২০৪৬ সালের ভালোবাসা দিবসেই পৃথিবীর বুকে পড়তে পারে একটি গ্রহাণু
মহাবিশ্বের লাখো গ্রহাণুর মধ্যে অতি অল্পসংখ্যকেরই পৃথিবীতে আঘাত হানার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা নতুন একটি মহাজাগতিক বস্তু খুঁজে পেয়েছেন যা ভবিষ্যতে পৃথিবীর জন্য বড় হুমকি হিসেবে দেখা দিতে পারে। খবর সিবিএস নিউজ-এর।
২০২৩ ডিডব্লিউ নামক ওই গ্রহাণুটির সন্ধান গত ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রথম পাওয়া যায় বলে জানিয়েছে ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি (ইএসএ)। এখন এটি সংস্থাটির রিস্ক লিস্ট-এ জায়গা করে নিয়েছে। এ তালিকায় সেসব মহাজাগতিক বস্তুকেই রাখা হয় যেগুলো আঘাত হানলে পৃথিবীর ওপর বড় প্রভাব পড়তে পারে। ২০২৩ ডিডব্লিউ রিস্ক লিস্টে এখন প্রথম স্থান দখল করেছে।
তবে এতে আপাতত দুশ্চিন্তায় পড়ার কিছু নেই, কারণ সমূহ কোনো বিপদের আভাস নেই ওই গ্রহাণুটি থেকে। বিজ্ঞানীদের ধারণা এটির ব্যাস ৫০ মিটার ও দৈর্ঘ্য অলিম্পিক সাইজের একটি সুইমিং পুলের মতো। তবে গ্রহাণুটির আকার এর চেয়ে বড় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তারা।
ইএসএ'র অনুমান, এ গ্রহাণুটির পৃথিবীতে আঘাত হানার সম্ভাবনা ৬০৭ ভাগের এক ভাগ। সংস্থাটির ধারণা অনুযায়ী, এটি ২০৪৬ সালের ভালোবাসা দিবসে পৃথিবীতে আঘাত হানতে পারে। এমনকি ২০৪৭ থেকে ২০৫১ সালের ভালোবাসা দিবসগুলোতেও এটির পৃথিবীর বুকে পতিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা'র প্ল্যানেটারি ডিফেন্স কোঅর্ডিনেশন অফিস জানিয়েছে, তারা ২০২৩ ডিডব্লিউ'র ওপর নজর রাখছে এবং ২০৪৬ সালে এটির পৃথিবীতে আঘাত হানার ঝুঁকি 'খুবই কম।'
সংস্থাটি এক টুইটে জানিয়েছে, 'প্রায় সময়ই যখন কোনো নতুন বস্তুর সন্ধান পাওয়া যায়, তখন এটির ভবিষ্যৎ কক্ষপথ সম্পর্কে উপযুক্তভাবে পূর্বাভাস দিতে কয়েক সপ্তাহ লেগে যায়।
নভোচারী পিয়েরো সিকোলি এ গ্রহাণুটির সম্ভাব্য পতনের স্থান হিসেব করেছেন। তার অংক অনুযায়ী, এটি ভারত মহাসাগর ও ইউ. এস. ইস্ট কোস্ট-এর মাঝখানে পড়তে পারে।
সিকোলি কেবল এক ধরনের অনুশীলন হিসেবে এ হিসেবটি করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, গ্রহাণুটির আঘাত করার সম্ভাবনা ভবিষ্যতে আরও কমে আসবে এবং একইসঙ্গে এটির পতনস্থলও বদলে যাবে।