ইসরায়েলে যুদ্ধকালীন ঐক্য সরকার গঠন, এখনো দক্ষিণ ইসরায়েলে অবস্থানের দাবি হামাসের

যুদ্ধকালীন সময়ের জন্য জরুরি জাতীয় ঐক্যের সরকার গঠন করেছে ইসরায়েল। ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর গাজায় বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। গাজা সীমান্তে তিন লাখ সেনা মোতায়েনও করেছি দেশটি।
হামাসকে দমনে সর্বশেষ বিরোধী দলগুলো সমন্বয়ে জরুরি সরকার গঠনা করা হয়েছে। এদিকে হামাস বলছে, তারা এখনও ইসরায়েলের অভ্যন্তরে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বুধবার (১১ অক্টোবর) সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং বিরোধী দলীয় নেতা বেনি গ্যান্টজের সাথে একটি যুদ্ধকালীন মন্ত্রীসভা গঠনে সম্মত হয়েছে এবং যুদ্ধেই সম্পূর্ণ মনোনিবেশ করেছেন। গ্যান্টজের ন্যাশনাল ইউনিটি পার্টির সঙ্গে এক যৌথ বিবৃতিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দক্ষিণ ইসরায়েলে ঢুকে হামাসের হামলার নিন্দা জানিয়েছেন এবং ইরান সমর্থকদের লক্ষ্য করে সতর্কতা জারি করেছেন।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, শনিবার সীমান্ত প্রাচীর ভেঙে হামাসের অতর্কিত হামলার পর থেকে এখন পর্যন্ত ১,২০০ ইসরায়েলির মৃত্যু হয়েছে এবং আহত হয়েছেন আরো ২,৭০০ জনের বেশি।
এদিকে হামাসের সশস্ত্র শাখা আল কাসাম ব্রিগেড জানিয়েছে, তারা বুধবারও ইসরায়েলের ভেতরে যুদ্ধ করছে। ইসরায়েল গাজার ঠিক উত্তরে ট্যাংক ও সাঁজোয়া যান মোতায়েন করেছে। তবে দেশের অভ্যন্তরে সংঘর্ষের বিষয়ে হামাসের দাবির প্রসঙ্গে কোনো মন্তব্য করেনি।
গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের হামলায় ১,০৫৫ জন নিহত এবং ৫,১৮৪ জন আহত হয়েছে। হামাস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রায় ৫৩৫টি আবাসিক ভবন ধ্বংস হয়েছে এবং আড়াই লাখ মানুষ এখন গৃহহীন। বাস্তুচ্যুতদের বেশিরভাগই জাতিসংঘের মনোনীত আশ্রয়কেন্দ্রে আছেন, অন্যরা ভাঙাচোরা রাস্তায় দিন পার করছেন।
হামাসের হামলাকে ইসরায়েলের ৭৫ বছরের ইতিহাসে ফিলিস্তিন থেকে সবচেয়ে বড় হামলা বলা হচ্ছে। ইসরায়েল সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা রাতারাতি গাজা শহরের আশেপাশের ২০০টিরও বেশি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে।