিলিস্তিনি
শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় গাজায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি শুরু হবে বলে জানিয়েছেন এ চুক্তির মধ্যস্থতাকারী কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র। তিনি জানান, প্রথম ব্যাচের জিম্মিদের মুক্তির মাধ্যমে যুদ্ধবিরতি শুরু হবে।
যুদ্ধবিরতির সময় গাজা উপত্যকার উত্তর ও দক্ষিণ উভয় অঞ্চলেই হামলা বন্ধ রাখবে ইসরায়েল। এ ছাড়া, যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে ইসরায়েলের জেলখানা থেকে বন্দি ফিলিস্তিনিদেরও মুক্তি দেওয়া হবে।
কাতারের মুখপাত্র জানান, মুক্তি দেওয়া জিম্মিদের প্রথম দলে ১৩ জন নারী ও শিশু থাকবে।
চার দিনের যুদ্ধবিরতিতে মোট ৫০ জন জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, 'জিম্মিদের মধ্যে একই পরিবারের একাধিক সদস্য থাকলে তাদের প্রথম ব্যাচে একসঙ্গে মুক্তি দেওয়া হবে।'
ইসরায়েল জানিয়েছে, হামাস যতদিন দৈনিক ১০ জন জিম্মিকে মুক্তি দেবে, যুদ্ধবিরতি ততদিন স্থায়ী হতে পারে।
চলমান সংঘাতের প্রথম যুদ্ধবিরতিতে হামাসের হাতে বন্দি ইসরায়েলের ৫০ জন নারী ও শিশুকে মুক্তি দেওয়া হবে। তার বিনিময়ে ইসরায়েলের জেলখানায় বন্দি ১৫০ জন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়া হবে।
অবশ্য ইসরায়েলের জেলে আটক মোট কতজন ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুকে মুক্তি দেওয়া হবে, সে বিষয়ে বিস্তারিত জানাননি কাতার সরকারের মুখপাত্র।
কাতারের রাজধানী দোহার একটি অপারেশন রুম থেকে যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মিদের মুক্তি পর্যবেক্ষণ করা হবে। সেইসঙ্গে সেখান থেকে ইসরায়েল, হামাসের দোহাস্থ রাজনৈতিক কার্যালয় এবং রেড ক্রসের মধ্যে যোগাযোগও রাখা হবে সেখান থেকে।
উল্লেখ্য, বুধবার চার দিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ইসরায়েল ও হামাস।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালায় হামাস। এতে ১ হাজার ২০০ জন ইসরায়েলি নিহত হয়। একইসঙ্গে প্রায় ২৫০ জন ইসরায়েলিকে জিম্মিও করে হামাস।
হামাসের হামলার জবাবে ওই দিনই গাজায় বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল বাহিনী। এরপর থেকে অবিরাম হামলায় গাজার ১৪ হাজারের বেশি বাসিন্দা নিহত হয়েছে। তাদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু।