বাইডেনের পররাষ্ট্রনীতির উচ্চাকাঙ্খা পূরণের পথ কতটা কণ্টকময়
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে যেই মহা কর্মযজ্ঞ হাতে নিয়েছিলেন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট হ্যারি এস ট্রুম্যান, বর্তমান সময়ে করোনা মোকাবেলা ও এর অর্থনৈতিক ক্ষতি সামাল দিতে অনেকটা সেরকমই কর্মযজ্ঞ হাতে নিয়ে পররাষ্ট্রনীতিকে ঢেলে সাজাচ্ছেন বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
দ্বিপাক্ষিক পররাষ্ট্রনীতির চেয়ে বহুজাতিক পররাষ্ট্রনীতির প্রতিই বাইডেন প্রশাসনের অধিক আগ্রহ প্রকাশ পেয়েছে। নির্বাচন পূর্ববর্তী সময় থেকেই মি. বাইডেন গণতন্ত্র, মানবাধিকার, নমনীয়তা ও সদয় মনোভাবের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে বিষয়গুলো তার বর্তমান পররাষ্ট্রনীতিতে লক্ষণীয়। তবে নীতি নির্ধারণে তিনি সদায়তার পরিচয় দিলেও ঐতিহাসিকভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বৈরী দেশ রাশিয়া ও চীনের প্রতি তিনি কঠোর বাক্যই উচ্চারণ করেছেন।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর স্নায়ুযুদ্ধকালীন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির মূল উদ্দেশ্য ছিলো বিশ্বে কমিউনিজম তথা তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের (বর্তমান রাশিয়া) প্রভাব কমিয়ে পুঁজিবাদী নেতৃত্ব বৃদ্ধি ও অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার। একইভাবে বর্তমান মার্কিন পররাষ্ট্রনীতিতেও কমিউনিস্ট রাষ্ট্র চীন এবং রাশিয়া সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে। সেই সাথে করোনা ভাইরাস মোকাবেলা ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও স্বদেশ পূণর্গঠনের প্রতি অধিক জোর দেয়া হয়েছে।
করোনা ভাইরাস মোকাবেলা এবং শক্তি ও অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে চীন নিজেকে "উলফ ওয়ারিয়র" বা নেকড়ে যোদ্ধা হিসেবে ঘোষণা দেয়ার প্রেক্ষাপটে অনেকটা প্রতিউত্তর হিসেবেই এশিয়ার দুই বৃহৎ রাষ্ট্র ভারত ও জাপান, এবং অস্ট্রেলিয়াকে নিয়ে করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় সহযোগিতার ক্ষেত্র তৈরিতে প্রেসিডেন্ট বাইডেন গত ১২ই মার্চ ভার্চ্যুয়াল কোয়াড সামিট করেছেন। উল্লেখ্য ভারত এবং জাপান এশিয়া অঞ্চলে চীনের অন্যতম বৈরী রাষ্ট্র। এই সামিট চীনের বিরুদ্ধে এ অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের সতর্ক বার্তা হিসেবে ধরে নেয়া করা যেতে পারে।
অন্যদিকে রাশিয়ার ব্যাপারেও যুক্তরাষ্ট্র তার ঐতিহাসিক মনোভাব বজায় রেখেছে। সম্প্রতি বাইডেন প্রশাসন জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক ২৩ পৃষ্ঠার একটি খসড়া প্রণয়ন করেছে যেখানে রাশিয়ার প্রতি কঠোর নীতি গ্রহণের ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে। তাছাড়া কিছুদিন পূর্বেই এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে "খুনি" হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। বিশ্লেষকদের মতে প্রেসিডেন্ট বাইডেন "পদ্ধতিগত বিরোধিতা" (Systematic rivarly)-এর গোঁড়া নীতিতে বিশ্বাসী।
