ডিজিটাল প্রযুক্তি চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার চালিকাশক্তি: মোস্তাফা জব্বার
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ডিজিটাল প্রযুক্তি হল মূল চালিকাশক্তি। বাংলাদেশের ডিজিটাল রূপান্তরের ফলে দেশে ২০২৪ সালের মধ্যে এমন কোনো বাড়ি পাওয়া যাবে না, যেখানে দ্রুতগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের চাহিদা নেই।
জনগণের দোরগোড়ায় তাই দ্রুতগতির ইন্টারনেট পৌঁছে দিতে বিটিসিএলসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহ কতটা তৈরি তা ঠিকঠাক নিরূপণ করে ভবিষ্যত কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন তিনি।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে ও জেডটিই-এর সহযোগিতায় বিটিসিএল আয়োজিত হল ‘আনলকিং পটেনসিয়ালস ফর বেটার ফিউচার’ শীর্ষক দিনব্যাপী সেমিনার।এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
২০২৩ সালের মধ্যে দেশে ফাইভ-জি সেবা চালু করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন মোস্তাফা জব্বার। শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন ও প্রজ্ঞাবান নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণার ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।
এ প্রসঙ্গে তিনি বললেন, “ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রযুক্তি দুনিয়ায় একটি অনুকরণীয় কর্মসূচি হিসেবে বাঙালি জাতিকে নতুন মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেছে।”
“ফাইভ-জি কেবল একটা কথা বলার প্রযুক্তি নয়,” এ কথা জানিয়ে মন্ত্রী যোগ করেন, “কথা বলার জন্য ফোর-জি প্রযুক্তিই যথেষ্ট।”
ফাইভ-জি দেশে একটা শিল্পবিপ্লব ঘটাবে বলে মন্ত্রী দৃঢ় আশাবাদী। এজন্য প্রযুক্তির প্রয়োজন বেশি হবে গ্রামে।সেখানে স্বাস্থ্য ও কৃষিতে তা লাগবে। গ্রামে মোবাইলে ফাইভ-জি-এর ওপর নির্ভর না করে বিটিসিএল-এর মাধ্যমে যদি ল্যান্ডফোনে ফাইভ-জি দেওযা যায় তাহলে জনগণ উপকৃত হবেন বলে জানান মন্ত্রী।। এ বিষয়ে প্রস্তুতি নিতে সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ দেন তিনি।।
তিনি বলেন, “সরকারি প্রতিষ্ঠানের একমাত্র লক্ষ্য মুনাফা করা নয়। বিটিসিএল-এর অনেক কাজ জনসেবার জন্য করা হচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে।”
উদ্ভাবনই জাতির ভবিষ্যত উল্লেখ করে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, “প্রতিষ্ঠান-সংশ্লিষ্টদের ভাবতে হবে সামনের জন্য তারা কতটা প্রস্তুত। যদি চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের জন্য আমাদের প্রস্তুতির ঘাটতি থাকে তবে তা পূরণ করতে হবে। না পারলে টিকে থাকা অসম্ভব।”
আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “স্বপ্ন দেখুন, স্বপ্ন বাস্তবায়ন করুন। কেউ আমাদের অগ্রযাত্রা থামাতে পারবে না।”
মন্ত্রী বিটিসিএল ল্যান্ডফোনের লাইন রেন্ট বাতিল ও ‘১৫০ টাকায় যেমন খুশি কথা বলার’ প্যাকেজটির সুফল তুলে ধরে বলেন, “এখন ল্যান্ডফোনের চাহিদা প্রতিদিনই বাড়ছে। লাইন মেরামতসহ সেবার মান নিশ্চিত করতে পারলে বিটিসিএল ঘুরে দাঁড়াবেই।”