খুলনায় চিকিৎসকদের কর্মবিরতি ৭ দিনের জন্য স্থগিত
খুলনায় চিকিৎসকদের কর্মবিরতি ৭ দিনের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।
শনিবার (৪ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টায় বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ)-এর জেলা সভাপতি ডা. শেখ বাহারুল আলম এই ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, "খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল আজ সকাল ১০টা থেকে দীর্ঘ সময় আমাদের কার্যকরী পরিষদ বিএমএ, বিপিএমপিএ এবং ক্লিনিক মালিক সমিতির সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেছেন। আমরা আজকে দুপুর থেকে কর্মবিরতি ৭ দিনের জন্য স্থগিত করলাম।"
আজ সন্ধ্যা ৭টায় এ বিষয়ে একটি সাধারণ সভা হওয়ার কথা রয়েছে; সভায় নিএমএ'র পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করা হবে বলে জানান তিনি।
শেখ বাহারুল আলম বলেন, "৭ দিন আমাদের কর্মসূচি স্থগিত থাকবে। এই ৭ দিনে যদি অপরাধী পুলিশকে হেফাজতে নিয়ে বিচারে সোপর্দ না করে, আমরা আবারও কর্মবিরতিতে যাবো। আমরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দেবো, পুলিশ প্রশাসনকে আমরা মুখোমুখি করতে চাইনি; তাকে যেন শাস্তি দেওয়া হয়। অপরাধীকে শাস্তি না দেওয়া আরেকটি অপরাধ।"
খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, "চিকিৎসককে অপমান করার পরিপ্রেক্ষিতে বিএমএর পক্ষ থেকে তারা কর্ম বিরতির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। এখানে আমাদের বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশ প্রশাসন বিভিন্ন সময় তাদের সঙ্গে কথা বলেছে। আমাদের স্বাস্থ্য বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা গতকাল এসে দু'পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। ওই নারী ও তার স্বামী নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। চিকিৎসকদের বক্তব্য, যিনি এই ঘটনা ঘটিয়েছেন তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে।"
প্রসঙ্গত, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি খুলনা মহানগরীর শেখপাড়ায় অবস্থিত বেসরকারি হাসপাতাল হক নার্সিং হোমে এক রোগীকে অপারেশন করছিলেন ডা. শেখ নিশাত আব্দুল্লাহ। একই হাসপাতালে প্রায় দেড় মাস আগে আরেক শিশু রোগীকেও তিনি অপারেশন করেছিলেন। তবে সে সুস্থ না হওয়ার অভিযোগ এনে তার বাবা পুলিশের এএসআই নাঈমুজ্জামান চিকিৎসকের ওপর হামলা করেন। এ ঘটনায় গত ২৮ ফেব্রুয়ারী পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা কররেন চিকিৎসা।
তবে ওই পুলিশ কর্মকর্তা গ্রেপ্তার না হওয়ায় কর্মবিরতি ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। চিকিৎসকদের কর্মবিরতির শুরুর দিন বুধবার সকালে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) সোনাডাঙ্গা থানায় শিশুর মা নুসরত আরা ময়না বাদী হয়ে ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলাও করেন।