চনপাড়ায় নয়, ফারদিনকে অন্য কোথাও হত্যা করা হয়েছে: পুলিশ
বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশ নারায়ণগঞ্জের চনপাড়ায় নিহত হননি বলে মন্তব্য করেছেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা শাখা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
সময় ও দূরত্ব বিবেচনায় হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়া রাতে ফারদিনের যাত্রাবাড়ী থেকে চনপাড়ায় যাওয়া সম্ভব নয় বলে উল্লেখ করেন হারুন অর রশীদ। তিনি বলেন, 'ওখান থেকে চনপাড়ার দিকে রওনা দিলেও রাত আড়াইটার মধ্যে পৌঁছানো সম্ভব নয়। তাই খুন চনপাড়ায় নয়, অন্য কোথাও হতে পারে বলে ধারণা করছি আমরা।'
তিনি বলেন, ফারদিনকে সর্বশেষ যাত্রাবাড়ীতে দেখা গেছে। ৩ থেকে ৪ জন যুবক তাকে লেগুনায় উঠিয়ে নিয়ে তারাবোর দিকে যায়। ওই লেগুনার চালক ও আরোহীদের খোঁজা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার ডিবি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন ডিবিপ্রধান।
হারুন অর রশীদ বলেন, 'সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ঘটনার দিন রাত সোয়া ২টার দিকে ফারদিনকে যাত্রাবাড়ীতে দেখা গেছে। সাদা পোশাক পরা এক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে লেগুনায় ওঠেন তিনি। এরপর লেগুনা তারাবো বিশ্বরোডের দিকে চলে যায়। ওই লেগুনায় আরও চার ব্যক্তি ছিলেন।'
তিনি বলেন, সাদা পোশাক পরা ব্যক্তি, লেগুনার চালক ও লেগুনায় আগে থেকে থাকা চারজনকে শনাক্তের চেষ্টা করা হচ্ছে।
তিন দিন নিখোঁজ থাকার পর গত ৭ নভেম্বর বিকেলে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ফারদিনের মরদেহ উদ্ধার করে নৌ-পুলিশ। মরদেহ ময়নাতদন্তের পর চিকিৎসকরা জানান, তার শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে, তাকে হত্যা করা হয়েছে।
মরদেহ উদ্ধারের দুই দিন পর ১০ নভেম্বর ফারদিনের বন্ধু আমাতুল্লাহ বুশরাসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে রামপুরা থানায় মামলা করেন ফারদিনের বাবা নূর উদ্দিন রানা।
এ মামলায় বুশরাকে গ্রেপ্তার করে ৫ দিনের রিমান্ডে নেয় ডিবি পুলিশ। এরপর আদালত তাকে কারাগারে পাঠান। রিমান্ডে বুশরার কাছ থেকে কী তথ্য পাওয়া গেছে বা আদৌ কোনো তথ্য পাওয়া গেছে কি না, তা এখনও জানায়নি ডিবি।