গ্রাম থেকে সাড়ে ৩ লাখে গরু কিনে গাবতলীতে আড়াই লাখে বিক্রি
সুনামগঞ্জের দোয়ারা বাজার উপজেলা থেকে ১১ টি গরু কিনে রাজধানীর কোরবানির হাটে নিয়ে এসেছিলেন আবু সাঈদ।
১০টি ছোট ও মাঝারি গরু কিছুটা লাভে বিক্রি করতে পারলেও বড় গরুটি প্রায় এক লাখ টাকা লোকসানে বিক্রি করেছেন তিনি।
ঈদের দিন দুপুরে রাজধানীর গাবতলী হাটে আবু সাঈদ টিবিএসকে বলেন, গাজীপুর হাটে ছোট গরুগুলো বিক্রি করেছেন। কিন্তু যে গরুটি বিক্রির জন্য ৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা দিয়ে কিনেছেন, সেটি বিক্রি করতে পারেননি।
"গাজীপুর হাট থেকে ঈদের আগের দিন রাত ৩ টায় গাবতলী হাটে নিয়ে এসেছি। এসে দেখি এখানেও বড় গরুর দাম কম বলছে। উপায় না পেয়ে এক ক্রেতার কাছে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছি।"
"এবার গরু বিক্রি করে লস হলো। লাল রঙের সাহিওয়াল জাতের ষাঁড়টির ওজন ১৬ মণ। ফিরিয়ে নিব সেটাও পারিনি, ফিরিয়ে নিতে ২০ হাজার টাকা ট্রাক ভারা লাগবে। তার ওপর বড় গরু হাটে এনে ফিরিযে নেয়ার পথে অসুস্থ হতে পারে। আর এ গরু অসুস্থ হলে চিকিৎসা খরচ প্রায় ৩০ হাজার টাকা লাগে।
রাজধানীর হাট ঘুরে দেখা গেছে এ বছর বড় আকারে গরুর চাহিদা কম ছিল। এত অনেক বড় গরু বিক্রেতাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
বিক্রেতা আউব আলী ঈদের ৫ দিন আগে এক হাজার ৪০ কেজি ওজনের একটি ষাঁড় বিক্রি করতে এনেছিলেন গাবতলী হাটে।
ঈদের দিন দুপুরে ৩ লাখ ২৬ হাজার টাকা বিক্রি করেও হতাশ ছিলেন তিনি। আউব আলী টিবিএসকে বলেন, প্রায় ২ লাখ টাকা লস হয়েছে। একটি গরুই এনেছিলাম। গরু রাখার জন্যই হাটে দিতে হয়েছে ২০ হাজার টাকা। তার ওপর গরু নিয়ে আসতে খরচ হয়েছে।