Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • অন্যান্য
  • English
The Business Standard বাংলা

টিকিট কেটে ফুল দেখা! রাজশাহীর ড্রিমার্স গার্ডেনে এমনটাই ঘটছে 

তরুণ উদ্যোক্তা হাসান আল সাদীর ড্রিমার্স গার্ডেনে ফুল দেখতে প্রতিদিন ভিড় করছেন ১০০-১৫০ জন মানুষ। ফুল দেখিয়ে গড়ে তার মাসিক আয় এখন ২ লাখ টাকার মতো।
টিকিট কেটে ফুল দেখা! রাজশাহীর ড্রিমার্স গার্ডেনে এমনটাই ঘটছে 

বাংলাদেশ

বুলবুল হাবিব
22 February, 2022, 10:50 am
Last modified: 22 February, 2022, 03:44 pm

Related News

  • আম পরিবহনে ‘ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেন’ চালু
  • নগরী সেজেছে ফুলের রঙে
  • প্রত্যন্ত এক গ্রামে মিমের পুর্তলিকা ফুলের আশ্চর্য গল্প
  • নরবলি প্রথার এক বিস্ময়কর স্মৃতিচিহ্ন
  • আবারও দেখা গেছে প্রায় ৪০ বছর বিলুপ্ত ধারণা করা বুনোফুল

টিকিট কেটে ফুল দেখা! রাজশাহীর ড্রিমার্স গার্ডেনে এমনটাই ঘটছে 

তরুণ উদ্যোক্তা হাসান আল সাদীর ড্রিমার্স গার্ডেনে ফুল দেখতে প্রতিদিন ভিড় করছেন ১০০-১৫০ জন মানুষ। ফুল দেখিয়ে গড়ে তার মাসিক আয় এখন ২ লাখ টাকার মতো।
বুলবুল হাবিব
22 February, 2022, 10:50 am
Last modified: 22 February, 2022, 03:44 pm

ফুল কে না ভালোবাসে? তাই বলে পকেটের টাকা খরচ করে ফুল দেখা! কিছুটা অদ্ভুত শোনালেও, এই অদ্ভুত বিষয়টিই বাস্তবে রূপ দিয়েছেন হাসান আল সাদী পলাশ নামের এক তরুণ উদ্যোক্তা। তার প্রতিষ্ঠিত ড্রিমার্স গার্ডেনে বিভিন্ন প্রজাতির ফুল দেখতে তাই প্রতিদিন ভিড় করছেন ১০০-১৫০ জন মানুষ। একেকজন দর্শনার্থীর জন্য প্রবেশ ফি ৫০ টাকা। সেই হিসেবে মানুষকে ফুল দেখিয়ে গড়ে মাসিক আয় তার ২ লাখ টাকার মতো।

হাসান আল সাদী বলেন, 'ফুল দেখার জন্য জনপ্রতি প্রবেশ ফি ৫০ টাকা দিতে হয়। বিষয়টি অদ্ভুতই বটে! যেখানে সাভারের বিরুলিয়ার গোলাপগ্রাম কিংবা খুলনা অঞ্চলের ফুলচাষের গ্রামগুলোতে ফুল দেখতে কোনো টাকা দিতে হয় না। আমি নিজেই সেখানে গিয়ে ফুল দেখে এসেছি। অথচ আমার বাগানে ঢুকে ফুল দেখতে হলে জনপ্রতি ৫০ টাকা ফি দিতে হচ্ছে। আমি নিজেও কখনো ভাবিনি এটা সম্ভব হবে। এবারই পরীক্ষামূলক বিষয়টি করেছি। শনি ও শুক্রবার ছুটির দুইদিন ভিড় বেশি থাকে। সেদিন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ১৫০ থেকে ২০০ জন ফুল দেখতে আসেন। সপ্তাহের অন্যান্য দিন গড়ে ১০০ জন দর্শনার্থীর উপস্থিতি থাকে।'

ছবি-জুবেরী হাসান

হাসান আল সাদী পলাশের ড্রিমার্স গার্ডেন গোদাগাড়ীর পলাশবাড়ী গ্রামে অবস্থিত। সেখানেই ১৩ বিঘা জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত এটি। রাজশাহী শহরের কাশিয়াডাঙ্গা মোড় থেকে দামকুড়াহাট পার হয়ে ৮ থেকে ১০ কিলোমিটার গেলে রাস্তার পাশেই পড়বে ড্রিমার্স গার্ডেন। বরেন্দ্র অঞ্চলের আঁকাবাঁকা পথ দিয়ে প্রকৃতি দেখতে দেখতে পৌঁছানো যায় পলাশবাড়ীতে।

