শিক্ষা...অবহেলিত, বিস্মৃত
এক দশক ধরে বাচ্চাদের শিক্ষায়, বেড়ে ওঠায় ও বিকাশে সাহায্য করছেন তিনি। কিন্তু গত বছরের মার্চ থেকে দেড় বছর ধরে স্কুল বন্ধ থাকায় তার সেবা এখন অপ্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছে।
জীবিকা নির্বাহের আর কোনো উপায় না পেয়ে ময়মনসিংহের ত্রিশালের জনপ্রিয় স্কুলশিক্ষক আজিজুল হক একটি খামারে গবাদি পশুর রাখাল হিসেবে কাজ করছেন। গত বছর মহামারিকালে আজিজুল হকের স্কুল স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যাবার পর এ কাজ শুরু করেন তিনি।
২০০০ সালে আল-হেরা একাডেমি প্রতিষ্ঠিত করেন আজিজুল। তিনি বলেন, 'আমার কোনো সঞ্চয় ছিল না। তাই জমি বিক্রি করে শিক্ষকদের বেতন পরিশোধ করতে হয়েছে। স্কুল চালানোর জন্য ধারদেনাও করেছিলাম, কিন্তু শেষ পর্যন্ত কিছুতেই আমার স্কুলটাকে টিকিয়ে রাখতে পারলাম না।'
দেশের অন্যান্য স্থানেও দীর্ঘ মেয়াদে স্কুল বন্ধ থাকায় এরকম প্রভাব পড়ছে। সাতক্ষীরার তালা এলাকার আবদুর রহমান আদর্শ একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমান এখন পেট চালানোর জন্য হোমিওপ্যাথ চিকিৎসক হিসেবে কাজ করছেন।
তিনি বলেন, 'এছাড়া আমার আর কোনো উপায় ছিল না। আমার স্কুলে ১০ জন শিক্ষক পড়াতেন, তারা সবাই অন্য কাজ খুঁজে নিতে বাধ্য হয়েছেন।'
বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ঐক্য পরিষদের তথ্যানুসারে, ক্রমবর্ধমান কোভিড মহামারির কারণে একের পর এক স্কুল বন্ধ হতে থাকায় মাসের পর মাস বেতন পাননি বেসরকারি শিক্ষকরা। ফলে দেশের অন্তত ৫০ শতাংশ বেসরকারি শিক্ষক পেশা বদলাতে বাধ্য হয়েছেন।
কোভিড-১৯-এর সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের জন্য নেওয়া পদক্ষেপের অংশ হিসেবে সরকার গত বছরের ১৭ মার্চ সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়।
১০ জেলার টিবিএস প্রতিনিধিরা তাদের অনুসন্ধানে জানতে পেরেছেন, অনেক স্কুল চিরতরে বন্ধ হয়ে গেছে। এর ফলে শোচনীয় অবস্থায় পড়েছেন বেসরকারি স্কুলশিক্ষকরা।
আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যানুযায়ী, বেসরকারি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন ৬ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকার মধ্যে।
শিক্ষকতাই ছিল এই শিক্ষকদের জীবিকানির্বাহের একমাত্র উপায়। স্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর স্কুল মালিকরা আর টিউশন ফি সংগ্রহ করতে পারছেন না। ফলে অচিরেই এই শিক্ষকদের বেতন কমে যায়, তারপর বেতন বন্ধ হয়ে যায়, শেষে চাকরিটাও চলে যায়।
পেট চালানোর জন্য তাদের অনেকে পেশা বদলে ফেলেছেন। দিন মজুর থেকে শুরু করে রাখাল, খামার শ্রমিক থেকে ইজি-বাইক চালক, বিক্রয়কর্মী থেকে দোকানে চাকরি—কোনো কাজ করতেই দ্বিধা করেননি তারা।
যারা এখনও পেশা বদলাননি, এখনও শিক্ষকতা করে জীবিকানির্বাহ করছেন, তাদের দিন কাটছে নিদারুণ দুঃখ-দুর্দশায়।
শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন ও অন্যান্য পরিচালন বহন করতে না পেরে এই সংকটকালে এক-চতুর্থাংশ বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে।
মহামারিকালে সারা দেশের প্রায় ৬০ হাজার প্রতিষ্ঠানে কর্মরত অন্তত ১০ লক্ষ শিক্ষক ও কর্মচারী এরকম আর্থিক দুর্দশায় পড়েছেন।
এই বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রায় ১ কোটি। এই বাচ্চাদের বড় একটা অংশই এখন তাদের শিক্ষক ও শিক্ষা থেকে বিচ্ছিন্ন।
বেশ কিছু বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও বেসরকারি স্কুল অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অনেক স্কুল মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের জন্য অ্যাসাইনমেন্টের ব্যবস্থা করছে। কিন্তু তাদের অভিভাবকরা টিউশন ফি দিতে চান না বলে শিক্ষার্থীরা অ্যাসাইনমেন্ট শিট সংগ্রহ করছে না।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়ার পর থেকেই মহামারিকালে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য বেসরকারি খাতের শিক্ষকরা সরকারের কাছে ১ হাজার কোটি টাকা আর্থিক সহায়তা চেয়ে আসছেন। কিন্তু তাদের এ দাবির প্রেক্ষিতে এখনও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
