সাহেদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিলের প্রস্তাবে অনুমোদন দুদকের
আলোচিত রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমের বিরুদ্ধে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পদ বিবরণী দাখিল না করা ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় চার্জশিট দাখিলের প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মোহাম্মদ সাহেদের বিরুদ্ধে এ বছরের ৩ মার্চ মামলাটি দায়ের করে দুদক। মামলা তদন্তের জন্য উপপরিচালক মোঃ ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারীকে তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়। তিনি যথারীতি তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন (সাক্ষ্য স্মারক) দাখিল করেন।
প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা যায়, আসামি মোহাম্মদ সাহেদ নির্ধারিত সময়সীমা অনুযায়ী সম্পদ বিবরণী দাখিলে ব্যর্থ হন এবং আয়ের উৎসের সাথে অসংগতিপূর্ণ ১ কোটি ৬৯ লাখ ১৭ হাজার ৫১৩ টাকার অস্থাবর সম্পদ অর্জনপূর্বক তা দখলে রেখে দুর্নীতি দমন কমিশন আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত কর্মকর্তা আসামি মোহাম্মদ সাহেদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারায় চার্জশিট দাখিলের সুপারিশ করে প্রতিবেদন দাখিল করেন। তদন্ত কর্মকর্তার দাখিল করা প্রতিবেদনের সুপারিশের আলোকে দুদক চার্জশিট দাখিলের প্রস্তাবে অনুমোদন দেয়।
করোনাভাইরাসের পরীক্ষা না করে ভুয়া রিপোর্ট দেওয়া, সরকারের কাছে বিল দেওয়ার পর আবার রোগীর কাছ থেকেও অর্থ নেওয়াসহ নানা অনিয়মের খবর পেয়ে র্যাব গত বছরের ৭ ও ৮ জুলাই অভিযান চালিয়ে রিজেন্ট হাসপাতালের মিরপুর ও উত্তরা শাখা বন্ধ করে দেয়।
হাসপাতালটির লাইসেন্সের মেয়াদও ছিল না। পরে ওই হাসপাতালের অনুমোদন বাতিল করে স্বাস্থ্য বিভাগ।
সে বছরের ১৫ জুলাই ভোরে সাতক্ষীরার দেবহাটা সীমান্ত থেকে গ্রেপ্তার করা হয় সাহেদকে।