মিয়ানমারের সংকট: কোন পথে হাঁটছে আন্তর্জাতিক রাজনীতি

মতামত

15 April, 2021, 10:05 pm
Last modified: 15 April, 2021, 10:06 pm
বিশ্বের অধিকাংশ দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থা মিয়ানমারের সামরিক অভ্যুত্থানের নিন্দা জানিয়ে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেয়ার আহ্বান জানালেও এ ব্যাপারে রাশিয়াকে অনেকটা নীরব থাকতে দেখা গেছে। চীন, অং সান সু চি ও অন্যান্য রাজনৈতিক নেতাদের মুক্তির পক্ষে মত দিলেও সামরিক সরকারের ক্ষমতা গ্রহণকে দেশটির 'রাষ্ট্র ক্ষমতার পালাবদল' হিসেবেই আখ্যা দিয়েছে।

১৯৪৮ সালে বৃটেনের উপনিবেশিক শাসন থেকে মুক্ত হওয়া দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমার পাঁচ দশকের অধিক সময় সামরিক শাসনাধীন থাকার পর তথাকথিত গণতন্ত্রের মুখ দেখলেও সাম্প্রতিক সময়ের সামরিক অভ্যুত্থান দেশটির ভবিষ্যৎকে আবারও অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিয়েছে।

গত বছরের ৮ই নভেম্বর অনুষ্ঠিত হওয়া জাতীয় নির্বাচনে সাবেক স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি'র দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির বিপুল ভোটে জয়লাভ করে। নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও জালিয়াতির অভিযোগ এনে চলতি বছরের পহেলা ফেব্রুয়ারি, প্রথম সংসদ অধিবেশনের ঠিক আগের রাতে সেনা প্রধান মিন অং হ্লাইং এর নেতৃত্বে রক্তপাতহীন এক সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে অং সান সু চি ও প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট সহ দেশটির শীর্ষস্থানীয় নেতাদের গ্রেপ্তার ও গৃহবন্দী করে এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করে সামরিক জান্তা। এরপর থেকেই দেশটিতে শুরু হয়েছে এক অরাজক অবস্থা।
 
সু চি সহ অন্যান্য নেতাদের মুক্তি ও নির্বাচিত দলের হাতে ক্ষমতা ফিরিয়ে দিয়ে পুনরায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে হাজার হাজার নাগরিক দেশটির রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। সামরিক জান্তা বিরোধী বিক্ষোভে সেনাবাহিনীর কঠোরতায় এ পর্যন্ত দেশটির প্রায় সাত শতাধিক নাগরিক প্রাণ হারিয়েছে এবং দুই হাজার আটশ'র বেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আন্দোলন দমাতে সরকার কঠোর নীতি ও উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন অস্ত্রের ব্যবহার দেশটিকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে পারে বলে বিশ্লেষকগণ মনে করে করছেন। যেকারণে দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার নিরাপত্তার ক্ষেত্রে হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে মিয়ানমার।

১৯৪৮ সালে বৃটেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের পর থেকেই মিয়ানমার কখনো প্রত্যক্ষ বা কখনো পরোক্ষভাবে সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণেই ছিলো। এসময় দেশটিতে গড়ে ওঠে বেশ কতগুলো সশস্ত্র বিদ্রোহী দল, যারা বিভিন্ন সময়ে সামরিক সরকারের বিরূদ্ধে বিদ্রোহ করেছে। এছাড়া জাতিগত দাঙ্গা হাঙ্গামা, দুর্নীতি, সংকট, বিচ্ছিন্নতাবাদী নীতি এসব কিছু মিয়ানমারের ইতিহাসে খুব সাধারণ ব্যাপার।

২০০৮ সালে সামরিক শাসক কর্তৃক প্রণীত নতুন সংবিধানে  সেনাবাহিনীকে দেয়া হয়েছে অপ্রতিরোধ্য ক্ষমতা। সংবিধান অনুযায়ী পার্লামেন্টের ২৫ শতাংশ আসন সেনাবাহিনীর জন্য সংরক্ষিত রাখা হয়েছে ও সংবিধান সংশোধনের ক্ষেত্রে তাদেরকে ভেটো ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। সংবিধান সংশোধনের জন্য পার্লামেন্টের ৭৫ শতাংশের বেশি ভোটের প্রয়োজন হয়। এছাড়া স্বরাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও প্রণয়নে সেনাবাহিনীর মতামত প্রদানের ক্ষেত্রে বিশেষ প্রাধান্যের জায়গা রয়েছে। মূলত এমন সংবিধানের কারণেই মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা এতটা অপ্রতিরোধ্য।
 