সরকারি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা অবশ্য ভালোই আছেন। স্কুল বন্ধ থাকা সত্ত্বেও নিয়মিত বেতন পাচ্ছেন তারা।
কিন্তু প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ২ কোটি শিক্ষার্থী এখন সব ধরনের শিক্ষা থেকে বিচ্ছিন্ন। অথচ স্কুলে যাওয়া ছাড়া আর সবই করছে তারা। তাদের জন্য অনলাইন ক্লাসের ব্যবস্থা এখনও পরিকল্পনার পর্যায়েই আছে।
বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, প্রাথমিক স্তরের অনেক শিক্ষার্থীই স্কুলে আগের বছরগুলোতে যা শিখেছে, সেসব ইতোমধ্যে ভুলে গেছে। মহামারিকালে নতুন কিছু শেখার তো প্রশ্নই ওঠে না।
তাদের পড়াশোনার এই ক্ষতি পোষানো আরও বড় চ্যালেঞ্জ হবে বলেই মনে হচ্ছে।
শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার সঙ্গে সম্পৃক্ত রাখার জন্য সরকার সব স্কুলকে অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু খুব অল্প কিছু, বিশেষত রাজধানীর কয়েকটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাদে বেশিরভাগ বিদ্যালয়ে শুরুর কিছুদিন পরই অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে।
ঢাকার বাইরের স্কুলগুলো পর্যাপ্ত প্রযুক্তি সহায়তার সংকটে পড়েছে। শিক্ষার্থীদের কাছে ক্লাসে যোগ দেওয়ার উপযোগী স্মার্টফোন নেই। এ ধরনের কাজের জন্য গ্রামাঞ্চলে ইন্টারনেটের গতিও বেশ কম ও অস্থিতিশীল।
অনেক স্কুল অনলাইন ক্লাস শুরু করলেও, কিছুদিন পরই বেশিরভাগ স্কুলে এ কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। বেশিরভাগ স্কুলের অনলাইন ক্লাসে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি একেবারেই কম। আবার অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে, শিক্ষকরাও এই ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে ক্লাস নিতে তেমন অভ্যস্ত নন।
বার্ষিক পরীক্ষা নিতে না পারায় গত বছরের ১ নভেম্বর থেকে বেসরকারি কিন্ডারগার্টেনের মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে সরকার।
কিন্তু বেশিরভাগ কিন্ডারগার্টেন ও বেসরকারি স্কুলের শিক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবকরা অ্যাসাইনমেন্ট শিট সংগ্রহ করছেন না। অভিভাবকরা বলছেন, স্কুল বন্ধ থাকার সময় বেশি পড়াশোনা করার দরকার নেই।
তাদের বিশ্বাস, সরকার তাদেরকে অটো প্রমোশন দেবে।
বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি-জেনারেল মিজানুর রহমান সরকার টিবিএসকে বলেছেন, অভিভাবকদের ফোন দেওয়া হলেও তারা অ্যাসাইনমেন্ট শিট সংগ্রহ করতে রাজি হননি। অভিভাবকরা বলেছেন, স্কুল খোলার পরে তাদের সন্তানরা স্কুলে যাবে।
মিজানুর বলেন, অভিভাবকদের টিউশন ফি দেওয়ার কোনো ইচ্ছে নেই।
করোনা সংক্রমণ থেকে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার জন্য গত বছরের ১৬ মার্চ সরকার মার্চের ১৮ থেকে ৩১ তারিখ পর্যন্ত সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। এর পরে কয়েক দফায় সেই বন্ধের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।
মহামারির কারণে গত বছর প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা (পিএসসি), জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও সমমানের অন্যান্য পরীক্ষাও আয়োজন করেনি সরকার।
পিএসসি ও জেএসসি পরীক্ষার্থীদের অটো প্রমোশন দেওয়া হয়। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের (এইচএসসি) ফল দেওয়া হয় তাদের জেএসসি ও এসএসসির ফলের ভিত্তিতে। প্রাথমিকের সব শিক্ষার্থী অটো প্রমোশন পেয়ে মাধ্যমিকে ওঠে।
এদিকে ২০২১ সালের এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষা আয়োজন না করে শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট মূল্যায়নের ভিত্তিতে ফল দেওয়ার কথা ভাবছে সরকার।
সারা দেশের প্রায় ২ লক্ষ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রাক-প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যায় পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৪ কোটি শিক্ষার্থী ভর্তি রয়েছে।
অন্ধকারে বিনিয়োগের ভবিষ্যত
বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ঐক্য পরিষদের তথ্য অনুযায়ী, বেসরকারি স্কুলগুলোতে এখন পর্যন্ত ৬ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়েছে। কিন্তু এই বিনিয়োগ এখন হুমকির মুখে।