২০১৭ সালের শেষ দিকে স্নায়ুযুদ্ধকালীন যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত রাশিয়ার বৈরীতা বিষয়ক এক বিশ্লেষণাত্বক প্রবন্ধে বাইডেন লিখেছিলেন,"আজ, রাশিয়ার সরকার নির্লজ্জভাবে বিশ্বজুড়ে পশ্চিমা গণতন্ত্রের ভিত্তিকে আঘাত করছে।" রাশিয়ার বিরোধী দলীয় নেতা আলেক্সি নাভালনিকে বিষ প্রয়োগের ঘটনায় বাইডেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের কড়া সমালোনা করেন এবং রুশ কর্মকর্তাদের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। অন্যদিকে, চীনের জিংজিয়ান এবং হংকং ইস্যুতে আইনের শাসন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ করেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন।
এ থেকেই বোঝা যাচ্ছে চীন ও রাশিয়ার প্রতি বাইডেন প্রশাসন ঐতিহাসিক বৈরী নীতিতেই বিশ্বাস রাখছে।
বহির্বিশ্বের সাথে সম্পর্ককেই যে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বের সাথে দেখছে যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রশাসন এতে কোনো সন্দেহ নেই। নির্বাচিত হওয়ার পর মি. বাইডেন সর্বপ্রথম পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পরিদর্শনে যান এবং জার্মানি থেকে যেকোনো ধরণের মার্কিন বাহিনী প্রত্যাহার বন্ধের ঘোষণা দেন। এমন ঘোষণা যে ন্যাটো সদস্যদের মধ্যে আস্থা ফিরিয়ে আনতে এবং রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনকে সংকেত দিতেই তিনি দিয়েছেন তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
এছাড়া ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ তারিখে মিয়ানমারে সেনাবাহিনী কর্তৃক রক্তপাতহীন অভ্যুথানের কড়া সমালোচনা করে সেনাপ্রধানকে ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
অন্যদিকে, ইয়েমেন যুদ্ধের বিপরীতে অবস্থান নিয়ে, যুদ্ধে সকল প্রকার সামরিক ও গোয়েন্দা সহায়তা বন্ধ করে দিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। তবে ইরানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে সৌদি আরবের পাশে থাকার মনোভাব প্রকাশ করে উভয়ই কূলই রক্ষা করেছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। এসব নীতির তাৎপর্য হলো এখন থেকে যুক্তরাষ্ট্র মানবিক কূটনীতির পথে হাটবে যেমনটা নির্বাচনের পূর্বেই ধারণা করা গিয়েছিলো।
বাইডেনের পররাষ্ট্রনীতির অরেকটি অন্যতম দিক হলো মিত্র রাষ্ট্রগুলোর সাথে সহযোগিতা ও সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখা যেটা সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সময়ে অনেকটা বিতর্কের সম্মুখীন হয়েছিলো। এছাড়াও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চুক্তি ও সংস্থার সদস্যপদ প্রত্যাহার করে নেয়ায় ট্রাম্প প্রশাসনকে বেশ সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয়েছিলো। তবে বাইডেন প্রশাসনকে সেইসব বির্তক ও সমালোচনা ঘুঁচিয়ে মিত্রদের সাথে সৌহার্দপূর্ণ কূটনীতির পথে অগ্রসর হতে দেখা যাচ্ছে। ট্রাম্প প্রশাসন যে সকল আন্তর্জাতিক চুক্তি ও সংস্থা থেকে বেরিয়ে পড়েছিল সেসকল চুক্তি ও সংস্থায় পুনরায় ফিয়ে যাওয়ার ঘোষণাও ইত্যমধ্যে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন।