২০১১ সালে বেসমারিক সরকার ক্ষমতায় আসার পর মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক যাত্রা শুরু হতে থাকে। নানা ধরণের সংস্কার হয় এই সময়। রাজনৈতিক বন্দিদের সাধারণ ক্ষমা ও মুক্তি দেয়া হয়, মিডিয়া সেন্সরশিপ শিথিল করা হয় এবং বৈদেশিক বাণিজ্য ও বিনিয়গের প্রতি মনোযোগ দেয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৫ সালে মিয়ানমারের ইতিহাসে প্রথমবারের মত বহুদল ভিত্তিক সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এবং মিয়ানমারের স্বাধীনতা আন্দোলনের নায়ক জেনারেল অং সানের কন্যা আং সান সু চি বিপুল ভোটে জয়লাভ করে সরকার গঠন করেন।

তবে বেসামরিক গণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় বসলেও সেনাবাহিনীর সাংবিধানিক অপ্রতিরোধ্য ক্ষমতার ছাপ মিয়ানমারের রাজনৈতিক আচরণ ও কর্মকাণ্ডে স্পষ্ট ছিল ২০১৫ সালের নির্বাচনের পরেও। রোহিঙ্গা সংকট তার সবচেয়ে বড় উদাহরণ। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ও দেশ সমূহ যখন বলেছে রোহিঙ্গা ইস্যুতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে মিয়ানমারে, তখন নোবেল শান্তি পুরষ্কার জয়ী অং সান সু চি সম্পূর্ণ বিষয়টি উপেক্ষা করে গিয়েছিলেন, যা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তার ভাবমূর্তিকে মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ণ করে। এমনকি সু চির নোবেল পুরষ্কার ফিরিয়ে নেয়ারও দাবি উঠেছিলো। তবে গণতান্ত্রিক নেতা হয়ে সামরিক বাহিনীর ইচ্ছামাফিক কাজ করেও শেষ রক্ষা হয়নি সু চি'র। চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি সামরিক বাহিনী কর্তৃক সু চি'র গ্রেপ্তার তারই প্রমাণ দিয়েছে।

গত ৯ এপ্রিল সামরিক জান্তা আগামী দুই বছরের মধ্যে নিবার্চন অনুষ্ঠিত হবে এমন ঘোষণা দিলেও আদৌ নির্বাচন হবে কিনা বা কতদিন সামরিক শাসন কায়েম থাকবে এ নিয়েও অনিশ্চয়তার শেষ নেই। কেননা মিয়ানমারের ইতিহাস ঘাটলেই বোঝা যায় সামরিক শাসন সেখানে কতটা শক্তিশালী এবং স্থায়ী। তথাকথিত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার মাত্র ৫ বছরের মাথায়ই সামরিক বাহিনী আবারও ক্ষমতা দখল করে বসেছে।

বিশ্বের অধিকাংশ দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থা সামরিক অভ্যুত্থানের নিন্দা জানিয়ে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেয়ার আহবান জানালেও এ ব্যাপারে রাশিয়াকে অনেকটা নীরব থাকতে দেখা গিয়েছে। চীন, অং সান সু চি ও অন্যান্য রাজনৈতিক নেতাদের মুক্তির পক্ষে মত দিলেও সামরিক সরকারের ক্ষমতা গ্রহণকে দেশটির রাষ্ট্র ক্ষমতার পালাবদল হিসাবে আখ্যা দিয়েছে। এমনকি সামরিক অভ্যুত্থানের বিরূদ্ধে জতিসংঘ নিন্দা প্রস্তাব আনলে সেখানে ভেটো প্রদান করে চীন। বোঝাই যাচ্ছে মিয়ানমার চীনকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে শক্ত খুঁটি বানাতে ভালভাবেই সফল হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের কয়েকটি দেশ মিয়ানমারের উপর নিষেধাজ্ঞা প্রদান করলেও এক্ষেত্রে দশকের পর দশক ধরে বিচ্ছিন্নতাবাদী নীতি অনুসরণকারী সামরিক সরকারের ভ্রূক্ষেপ হবে না বলেই ধরে নেয়া যেতে পারে। কেননা অধিকাংশ দেশ সামরিক জান্তার বিরূদ্ধে নিন্দাজ্ঞাপন ও স্বীকৃতি না দিলেও মিয়ানমারের সামরিক শাসকের মুখপাত্র একথা অস্বীকার করে ঘোষণা দিয়েছেন তাদের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আছে।

