মধ্যপ্রাচ্যে নৌবহর পাঠিয়ে আগুনে ঘি ঢালছে যুক্তরাষ্ট্র: পুতিন

মধ্যপ্রাচ্যে বিমানবাহী নৌবহর পাঠিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ওই অঞ্চলে আগুনে ঘি ঢালছে বলে মন্তব্য করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি 'সমঝোতার মাধ্যমে সমাধানের' প্রয়োজন উল্লেখ করে আশা প্রকাশ করেন যে দিনশেষে সাধারণ কাণ্ডজ্ঞানের জয় হবে।
পুতিন ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়া সহিসংতাকে মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন নীতির ব্যর্থতার একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, মার্কিন নীতিতে ফিলিস্তিনিদের চাহিদাকে বিবেচনায় নেওয়া হয়নি।
শনিবার (৭ অক্টোবর) ইসরায়েলে হামাস সশস্ত্র গোষ্ঠীর আচমকা হামলার পর মার্কিন ডিফেন্স সেক্রেটারি লয়েড অস্টিন জানান, যুক্তরাষ্ট্র ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ডসহ একটি নৌবহর ইসরায়েলের কাছাকাছি পাঠাচ্ছে।
মস্কোয় একটি জ্বালানি কনফারেন্সে বক্তৃতা দেওয়ার সময় পুতিন আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এ সিদ্ধান্ত ভুল। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানও মঙ্গলবার মার্কিন এ সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছেন।
'আমি বুঝি না যুক্তরাষ্ট্র কেন ভূমধ্যসাগরে এর নৌবহর নিয়ে আসছে। এর মানে কী সেটা সত্যিই আমার মাথায় ঢুকছে না। তারা কি লেবাননে বোমা ফেলবে না কি?' পুতিন বলেন।
'নাকি তারা কাউকে ভয় দেখানোর জন্য এসব করছে? ওখানে অনেক মানুষই এখন আর কোনো কিছুর ভয় পায় না। এটি সমস্যা সমাধানের কোনো পথ নয়। সমঝোতার মাধ্যমে সমাধান খুঁজতে হবে। বলা বাহুল্য, এ ধরনের কাজ আগুনে ঘি ঢালছে।'
'এখন শোনা যাচ্ছে সবকিছুর জন্য ইরানকে দায়ী করা হচ্ছে — সবসময়ের মতো প্রমাণ ছাড়াই। দেখা যাক, আশা করি কাণ্ডজ্ঞান টিকে থাকবে,' পুতিন বলেন।
মঙ্গলবার তেহরান বলেছে, এটি হামাসের ইসরায়েল আক্রমণের সঙ্গে জড়িত নয়।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মতো বিষয়গুলোর সমাধান না করে বিস্তৃত পরিসরে সহিসংতা থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায় নেই।
এছাড়া সংঘাত-অঞ্চল ছড়িয়ে পড়লে তা জ্বালানিসহ বিভিন্ন খাতে মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট।