নিষেধাজ্ঞা, ভিসানীতি নিয়ে আপস হয়ে গেছে: ওবায়দুল কাদের
বৈদেশিক সম্পর্ক রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পারদর্শিতার প্রশংসা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নিষেধাজ্ঞা ও ভিসানীতির বিষয়ে ইতিমধ্যেই সমঝোতা হয়ে যাওয়ায় বাইরের চাপ নিয়ে উদ্বেগের কোনো কারণ নেই।
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) রাজধানীর উপকণ্ঠ আমিনবাজারে এক সমাবেশে তিনি আরো বলেন, 'নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা নিপুণভাবে সবার সঙ্গে ভারসাম্য রক্ষা করছেন।'
তিনি আরো বলেন, 'জো বিডেনের সাথে দুই সেলফিতে বাজিমাত হয়েছে-একটি দিল্লিতে এবং অন্যটি নিউ ইয়র্কে। নিষেধাজ্ঞা, ভিসানীতি- সবকিছুতে বোঝাপড়া হয়েছে।'
ওবায়দুল কাদের এসময় বলেন, 'দিল্লি আছে, আমেরিকারও দিল্লিকে দরকার। আমরা আছি, দিল্লিও আছে- দিল্লি আছে, আমরাও আছি। শত্রুতা কারো সাথে না, সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব।
তিনি বলেন, আগামী মাসে (নভেম্বরে) সেমিফাইনাল, জানুয়ারিতে ফাইনাল। বিএনপি এখন ফাউল করতেছে, ফাউল করলে হলুদ কার্ড, ফাউল করলে লাল কার্ড। খেলা নিয়ে ফাউল করা চলবে না।
ওবায়দুল কাদের এসময় বলে, বিএনপি খালেদা জিয়াকে ছাড়া ইলেকশন করবে না, না করুক। এতদিন কই ছিলো? খালেদা জিয়া বছরের পর বছর জেলে। তার জন্য একটা আন্দোলনও করতে পারলো না মির্জা ফখরুল। আর এখন খালেদা জিয়া ছাড়া নির্বাচন করবে না।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা নাকি নিষ্ঠুরতা দেখাচ্ছে, কেমন নিষ্ঠুরতা? ১৫ই আগস্টে বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে তারা রক্তাক্ত করেছে। শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা সেদিন বিদেশে ছিলেন বলে বেঁচে গিয়েছিলেন। নিষ্ঠুর কারা?
যারা এইদেশে জাতির পিতাকে হত্যা করেছে, জেলখানায় ৪ নেতাকে হত্যা করেছে, শেখ হাসিনাকে হত্যা করার জন্য গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিলো।
তিনি বলেন, কে করেছে এই কাজ? হাওয়া ভবন। কে করেছে এই কাজ? খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক জিয়া।
দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দামের ঊর্ধ্বগতি প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, জিনিসপত্রের দাম এখন বেশি। সারা দুনিয়ায় বেশি, আমরা কি করবো? শেখ হাসিনা চেষ্টা করে যাচ্ছেন, ইনশাল্লাহ নির্বাচনের মধ্যে দাম একটু একটু করে কমে যাবে। মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে জিনিসপত্রের দাম চলে আসবে, আপনারা চিন্তা করবেন না।
সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কথা উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, পদ্মা সেতু৷ মেট্রোরেল কে দিয়েছে, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে কে দিয়েছে? ফার্মগেট থেকে এয়ারপোর্ট, মাত্র ১০ মিনিটে, শতভাগ বিদ্যুৎ, টানেল, এসব কে দিয়েছে?
বিএনপির আমলে ১৮ ঘন্টা লোডশেডিং থাকতো উল্লেখ করে মন্ত্রী এসময় বলেন, শেখ হাসিনা শতভাগ বিদ্যুৎ দিয়েছে। বিশ্বকাপ হয়েছে, ছেলেমেয়েরা রাতজেগে খেলা দেখেছে, একদিনেও বিদুৎ যায়নি। বিদ্যুৎ যাবে না। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ থাকবেই।
শেখা হাসিনার নেতৃত্বে খেলা হবে জানিয়ে মন্ত্রী এসময় বলেন, বিএনপি ওয়ালাদের দম ফুরিয়ে গেছে। ওদের দিয়ে আর আন্দোলনও হবে না, নির্বাচনও হবে না।
মন্ত্রী বলেন, ভোট হবে, ভোট বাংলাদেশে হবে, যে যত ষড়যন্ত্রই করুক, নির্বাচন বাংলাদেশে হবেই ইনশাআল্লাহ।
তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন হবে, অবাধ নির্বাচন হবে, ফ্রী ফেয়ার নির্বাচন হবে।
আওয়ামীলীগ নিষেধাজ্ঞার পরোয়া করে না উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের এসময় বলেন, আমর নিষেধাজ্ঞার পরোয়া করিনা, আমরা ভিসানীতির পরোয়া করিনা। আমরা ঠিক আছি, আমরা তো শান্তিপূর্ন নির্বাচন চাই। কেন তাহলে ভিসানীতি, কেন তাহলে নিষেধাজ্ঞা, তিনি প্রশ্ন রাখেন।
তিনি বলেন, কেউ নিষেধাজ্ঞা দিবে না, নিষেধাজ্ঞার ধমকি ধামকি দিবে না। নিষেধাজ্ঞা শেষ। দেখেন না ফখরুল সাহেবের গলার আওয়াজ নরম হয়ে গেছে।
খুব শীগ্রই গাবতলী ব্রিজ হয়ে যাবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আমিনবাজারের ব্রিজগুলো একে একে সব হয়ে গেছে৷ গাবতলী ব্রিজও শীঘ্রই হয়ে যাবে। গাজীপুরের বাস র্যাপিড ট্রানজিট সেটাও হয়ে যাবে। আগামী বছর ফোর লাইনের উপর বাস চলবে। সুদিন আবার আসবেই। সুখ চাইলে একটু কষ্ট লাগেই। এই কষ্ট বেশি দিন থাকবে না।