২০১১ সাল থেকে দেশটি ব্যবসায়, বাণিজ্য, অর্থনীতি ও কূটনৈতিক ক্ষেত্রে নীতি সম্প্রসাণের ফলে বিভিন্ন দেশ বিশেষত চীন মিয়ানমারে বিভিন্ন ব্যবসায় খাতে সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ করেছে। প্রতিবেশি দেশগুলোরও বিনিয়োগ রয়েছে বিভিন্ন খাতে। কিন্তু দেশটির বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় অর্থনীতি, ব্যবসায় ও বিনিয়োগ যে হুমকির মুখে পড়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই চীনসহ বিনিয়োগকারী দেশসমূহের উচিত হবে মিয়ানমারে গণতন্ত্র ও স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা।

মিয়ানমারের অস্থিতিশীল পরিস্থিতির ফলস্বরূপ এ অঞ্চলে রোহিঙ্গা অভিবাসী সংকটের পর আরেকটি অভিবাসী সংকটের সম্ভবনা কেউ একেবারে উড়িয়ে দেয়া যায় না। সামরিক শাসন দীর্ঘদিন চলতে থাকলে দেশে খাদ্য সংকট, বেকারত্ব ও সহিংসতা বা গৃহযুদ্ধের মত পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। এসব থেকে বাঁচতে সীমানা পেরিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশ সমূহে মিয়ানমারের জনগণের পাড়ি জমানো খুব বেশি অস্বাভাবিক নয়। সেক্ষেত্রে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, চীন, থাইল্যান্ড, বাংলাদেশ, লাওস নতুন করে অভিবাসী সমস্যায় পড়তে পারে।

মিয়ানমারে ২০ টিরও বেশি জাতিগত সশস্ত্র সংগঠন (Ethnic Armed Organizations- EAOs) সক্রিয় রয়েছে। স্বাধীনতার পর থেকে এইসব সংগঠন সরকারের বিরূদ্ধে অসংখ্যবার ছোট বড় বিদ্রোহ ঘটিয়েছে। দেশটিতে জনসংখ্যার দুই তৃতীয়াংশ বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী বামার এবং বাকি এক তৃতীয়াংশ অন্যান্য ধর্ম ও গোষ্ঠীয় মানুষ। সংখ্যালঘু এবং সংখ্যাগুরু গোষ্ঠির মধ্যে বা সরকারের বিরূদ্ধে সহিংসতা মিয়ানমারের জন্য নতুন কিছু নয়।

তবে সংশয়ের কথা হলো, এবার সামরিক অভ্যুত্থানের পর দেশের মানুষ প্রচন্ডভাবে আন্দোলনমুখী হয়ে উঠেছে এবং এই আন্দোলনমুখী মানুষগুলো যে বিভিন্ন সশস্ত্র সংগঠনে যোগ দিয়ে সামরিক জান্তার বিরূদ্ধে গৃহযুদ্ধ শুরু করবে না এর কোনো নিশ্চয়তা নেই। যদি এই সহিংসতা গৃহযুদ্ধের দিকে মোড় নেয় তবে সেটা শুধু মিয়ানমারের জন্যই নয় বরং দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার অন্যান্য দেশ সমূহের জন্যও একটি খারাপ খবর। কেননা গৃহযুদ্ধ পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে নিশ্চিতভাবেই অভিবাসী সংকট তৈরি হবে।

