জ্বালানি নিঃশেষ, ‘সত্যিকারের বিপর্যয়ের’ মুখে গাজার আল-শিফা হাসপাতাল
উত্তর গাজার আল-শিফা হাসপাতাল 'সত্যিকারের বিপর্যয়ের' দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক ডা. মোহাম্মদ আবু সালমিয়া। আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে সেখানকার জ্বালানি ফুরিয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আবু সালমিয়া জানান, গাজায় ইসরায়েলের 'সম্পূর্ণ অবরোধের' মধ্যে হাসপাতালটি জাতিসংঘের কাছ থেকে এখনও কোনো সহায়তা পায়নি।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পুরো গাজা উপত্যকায় আল-শিফা হাসপাতালেই সবচেয়ে বেশি সংখ্যক আহতরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। হামাস-ইসরায়েল সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পর এই হাসপাতালের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দেয় ইসরায়েলি বাহিনী। এরপর থেকে জেনারেটরের ব্যবহার করে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে হাসপাতালটি। তবে সম্প্রতি জেনারেটরের জ্বালানিও ফুরিয়ে আসছে। নতুন সরবরাহ নিশ্চিত করা না গেলে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জ্বালানি শেষ হয়ে যাবে বলে জানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, সোমবার ভোরের দিকে হাসপাতাল এলাকার আশেপাশে ইসরায়েলি বাহিনী বিমান হামলা চালিয়েছে। এছাড়া, গাজার আরও দুটি হাসপাতাল– আল-কুদস এবং ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতালের পাশেপাশেও আঘাত হানে ইসরায়েলি বোমা। এতে ভয় ছড়িয়ে পড়ে হাসপাতালগুলো ও এর আশেপাশের এলাকায় অবস্থানরত বেসামরিক মানুষের মধ্যে।
হামলার কিছু সময় আগে ইসরায়েলি বাহিনী সম্ভাব্য আক্রমণের কথা জানিয়ে হাসপাতালটি খালি করার নির্দেশ দিয়েছিল।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের আক্রমণের পর থেকে গাজায় লাগাতার বোমাবর্ষণ করে চলেছে ইসরায়েলি বাহিনী। দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলতে থাকা এ সংঘাতে ইসরায়েলি হামলায় গাজায় এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪,৬৫১ জনে; আহত হয়েছেন অন্তত ১৪,২৪৫ জন। অন্যদিকে, ইসরায়েলে হামাসের হামলায় কমপক্ষে ১,৪০০ নিহত হয়েছেন।