দক্ষিণ গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় ৭০ জনেরও বেশি নিহত

দক্ষিণ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের রাতভর বিমান হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭১ জনে।
নিহতদের মধ্যে অন্তত ২৮ জন রাফাহ শহরের আল শাওত ক্যাম্পের বাসিন্দা। নিহতদের মধ্যে অনেক নারী ও শিশু রয়েছে।
গাজার দক্ষিণে তিনটি এলাকায় সবচেয়ে বেশি বোমা হামলা হয়েছে। এলাকাগুলো হলো: খান ইউনিস, রাফাহ এবং দের আল বালাহ।
ইসরায়েলের নির্দেশে গাজা শহর এবং গাজা স্ট্রিপের উত্তরাঞ্চল থেকে পালিয়ে এসে এসব অঞ্চলে আশ্রয় নেওয়া অনেকেই নিহত হয়েছেন এসব হামলায়।
একটি মেডিকেল সূত্র জানিয়েছে, রাফাহ এবং খান ইউনিসে আবাসিক ভবনে আঘাত হানা বোমা হামলায় শতাধিক মানুষ আহত হয়েছে।
এক্স (টুইটার)-এ আল জাজিরা আরবি'র পোস্ট করা একটি ভিডিও ক্লিপে দেখা যায়, মেডিকেল এইডের কর্মীরা একজন নিহত ব্যক্তিকে বডি ব্যাগে এবং আরেকজন গুরুতর আহত ব্যক্তিকে স্ট্রেচারে করে দক্ষিণ গাজার একটি হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছে।
এছাড়া, রাতভর বোমা হামলায় ধ্বংসস্তূপে আটকা পড়েছে অনেকেই।
একটি পৃথক বিবৃতিতে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, হামাসকে লক্ষ্য করে গাজা উপত্যকায় তারা এক রাতে ২০০টিরও বেশি হামলা চালিয়েছে।
এদিকে, গাজায় আক্রমণ বন্ধ না হলে শিগগরিই পাল্টা 'আগাম পদক্ষেপ' নিতে পারে প্রতিরোধ ফ্রন্ট; ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধ নিয়ে এমন মন্তব্য করেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেন আমিরাবদুল্লাহিয়ান।
আমিরাবদুল্লাহিয়ান বলেন, "প্রতিরোধের নেতারা ইহুদিবাদী শাসককে গাজায় কোনো পদক্ষেপ নিতে দেবে না। বিকল্প সকল পথ খোলা রয়েছে। গাজার জনগণের বিরুদ্ধে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধের ব্যাপারে আমরা উদাসীন থাকতে পারি না।"
আমিরাবদুল্লাহিয়ান আরও বলেন, "প্রতিরোধ ফ্রন্ট শত্রুর (ইসরায়েল) সাথে দীর্ঘমেয়াদী যুদ্ধ চালাতে সক্ষম। শিগগরিই আমরা প্রতিরোধ ফ্রন্টের কাছ থেকে 'আগাম পদক্ষেপ' আশা করতে পারি।"