চুক্তিগুলোর মধ্যে অন্যমত একটি হলো ইরানের সাথে ২০১৫ সালের জুলাই মাসে সাক্ষরিত হওয়া "জয়েন্ট কম্প্রিহ্যান্সিভ প্ল্যান অব একশন" নামক পরমাণু চুক্তিটি। ইরানের পরমাণু সক্ষমতা যেনো বিশ্বের জন্য হুমকির কারণ না হয়ে দাঁড়ায় সেই উদ্বেগ থেকে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এই চুক্তির উদ্যোগ নিয়েছিলেন। চুক্তিটি সাক্ষরিত হয়েছিলো জার্মানিসহ নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচটি স্থায়ী সদস্য রাষ্ট্র (যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, রাশিয়া ও ফ্রান্স) এবং ইরানের মাঝে। কিন্তু ২০১৮ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প চুক্তি প্রত্যাহার করে ইরানের উপর পুনরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলে ইরানও চুক্তির নীতি ভঙ্গ করে অধিক পরিমাণ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধির ঘোষণা দেয়। ট্রাম্পের এমন অদক্ষ কূটনৈতিক সিদ্ধান্তের জন্য অনেক মিত্র রাষ্ট্রও ট্রাম্প প্রশাসনের সমালোচনা করেছিলো। তবে আশার কথা হচ্ছে বর্তমান প্রশাসন শান্তিপূর্ণভাবে ইরানের সাথে পূর্বের চুক্তিতে ফিরে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে।
এছাড়া ২০১৫ সালে কপ-২১ এর মাধ্যমে ১৯৬ টি দেশ কর্তৃক গৃহীত প্যারিস জলবায়ু থেকেও ট্রাম্প প্রশাসন বেরিয়ে যায়। যার ফলে এই চুক্তির ভবিষ্যৎও অনেকটা হুমকির মুখে পড়েছিলো। কেননা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের অন্যতম প্রধান কার্বন নিঃসরণকারী দেশ। সম্প্রতি এই চুক্তিতেও ফিরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। ইউনেস্কো এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকেও সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সদস্যপদ প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন। এসব সংস্থায়ও ফিরে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বাইডেন।
আফ্রিকা মহাদেশের দেশগুলোও বাইডেন প্রশাসনের নজর এড়িয়ে যায়নি। হর্ন অব আফ্রিকা অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় উদ্যোগ ইতমধ্যেই গ্রহণ করা হয়েছে।
মোটকথা বাইডেন প্রশাসনের বর্তমান নীতিতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর তৎকালীন বহুপাক্ষিক ও বহুজাতিক নীতি যেমন - দেশ পুণর্গঠন, কূটনীতিক আলিঙ্গন, অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর মাধ্যমে সহযোগিতা বৃদ্ধি ইত্যাদি বিষয়সমূহ স্পষ্ট প্রতীয়মান। তবে চিন্তার কথা হলো, ট্রাম্প প্রশাসনামলে নেয়া অসংখ্য অদক্ষ সিদ্ধান্তের চাপ কাটিয়ে উঠে ৪ বছরে যুক্তরাষ্ট্র দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তরকালীন শক্তিশালী প্রভাব সারা বিশ্বে প্রতিষ্ঠা করতে কতটুকু সক্ষম হতে পারবে! কেননা বর্তমান বিশ্বে নতুন শক্তি চীনের আবির্ভাব ঘটেছে। জিডিপি তে বিশ্বের ১ নম্বর দেশ যুক্তরাষ্ট্র হলেও ক্রয়ক্ষমতা অনুসারে বিশ্বের ১ নম্বর দেশ এখন চীন। বিশ শতকে যুক্তরাষ্ট্র তার দক্ষ কূটনীতি ও কৌশলগত সিদ্ধান্তের মাধ্যমে সামরিক ও অর্থনৈতিক শক্তিতে সোভিয়েত রাশিয়াকে ছাপিয়ে নিজের প্রভাব যতটা সহজে বিস্তার করতে সক্ষম হয়েছিলো বর্তমানে চীনকে টপকানো হয়ত এতটা সহজ হবে না। কারণ এখন যুক্তরাষ্ট্রকে শুধু চীনকে নিয়ে ভাবলেই হবে না, চীনের পাশাপাশি আরও বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ ও জটিল সিদ্ধান্ত নেয়া বাকি রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের।
