এশিয়ার জন্য মূল্যস্ফীতির চেয়ে বড় উদ্বেগ ডলারের দর বৃদ্ধি
এশিয়ার জন্য মূল্যস্ফীতির চাইতে ডলারের ক্রমাগত শক্তিশালী হওয়াটা বেশি উদ্বেগের বিষয়। সিঙ্গাপুরের ডিবিএস ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তৈমুর বেগ বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যম সিএনবিসিকে এ কথা বলেন।
২৮ জুলাই সিএনবিসির 'স্ট্রিট সাইন এশিয়া'কে তিনি বলেন, 'এশিয়ার দেশগুলোতে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ নীতি নিয়ে আমরা বিশেষ চিন্তিত নই। তবে বিনিময় হারের দুর্বলতা, ডলারের তারল্য কমে যাওয়া, এগুলোই বড় সমস্যা।'
তিনি বলেন, 'আগামী বছর যদি সত্যিই ইনপুট প্রাইস [কোনো সেবা বা পণ্য উৎপাদনের মোট খরচ] বাড়ে, তাহলে ভারতের মতো দেশও—যারা নিজেদের জন্য খাদ্য উৎপাদনের পাশাপাশি বিদেশে রপ্তানি করে—২০২৩ সালের জন্য খাদ্য সরবরাহ নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে শুরু করবে।'
ডিবিএসের প্রধান অর্থনীতিবিদও তৈমুর বাইগ। তিনি বলেন, বৈশ্বিক জ্বালানি সঙ্কট মূল্যস্ফীতি আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। এতে সামনের শীতে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে।
বাইগ বলেন, 'অল্প সময়ের মধ্যে ইউরোপের গ্যাস পরিস্থিতি কীভাবে সামাল দেয়া হবে, তা আমি বুঝতে পারছি না। …চীন এখনও জিরো-কোভিড নীতি থেকে বেরিয়ে আসেনি। [জ্বালানি সংকট] শুধু বাড়ি গরম রাখার ইস্যুই নয়, আগামী বছর খাদ্য মূল্যস্ফীতিতে প্রভাব ফেলার মতো বড় ফ্যাক্টরও এটি।
'ইস্যুটি ইউরোপের হলেও এটি সারা বিশ্বেই জ্বালানির দামে প্রভাব ফেলছে।'
তবে ডলারের মূল্যবৃদ্ধিকে বড় উদ্বেগের বিষয় উল্লেখ করেন তৈমুর বাইগ। তাই পরিস্থিতি সামাল দিতে এশিয়ার দেশগুলোকে সময়োপযোগী মুদ্রানীতি গ্রহণের আহ্বান জানান তিনি।
অন্যদিকে আইএমএ এশিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক রিচার্ড মার্টিন বলেছেন, সর্বকালের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছার পথে ডলার। ফলে অন্যান্য দেশের মুদ্রার মান ক্রমাগত কমছে।
মার্টিন বলেন, অপেক্ষাকৃত ভালো অবস্থানে থাকা উদীয়মান অর্থনীতিগুলো সুদহার বৃদ্ধি অব্যাহত রাখবে।
তিনি বলেন, শিগগিরই এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের উপায় দেখছেন না। তবে আগামী বছরের শুরু থেকে ঘুরে দাঁড়াতে পারে অন্য সব মুদ্রার দাম।
- সূত্র: সিএনবিসি