তিন সেঞ্চুরি, দ্রুততম সেঞ্চুরি ও সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড দক্ষিণ আফ্রিকার

শ্রীলঙ্কার বোলাররা চাইলে অধিনায়ক দাসুন শানাকাকে অভিসম্পাত করতেই পারেন। টসে জিতে ফিল্ডিং নেওয়ার সিদ্ধান্ত যে তারই। দক্ষিণ আফ্রিকাকে ব্যাটিংয়ে পাঠানোর সিদ্ধান্ত শেষ পর্যন্ত আত্মঘাতী হিসেবেই প্রমাণিত হলো।
একের পর এক রেকর্ড ভেঙে চুরমার করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ, এক ইনিংসে প্রথমবারের মতো তিন সেঞ্চুরি, এর মধ্যে এইডেন মার্করাম করেছেন বিশ্বকাপ ইতিহাসের দ্রুততম সেঞ্চুরি।
দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে ৪২৮ রান তুলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। যা বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। আগের সর্বোচ্চ ছিলো আফগানিস্তানের বিপক্ষে ২০১৫ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার করা ৪১৭ রান।
লঙ্কান বোলারদের কচুকাটা করার কাজটা শুরু করেন প্রোটিয়া ওপেনার কুইন্টন ডি কক। তবে শুরুতেই দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা ফিরে যাওয়ার পর শানাকার সিদ্ধান্তই সঠিক মনে হচ্ছিল। ডি ককের সঙ্গে তিনে নামা রাসি ভ্যান ডার ডুসেন গড়েন ২০৪ রানের জুটি। ডি কক ৮৩ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করার পরের বলেই আউট হয়ে ফিরে যান। ডুসেনও তুলে নেন সেঞ্চুরি, ১০৮ রান করে আউট হন তিনি।
শ্রীলঙ্কা হয়তো তখন ভাবছিল দুই সেঞ্চুরিয়ানকে আউট করে দিয়ে ম্যাচে ফিরেছে তারা। কিন্তু ঝড় বাকি ছিলো আরেক প্রস্থ। বাকি দুই সেঞ্চুরিয়ানের থেকেও দুই কাঠি সরেস এইডেন মার্করাম। চার-ছয়ের ফুলঝুরি ছুটিয়ে বিশ্বকাপ ইতিহাসের দ্রুততম সেঞ্চুরি তুলে নিলেন তিনি।
৪৯ বলে নিজের ১০০ পূর্ণ করেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। কেভিন ও ব্রায়েনের ২০১১ বিশ্বকাপে করা ৫০ বলে সেঞ্চুরির রেকর্ড ভাঙেন মার্করাম। সেই সাথে এক ইনিংসে তিনটি সেঞ্চুরি এই প্রথম দেখল বিশ্বকাপ। ৫৪ বলে ১০৬ রান করে আউট হন মার্করাম।
ক্লাসেনের ২০ বলে ৩২, মিলারের ২১ বলে ৩৯ রানের ইনিংসগুলো দক্ষিণ আফ্রিকার রানের পাহাড়ের উচ্চতা আরও বাড়ায়।
শ্রীলঙ্কার বোলারদের মধ্যে ৮০ রানের ওপরে খরচ করেছেন চারজন। যাদের মধ্যে মাধুসানকা পেয়েছেন দুটি উইকেট। এই রান তাড়া করে জিততে হলে শ্রীলঙ্কাকেও নতুন ইতিহাস গড়তে হবে। এর আগে বিশ্বকাপে ৪০০'র বেশি রান তাড়া করে জেতেনি কোনো দল।