বেসরকারি স্কুল ও কলেজ সমিতির নেতারা জানিয়েছেন, সিংহভাগ বেসরকারি স্কুলই চলছে ভাড়া নেওয়া ভবনে। বেশিরভাগ স্কুল মালিকই ইতোমধ্যে ভাড়ার চুক্তি বাতিল করে দিয়েছেন। স্কুল নিয়ে তারা আর ভাবছেন না।
এর ফলে বিপদে পড়েছে বেসরকারি শিক্ষা খাত। এতে ভবিষ্যতে শিক্ষার্থীদের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
ঐক্য পরিষদের সভাপতি ইকবাল বাহার চৌধুরী টিবিএসকে জানিয়েছেন, ২০২০ সালের মার্চ থেকে কমপক্ষে ১৫ হাজার কিন্ডারগার্টেন বন্ধ রয়েছে। বেশিরভাগ শিক্ষার্থীরই শিক্ষকদের সঙ্গে যোগাযোগ নেই। অনেক ছেলে এখন কাজ করছে, অনেক মেয়ে বাল্যবিবাহের শিকার হয়েছে।
ইকবাল বলেন, 'সরকারের কাছ থেকে কোনো সহায়তা পাইনি বিধায় আমাদের এখন স্কুল বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।'
তিনি আরও বলেন, 'এ সময় শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার হার অনেক বেড়ে যেতে পারে। অনেক শিক্ষার্থী তো কোন ক্লাসে পড়ছিল সেটাই ভুলে গেছে।'
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমিরেটাস অধ্যাপক ড. মনজুর আহমেদ বলেছেন, আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মকে রক্ষার জন্য সরকারকে বেসরকারি স্কুল খাতে অর্থ ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে হবে। নইলে পড়াশোনার যে ক্ষতি হয়েছে, তা পোষানো সম্ভব হবে না।
তিনি বলেন, 'সরকারের উচিত একটা কমিটি গঠন করে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে সফট লোন দেওয়া। নইলে এই স্কুলগুলো সমস্যায় পড়বে, আর চূড়ান্ত ক্ষতির শিকার হবে শিক্ষার্থীরা।'
বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সভাপতি এম নজরুল ইসলাম রনি টিবিএসকে বলেন, 'বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কিন্তু তারা এই পেশা ছেড়ে দিয়ে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছেন। দুর্ভাগ্যজনক ব্যাপার হচ্ছে, এই শিক্ষকরা এখনও সরকারের পক্ষ থেকে কোনো আর্থিক সহায়তা পাননি।'
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ গোলাম ফারুকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, শিক্ষা মন্ত্রণালয় পুনরুদ্ধার পরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ করছে। তবে এই মুহূর্তে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের সহায়তা করার কোনো পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের নেই।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলমগীর মোহাম্মদ মনসুর আলম টিবিএসকে জানিয়েছেন, কিন্ডারগার্টেন শিক্ষকদের সহায়তার কোনো পরিকল্পনা তাদের নেই।
অর্থনীতিতে প্রভাব
স্কুল বন্ধ রেখে মহামারির আঘাত থেকে কিছুতেই পূর্ণ গতিতে অর্থনীতির পুনরুদ্ধার সম্ভব নয়। কারণটি স্পষ্ট। স্কুল বন্ধ থাকার ধকল সইতে হচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পৃক্ত শিল্প ও পরিষেবাগুলোকে। এর ফলে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের গতি।
স্কুল বন্ধ রাখার বিরূপ প্রভাব সম্পর্কে ইউনেসকো বলেছে, স্কুল বন্ধ থাকলে সাধারণ মানুষেরর সার্বিক সামাজিক ও অর্থনৈতিক খরচ অনেক বেড়ে যায়। এর ফলে সর্বাধিক ক্ষতির শিকার হয় সবচেয়ে ভঙ্গুর ও প্রান্তিক শ্রেণির ছেলেমেয়েরা এবং তাদের পরিবার। এর ফলে শিক্ষাব্যবস্থায় ইতোমধ্যে বিদ্যমান বৈষম্যই যে শুধু বাড়ে, তা নয়; বেড়ে যায় তাদের জীবনের অন্যান্য ক্ষেত্রে বিদ্যমান বৈষম্যও।
অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কোঅপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ওইসিডি) গত সেপ্টেম্বরে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, কোভিড মহামারির কারণে স্কুলের পড়াশুনা ব্যাহত হওয়ার কারণে দক্ষতা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ফলে এই শতাব্দীতে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক আয় ১.৫ শতাংশ কমে যাবে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো দীর্ঘ মেয়াদে বন্ধ থাকার ফলে ভবিষ্যতে দক্ষতার যে বিপুল ক্ষতি হবে, সেই ক্ষতি থেকে মুক্ত নয় বাংলাদেশও। কারণ, আজকের শিশুরাই আগামীদিনের অর্থনীতির সম্ভাব্য কর্মশক্তি।