ড্রিমার্স গার্ডেন প্রধানত দেশীয় জাতের আমের একটি বাগান। সেখানে ৩৭০টি দেশী জাতের আমের গাছ রয়েছে। সেই গাছের ফাঁকে ফাঁকে মাটির ওপর টবে তিনি ২০ থেকে ২৫ জাতের ফুলের চাষ করেছেন। টবেই ফুল ফুটিয়ে সেইসব দর্শনার্থীদের জন্য প্রদর্শন করছেন। পুরো বাগান জুড়ে শোভা পাচ্ছে সেইসব ফুল। বাগানের বিভিন্ন স্থানে সারিবদ্ধভাবে টবে যেমন রাখা হয়েছে ফুলগাছগুলো, আবার শেড করে টবে রেখে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে ফুলগাছ।

ছবি-মিথিলা আক্তার

তবে এজন্য আম গাছের ডালগুলো ছেঁটে দিতে হয়েছে, যেন ফুল গাছের ওপর আলো পড়ে।

এমনকি প্রতিটি আম গাছের ডালে ডালে প্রদর্শনীর জন্য টবে করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে নানা রঙের ও বর্ণের ফুলের গাছ। বাগানে ঢুকলেই মনে হবে এক অদ্ভুত জগতে প্রবেশ করেছি। ফুলের এক অন্য রাজ্যে। সেই রাজ্যে শোভা পাচ্ছে টিউলিপ, গ্লাডিওলাস, পিটুনিয়া, সেলোসিয়াসহ অসংখ্য নাম না জানা ফুল। শুধু কি তাই, বাগানের মাঝে মাঝে দর্শনার্থীদের বসার জন্য রাখা হয়েছে চেয়ার...এক অদ্ভুত মনোরম পরিবেশ! তাই তো দর্শনার্থীরা ফুল দেখার সাথে সাথে ফুলের সাথে ছবি তুলছেন। বাগানের মধ্যে রয়েছে পুকুর। সেই পুকুরের পাড়ের চারপাশে ফুলের গাছ তো সারিবদ্ধভাবে রাখা হয়েছেই, সাথে পুকুরে রাখা একটি নৌকাও সাজিয়ে তোলা হয়েছে ফুলের গাছে।

হাসান আল সাদী জানান, আম বাগান এই জমিতে ১৮ বছর ধরে আছে। ফুলের বাগান এ বছরই প্রথম। শীতকালীন ফুল দিয়েই শুরু বলা যায়। আসলে সুপরিকল্পিতভাবে এই বাগানটি গড়ে তোলা  হয়নি। বলা যায়, প্রয়োজন থেকেই ফুলের বাগান করা। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রায় ২০ থেকে ২৫ হাজার চারা এনে, সেই চারাগুলো টবে বড় করে সেখানে ফুল ফুটানো হয়েছে। এরপর তা প্রদর্শনীর জন্য রাখা হয়েছে। ২৫ হাজারের মতো চারাগাছ নিয়ে আসলেও অনেক চারা মরে গেছে। প্রকৃতি ও আবহাওয়ার সাথে টিকতে পারেনি। তবে প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে সফলতাই বলা যায়। এজন্য আগামিতে ফুলগুলো টবে চাষ না করে বেডে করার চিন্তাভাবনা আছে।

ছবি-জুবেরী হাসান

তিনি জানান, 'আলাদা একটি শেডে গাজীপুরের শ্রীপুর থেকে দেলোয়ার ভাইয়ের কাছ থেকে ১০০০টি টিউলিপ বাল্ব নিয়ে এসে লাগিয়েছিলাম। বরেন্দ্র অঞ্চলের পরিচর্যার মাধ্যমে এই বাগানে টিউলিপ ফুটেছিলো। মধ্য জানুয়ারি পর্যন্তও বাগানে টিউলিপ ফুল ছিলো। তখন দর্শনার্থীদের সমাগম আরও বেশি ছিলো। তবে তাপমাত্রা বাড়ায় ফুলগুলো ঝরে গেছে।'

'বরেন্দ্র অঞ্চলে ফুল চাষ একটি চ্যালেঞ্জিং প্রক্রিয়া। আম বাগানের ভেতর ফুলচাষ করা আরও চ্যালেঞ্জিং। আমি কখনো ভাবিনিই যে, আম বাগানে ফুলচাষ করা সম্ভব হবে। এইজন্য স্বল্প পরিসরে টবে ফুল চাষ করেছি। ফুলের প্রতি মানুষের আগ্রহ দেখে আমার পরিকল্পনা আরও বেড়ে গেছে। আগামীতে বড় পরিসরে যাতে করা যায় সেই বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছি। বিশেষ করে যাতে ১২ মাস আম বাগানে ফুল রাখা যায় সেই বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছি। যদিও তা কঠিন। বর্ষাকালে গাছ টিকবে কি না, তখন পরিস্থিতি কেমন হবে, সব বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছি।'

ছবি-জুবেরী হাসান

তবে এই ফুলের মাধ্যমে বরেন্দ্র অঞ্চলে কৃষি পর্যটন গড়ে তোলা সম্ভব বলে মনে করেন তিনি। আগামীতে জার্মেনিশানের মাধ্যমে সারাবছর ফুল প্রদর্শনী ও চারা গাছ বিক্রির পরিকল্পনা আছে বলে জানান তিনি।

