'আমরা শেষের জন্য সেরাটা জমিয়ে রেখেছিলাম'
প্রথম দুই ম্যাচে হেরে ছন্নছাড়া শুরু, এরপর শ্রীলঙ্কাকে হারালেও অস্ট্রেলিয়াকে ঠিক অস্ট্রেলিয়াসুলভ লাগছিলো না। মূলত পাকিস্তান ম্যাচ দিয়েই ঘুরে দাঁড়ানোর শুরু। বেঙ্গালুরুতে ব্যাটে ঝড় তুলে ৬২ রানের জয়, এরপরই যেন নতুনভাবে নিজেদের ফিরে পেলেন প্যাট কামিন্সরা।
নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের বিশ্বকাপে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে রান পাহাড় গড়েও শেষ পর্যন্ত মাত্র পাঁচ রানের রুদ্ধশ্বাস জয়, আফগানিস্তানের বিপক্ষে আবারও ম্যাক্সওয়েলের অতিমানব হয়ে ওঠা, সেমি-ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার দেওয়া ছোট লক্ষ্যও খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে তাড়া করা, সবমিলিয়ে প্রত্যেক ম্যাচেই অস্ট্রেলিয়াকে ম্যাচের কোনো না কোনো পর্যায়ে ভুগতে হয়েছে।
দুর্দম্য অজি দাপট পুরো ম্যাচজুড়ে দেখা যাচ্ছিল না। যদিও প্রথম দুই ম্যাচ হারের পর সেমি-ফাইনাল সহ টানা আট ম্যাচ জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। ফাইনাল জিতে সেটি হয়েছে টানা নয়। তবে ফাইনালে যে অস্ট্রেলিয়াকে দেখা গেছে, সেই অস্ট্রেলিয়াকেই দেখতে চান সবাই। ব্যাট-বল-ফিল্ডিং সব জায়গায় একক আধিপত্য বিস্তার করে স্বাগতিক ভারতের আপাতদৃষ্টিতে অজেয় দলকে হারিয়ে ষষ্ঠ বিশ্বকাপ জিতেছে প্যাট কামিন্সের দল।
দলনেতা কামিন্স জানালেন, ফাইনালের জন্যই নিজেদের সেরাটা যেন জমিয়ে রেখেছিল তার দল, 'আমরা শেষের জন্য সেরাটা জমিয়ে রেখেছিলাম। কয়েকজন বড় ম্যাচের খেলোয়াড় আজ জ্বলে উঠেছে। আমাদের মনে হচ্ছিল, রান তাড়া করার জন্য ভালো একটি রাত হবে এটি, সেটিই হয়েছে।'
রান তাড়া করতে নেমে ৪৭ রানে তিন উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে পড়ে অজিরা। সেখান থেকে দলকে বের করে আনেন ট্রাভিস হেড ও মার্নাস লাবুসেন। দুজনকে কৃতিত্ব দিলেন কামিন্স, 'অন্যদের মতো আমারও বেশ চাপ অনুভূত হচ্ছিল। তবে হেড চালিয়ে গেছে, আর মার্নাসের খেলা দেখা তো দারুণ মজার।'