পদ্মা সেতুর পিলারে ধাক্কা: ঘাট স্থানান্তরের সুপারিশ
পদ্মাসেতুর পিলারে দুটি ফেরির ধাক্কা দেওয়ার ঘটনা তদন্তের পর সেতুটির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অনতিবিলম্বে শিমুলিয়া ফেরী ঘাটটি পুরাতন মাওয়া ঘাটে অথবা বাংলাবাজার ঘাটটি মাঝির কান্দিতে স্থানান্তর করার সুপারিশ করেছে এ বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটি।
রোববার বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. তাজুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সেখানে বলা হয়, "যেহেতু পদ্মা সেতু দেশের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা এবং সরকারের Fast Track Project সেহেতু এর রক্ষণাবেক্ষণ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করণে বর্তমান বাংলাবাজার ঘাটটি মাঝিরকান্দি অথবা শিমুলিয়া ঘাটটি পুরাতন মাওয়া ঘাটে স্থানান্তর করা প্রয়োজন বলে কমিটি সুপারিশ করেছেন। ইতোমধ্যে তদন্ত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী মাওয়া অঞ্চলে চলাচলরত জলযানের মাস্টারগণকে পদ্মা সেতুর পিলার সাবধানতার সাথে অতিক্রম করার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।"
দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে পানির তীব্র স্রোতকে দায়ী করেছে তদন্ত কমিটি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, "সাম্প্রতিক সময়ে বর্ষা মৌসুমে ভারতীয় পাহাড়ী ঢল ও অতিবৃষ্টির কারণে উজানের নদ-নদী সমূহের ধেয়ে আসা পানির তীব্র স্রোত পদ্মা নদীতে বয়ে যাওয়ায় গত ২০/০৭/২০২১ খ্রি. তারিখ ফেরী-শাহ মখদুম ১৬নং পিলার এবং ২৩/০৭/২০২১ খ্রি. তারিখ ফেরী-শাহ জালাল ১৭নং পিলার এর সাথে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা খায়।"
সেখানে আরও বলা হয়, "কমিটির রিপোর্টের সুপারিশ অনুযায়ী দায়ী উক্ত জলযানের ইনচার্জ মাস্টার জনাব আব্দুর রহমান খান, ইনল্যান্ড মাস্টার অফিসার, কোড নং-১১২৬৯ এবং হুইল সুকানী, জনাব কাজী সাইফুল ইসলাম, কোড নং-৮৬২৬৯ কে চাকুরী হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তাছাড়া তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হয়েছে।"
কমিটির সুপারিশক্রমে বর্তমানে নদীর তীব্র স্রোতে দুর্ঘটনা এড়ানোর লক্ষ্যে ইতোমধ্যে কম স্পীড সম্পন্ন জলযান ট্রাফিক হতে প্রত্যাহার করে নতুন এবং গতি সম্পন্ন জলযান ট্রাফিকে সংযোজন করা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।