মিয়ানমারের সহিংসতার প্রভাব সীমানা ছাড়িয়ে পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর উপরেও পড়তে পারে। প্রতিটি দেশেই ছোট বা বড় কিছু বিদ্রোহী দল থাকে। মিয়ানমারের সহিংসতা আশেপাশের দেশের বিদ্রোহী দলগুলোকে তাদের অবস্থানে সক্রিয় করে তুলতে পারে, যাকে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ভাষায় "স্পিল ওভার তত্ত্ব" (Spill Over Theory) বলা হয়।

এছাড়া এমন পরিস্থিতে প্রক্সি যুদ্ধের (Proxy War) সম্ভবনাকেও বাদ দেয়া যায় না। ইতিমধ্যে চীনকে মিয়ানমারের প্রতি নমনীয় ভাব প্রকাশ করতে দেখা গেছে। ভারত মিয়ানমারের সামরিক অভ্যুত্থানের নিন্দা জানালে, চীন ব্যাপারটাকে মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিষয় হিসাবে আখ্যা দিয়ে ভারতের প্রতি সতর্ক বার্তা জানিয়েছে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারকে নিয়ে কঠোর বক্তব্য দিয়েছে। এ ব্যাপারে আন্তর্জাতিকভাবে খুব কার্যকর কোনো ব্যবস্থা এখনও পর্যন্ত গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি অনেকটা চীনের কারণে। সুতরাং মিয়ানমারের সহিংসতা যদি দেশের সীমানা পেরিয়ে যায়, তাহলে চীন ও রাশিয়ার সাথে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের প্রক্সি যুদ্ধের সম্ভবনাকে একেবারে উড়িয়ে দেয়া যাবে না। এর প্রমাণ ভিয়েতনাম, কোরিয়া ও আফগানিস্তান যুদ্ধেই বিশ্ববাসী পেয়েছে।

এখানে যুক্তি আসতে পারে, একাবিংশ শতকে এসে রাষ্ট্রগুলো নিজেদের স্বার্থ খুব ভালোভাবেই বোঝে এবং তারা অস্ত্রের মজুদ বাড়ালেও সেটা যুদ্ধে ব্যয় করতে চায় না। বরং সেটা "নিবারণ তত্ত্ব" (Deterrence Theory)- এর ভিত্তিতে কাজে লাগাতে চায়। অর্থ্যাৎ, যে দেশের যথেষ্ট পরিমাণ সামরিক সক্ষমতা রয়েছে সেদেশের অন্যদেশ দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভনা কম।

তবে একাবিংশ শতকে দেশগুলো হার্ড পাওয়ার (Hard Power), তথা সামরিক শক্তি ব্যবহারে খুব বেশি উদ্ধত না হলেও সফট পাওয়ার (Soft Power) তথা রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উপাদানগুলো ব্যবহার করতে পারে। বাণিজ্য যুদ্ধ হতে পারে এর অন্যতম উদাহরণ, যেটা কিছু দিন পূর্বেই যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে প্রত্যক্ষ করেছে বিশ্ববাসী।
 
সুতরাং মিয়ানমারের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বর্তমানে অন্যান্য দেশের জন্য খুব বেশি দুঃশ্চিন্তার কারণ না হলেও ভবিষ্যতে এ অঞ্চলের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে মিয়ানমার খুব বড় ধরণের হুমকি হয়ে উঠতে পারে। এই বাস্তবতা চীন এবং রাশিয়া হয়ত এখনও আমলে নিচ্ছে না, এর কারণ হতে পারে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং আজীবন এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আগামী ১৫ বছর টানা ক্ষমতায় থাকার পথ প্রশস্ত করে নিজেদের দেশে অনেকটা অনুচ্চারিতভাবে স্বৈরতন্ত্র কায়েমের পথে হাঁটছে।

হয়ত এজন্যই মিয়ানমারের ব্যাপারেও তারা সমর্থন দিচ্ছে, যেনো এমন রাষ্ট্র ব্যবস্থাকেই প্রচলিত (New Normal) বানানো যায়। তবে যে ভাবনা থেকেই তারা মিয়ানমারকে নীরব অথবা সরব সমর্থন দিয়ে যাক না কেনো, এই পরিস্থিতি দ্রুত সমাধান এ অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য জরুরী। এক্ষেত্রে চীন ও রাশিয়াকে প্রতিহত করে যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, জাপান সহ অন্যান্য মিত্র দেশ সমূহ কতটা কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে এখন সেটাই দেখার পালা।

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.