প্রতিদিন নানা পেশার, নানা বয়সের মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন হাসান আল সাদী পলাশের ড্রিমার্স গার্ডেনে। গত শনিবার ড্রিমার্স গার্ডেনে গেলে এই প্রতিবেদকের সাথে কথা হয় বিভিন্ন দর্শনার্থীর। তাদের মধ্যে ছিলেন আদালতের বিচারক, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ব্যাংকার, চিকিৎসকসহ নানা পেশার মানুষ। ছিলো শিশুরাও। রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জাহিদ হোসেন বলেন, 'আমি রাজশাহীর সন্তান । বেশ কিছুদিন ধরে ড্রিমার্স গার্ডেনের কথা শুনছিলাম। তাই ছুটিতে রাজশাহী এসেই তড়িঘড়ি করে আজ ড্রিমার্স গার্ডেনে চলে এসেছি। এসে এর পরিবেশ দেখে আমি অভিভূত। আশা করছি, আগামী দুই-তিন বছরে শুধু লোকাল ভিজিটরস না, ট্যুরিস্টও আসবে এই ড্রিমার্স গার্ডেনে ফুল দেখতে। ট্যুরিস্ট আসা শুরু করলে এই অঞ্চলে কৃষি পর্যটন গড়ে তোলা সম্ভব হবে।'

ছবি-মিথিলা আক্তার

একই দিন ড্রিমার্স গার্ডেন দেখতে আসেন বাংলাদেশ ব্যাংক রাজশাহীর শাখার ডিজিএম কাওসার কামাল। তিনি বলেন, 'আমি টিউলিপ ফুল দেখতে এসেছিলাম। তবে এসে দেখি টিউলিপ ফুল মৃত। প্রধানত আবহাওয়ার কারণেই টিউলিপ ফুল বাঁচেনি। তবে টিউলিপ দেখতে না পেলেও এখানকার পরিবেশ দেখে আমি মুগ্ধ। নানা বাহারী ফুলগাছ টবে করে আম গাছের ডালে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। এই আইডিয়াটা আমার নতুন মনে হয়েছে। তবে এটা এখনো রাইজিং পর্যায়ে রয়েছে। আশা করছি ভবিষ্যতে এটি আরও বড় পরিসরে বিস্তৃত হবে। কারণ রাজশাহীতে সেই অর্থে ভ্রমণ করার মতো জায়গা নেই। এই আইডিয়াটা তার কিছুটা পূরণ করবে।' 
 
 

Related Topics

টপ নিউজ

ড্রিমার্স গার্ডেন / রাজশাহী / ফুলচাষ / ফুল

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • হাজারো কোটি টাকার বিনিময়েও আবার ‘জ্যাক স্প্যারো’ হবেন না ডেপ!
  • 'ক্যাপ্টেন জ্যাক স্প্যারো' হতে ডেপকে ২৭৮৯ কোটি টাকার প্রস্তাব ডিজনির!
  • ঘরে ঘরে জ্বর, ডা. এবিএম আব্দুল্লাহর পরামর্শ 
  • ছোট-বড় সব ঋণে ডিসেম্বর পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৭৫% মরাটরিয়াম
  • পদ্মা সেতুর রেলিংয়ের নাট খুলে টিকটকে ভিডিও, সেই যুবক আটক
  • পদ্মা সেতু পাড়ি দিতে বাইকের ১০০, বাসের লাগবে ২৪০০ টাকা

Related News

  • আম পরিবহনে ‘ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেন’ চালু
  • নগরী সেজেছে ফুলের রঙে
  • প্রত্যন্ত এক গ্রামে মিমের পুর্তলিকা ফুলের আশ্চর্য গল্প
  • নরবলি প্রথার এক বিস্ময়কর স্মৃতিচিহ্ন
  • আবারও দেখা গেছে প্রায় ৪০ বছর বিলুপ্ত ধারণা করা বুনোফুল

Most Read

1
বিনোদন

হাজারো কোটি টাকার বিনিময়েও আবার ‘জ্যাক স্প্যারো’ হবেন না ডেপ!

2
বিনোদন

'ক্যাপ্টেন জ্যাক স্প্যারো' হতে ডেপকে ২৭৮৯ কোটি টাকার প্রস্তাব ডিজনির!

3
বাংলাদেশ

ঘরে ঘরে জ্বর, ডা. এবিএম আব্দুল্লাহর পরামর্শ 

4
অর্থনীতি

ছোট-বড় সব ঋণে ডিসেম্বর পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৭৫% মরাটরিয়াম

5
বাংলাদেশ

পদ্মা সেতুর রেলিংয়ের নাট খুলে টিকটকে ভিডিও, সেই যুবক আটক

6
বাংলাদেশ

পদ্মা সেতু পাড়ি দিতে বাইকের ১০০, বাসের লাগবে ২৪০০ টাকা

The Business Standard
Top

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net

Copyright © 2022 THE BUSINESS STANDARD All rights reserved. Technical Partner: RSI Lab