বাইডেন প্রশাসনের জারিকৃত নতুন নিরাপত্তা কৌশলপত্রে রাশিয়াকে নিয়ে মাত্র তিনটি ছত্র লেখা হয়েছে, যদিও বাইডেন রাশিয়ার ব্যাপারে কঠোর মনোভাব প্রকাশ করেছেন এবং পুতিনকে "খুনি" বলে আখ্যা দিয়েছেন। কিন্তু সেখানে ইউক্রেন এবং বাল্টিক রাষ্ট্রসমূহের ব্যাপারে কিছুই উল্লেখ করা হয়নি। যদি বাইডেন প্রশাসন ইউক্রেনে সহায়তা বাড়ায় সেক্ষেত্রে রাশিয়া ইউক্রেনের উপর আরও বেশি যুদ্ধাংদেহী হয়ে উঠতে পারে বা যুক্তরাষ্ট্রের উপর সাইবার আক্রমণ চালাতে পারে এমন শঙ্কা রয়েছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
উত্তর কোরিয়ার ব্যাপারেও কৌশলপত্রে তেমন স্পষ্ট নীতির উল্লেখ নেই। শুধু বলা হয়েছে পিয়ংইয়ং এর পরমাণু এবং মিসাইল প্রকল্পের বিরুদ্ধে মার্কিন কূটনীতিকদের অবস্থান দৃঢ় করতে হবে। যদি যুক্তরাষ্ট্র উত্তর কোরিয়ার উপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে বা দক্ষিণ কোরিয়ায় মার্কিন সেনার উপস্থিতি বাড়িয়ে দেয় তাহলে উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন পারমানবিক এবং আন্ত:মহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালানোর সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এইক্ষেত্রে পরিস্থিতি মোকাবেলায় মার্কিন কৌশল কী হতে পারে তা এখনও অস্পষ্ট।
ইরানের ব্যাপারে শুধু ঘোষণা দেয়া হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র পূর্বের চুক্তিতে ফিরতে চায়। গেলো বছরের শুরুতে ইরানও শর্তসাপেক্ষে পূর্বের চুক্তিতে ফেরার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলো। কিন্তু এরপরে কাশেম সোলাইমানি হত্যা ও বিজ্ঞানী ফাখরিজাদেহ হত্যার মত আরও কিছু ঘটনা ঘটে যায়, যা পূর্বের চুক্তিতে ফেরার রাস্তাকে আরও কণ্টকময় করে তোলে। এক্ষেত্রে শান্তিপূর্ণ উপায়ে কীভাবে ইরানকে পরমাণু চুক্তিতে ফিরিয়ে আনা যায় সেই সিদ্ধান্তও বাইডেন প্রশাসনকে নিতে হবে অতি বিচক্ষণতার সাথে।
যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারের সেনাঅভ্যুথানের সমালোচনা করে সামরিক কিছু কর্মকর্তাদের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও এক্ষেত্রে চীনের প্রভাবকে প্রতিহত করতে পারেনি। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ মিয়ানমারের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব জানালে সেটা গৃহীত হয়নি শুধুমাত্র চীনের ভেটো দেয়ার ফলে। এদিকে চীনকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে খুঁটি বানিয়ে মিয়ানমারের সামরিক সরকার ক্ষমতা স্থায়ী করার পথ প্রশস্তে ব্যস্ত।
মোদ্দাকথা হোয়াইট হাউজে দুইমাস ষোল দিন বয়সী বাইডেন প্রশাসন নীতি নির্ধারনে বিগত ট্রাম্প প্রশাসনের চেয়ে যথেষ্ট দক্ষতা ও বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়ে কিছু পরিমাণে আন্তর্জাতিক সুনাম কুড়ালেও তাদের নীতিতে বেশ অপূর্ণতা রয়েছে। এসব অপূর্ণতা কাটিয়ে সামনের চার বছরে যুক্তরাষ্ট্র তার বিগত শতাব্দীর অবস্থানে ফিরতে কতটা সফল হবে সেটাই এখন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
- লেখক: সাবেক শিক্ষার্থী, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
- ইমেইল: [email protected]