করোনার টিকা না নিয়ে সাংসদের ফটোসেশন
বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছেনা সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম ওরফে শিউলি আজাদের। গত ডিসেম্বর মাসে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে জামায়াত নেতার হাতে সংবর্ধনা স্মারক তুলে দিয়ে বিতর্কে জড়ান শিউলি আজাদ। এরপর মুক্তিযোদ্ধাদের অবমূল্যায়নের অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার মুক্তিযোদ্ধারা সাংসদ শিউলি আজাদকে বর্জনের ডাক দেন। এবার করোনাভাইরাসের টিকা না নিয়ে ফটোসেশন করায় নতুন করে বিতর্কে জড়িয়েছেন তিনি।
আজ রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নয়টি উপজেলায় একযোগে টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। এদিন জেলার সরাইল উপজেলায় টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন সাংসদ শিউলি আজাদ। দুপুরে সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিকাদান কেন্দ্রে টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন তিনি।
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সরাইলে টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন, শেষে প্রথম টিকা নেন উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রোকেয়া বেগম। এরপর, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম ও উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি মাহফুজ আলী টিকাগ্রহণ করেন। তবে রোকেয়া বেগম টিকা নেয়ার আগে, ফটোসেশন করেন সাংসদ শিউলি আজাদ। সাংসদ শিউলির এমন কর্মকাণ্ডে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অনেকেই করোনাভাইরাসের টিকা নিয়ে এমন ফটোসেশনের ঘটনায় সাংসদের সমালোচনা করছেন।
ফটোসেশনের সময় সাংসদের সাথে সরাইল উপজলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফুল হক, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফারজানা প্রিয়াঙ্কা, উপজলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নোমান মিয়াসহ প্রশাসনের
অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এব্যাপারে জানতে চাইলে সাংসদ শিউলি আজাদ বলেন, নার্সরা আমার সাথে মজা করছিল। সরাইলের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান টিকা নিতে ভয় পাচ্ছিলেন। তখন নার্সরা আমার মাধ্যমে বুঝাচ্ছিলেন- ওনাকে (ভাইস চেয়ারম্যান) টিকাটা এভাবে নিতে হবে। এর মধ্যে কে ছবি তুলেছে- তা আমি জানিনা।'