সীতাকুণ্ডে চার ঘণ্টার ব্যবধানে দুই খুন
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে মাত্র চার ঘণ্টার ব্যবধানে দুই খুনের ঘটনা ঘটেছে।
রোববার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার বারৈয়ারঢালা ইউনিয়নে যুবলীগ নেতার গুলি ও দায়ের কোপে এক বিএনপি নেতার নিহতের পর রাত সাড়ে ১০টার দিকে সোনাছড়ি ইউনিয়নের গামারিতল এলাকায় দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে এক যুবক নিহত হয়েছেন।
নিহত যুবক মোহাম্মদ আলমগীর (৩৫) চৌধুরীঘাটা এলাকার মোহাম্মদ আফাজউল্লাহর ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন প্রবাসে ছিলেন। বছর কয়েক আগে প্রবাস থেকে ফিরে চৌধুরীঘাটা এলাকায় একটি চায়ের দোকান দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছিলেন। তার বড় ভাই মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা।
মোহাম্মদ শফি নামের ওই এলাকার এক অধিবাসী জানিয়েছেন, "রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার পথে অজ্ঞাত দুষ্কৃতকারীরা তাকে ছুরিঘাত করে গুরুতর জখম করে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সোনাইছরি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনির হোসেন হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, "গুরুতর আহত অবস্থায় আলমগীরকে বিএসবিএ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।"
এদিকে, একইদিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে সীতাকুণ্ডে বিএনপি নেতা নুর মোস্তফাকে (৫০) গুলি করে ও নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে এটিকে রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড বলা হলেও পুলিশ বলছে এটি পারিবারিক জমিজমা বিরোধ সংক্রান্ত।
এলাকার যুবলীগ নেতা ও তার মামাতো ভাই তৌহিদের হাতে খুন হয়েছেন বিএনপি নেতা নুর মোস্তফা। গতকাল নিজেদের মাঝে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে নুর মোস্তফাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও গুলি করে জখম করেন তৌহিদ। এতে নুর মোস্তফার ডান হাতের কব্জি বিছিন্ন হয়ে যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সীতাকুন্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার নুর উদ্দিন রাশেদ টিবিএসকে বলেন, "নুর মোস্তফাকে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়। তার শরীরে একাধিক কোপ ও গুলির চিহ্ন রয়েছে। মরদেহ পুলিশকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।"
নিহত নুর মোস্তফা সীতাকুণ্ডের বারৈয়াঢালা ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি ও একই ইউনিয়নের দক্ষিণ পশ্চিম লালানগরের মুজিবুল হকের ছেলে। তার বড় ভাই উত্তর জেলা বিএনপির সহসভাপতি মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন। নিহত নুর মোস্তফা এক ছেলে ও দুই মেয়ের জনক। তিনি এগ্রো ব্যবসায়ের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।