সদরঘাটে লঞ্চ দুর্ঘটনায় ৫ জন নিহত, আটক ৫
রাজধানীর সদরঘাটে লঞ্চ দুর্ঘটনায় পাঁচজন নিহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ৩টার দিকে সদরঘাট লঞ্চঘাটের ১১ নম্বর পল্টুনের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে।
নৌ পুলিশের পুলিশ সুপার আশিক সাঈদ বলেন, 'এ ঘটনায় পাঁচজন গুরুতর আহন হন। পরে তারা মারা যান।'
তিনি বলেন, 'পাঁচ যাত্রী নিহতের ঘটনায় দুটি লঞ্চের ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।'
ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, এমভি তাশরিফ–৪ ও এমভি পূবালী–১ নামের দুটি লঞ্চ রশি দিয়ে পন্টুনে বাঁধা ছিল। লঞ্চ দুটির মাঝখান দিয়ে ফারহান নামের আরেকটি লঞ্চ ঢুকানোর সময় এমভি তাসরিফ–৪ লঞ্চের রশি ছিঁড়ে যায়। ঠিক তখন লঞ্চে ওঠার সময় এক শিশু ও এক নারীসহ পাঁচ যাত্রী গুরুতর আহত হন।
পরে তাদের উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের অ্যাম্বুলেন্সে করে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
ঢাকা নদী বন্দর, সদরঘাটের যুগ্ম-কমিশনার (ট্রাফিক) জয়নাল আবেদীন জানান, ঘটনাটি খতিয়ে দেখতে কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এ ঘটনায় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। বিআইডব্লিউটিএ'র পরিচালক (ক্রয় ও সংরক্ষণ) মো. রফিকুল ইসলাম কমিটিতে আহ্বায়ক করা হয়েছে। এছাড়াও নৌ সংরক্ষণ ও পরিচালন বিভাগের যুগ্ম পরিচালক মো. আজগর আলী এবং বন্দর শাখার যুগ্ম পরিচালক মো. কবীর হোসেনকে কমিটিতে সদস্য করা হয়েছে।
কমিটিকে আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যানের কাছে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর শোক
এদিকে ৫ যাত্রী নিহতের ঘটনায় শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
এক শোকবার্তায় তিনি নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। তিনি আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।
প্রতিমন্ত্রী জানান, দোষীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।