আরেকটি মাইলফলকে বাংলাদেশের প্রথম তামিম
বাংলাদেশ ক্রিকেটের অনেক প্রথমের গল্প লেখা হয়েছে তার হাত ধরে। যেকোনো ফরম্যাটেই রান করা, সেঞ্চুরি করায় তিনি অনন্য। এবার আরও একটি প্রথমের গল্প লিখলেন তামিম ইকবাল। বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে (তিন ফরম্যাট মিলিয়ে) ১৫ হাজার রান পূর্ণ করলেন জাতীয় দলের অভিজ্ঞ এই ওপেনার।
রান, সেঞ্চুরিতে সবার চেয়ে এগিয়ে থাকা তামিম ১৪ রান দূরে থাকতে সিলেটে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডে খেলতে নামেন। শুরুতেই আইরিশ বোলারদের রান তুলতে সংগ্রাম করতে হলেও সময় নিয়ে উইকেটে মানিয়ে নেন বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক। নবম ওভারের তৃতীয় বলে দুই রান নিয়ে মাইলফলক পূর্ণ করেন তিনি। এই বলে অবশ্য আউট হয়ে যেতে পারতেন তিনি। স্লগ করতে গিয়ে বল আকাশে উঠে যায়, কিন্তু জায়গাটি ছিল 'নো ম্যান্স ল্যান্ড।'
২০০৭ সালে অভিষেক হওয়া তামিম ৩৮৩টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে রান করেছেন ১৫ হাজার ৯। এর মধ্যে ৬৯ টেস্টে তার রান ৫ হাজার ৮২, যা বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ২৩৬ ওয়ানডেতে বাঁহাতি এই ওপেনারের রান ৮ হাজার ১৬৯, এই ফরম্যাটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সংগ্রাহক তিনি। সংক্ষিপ্ততম ফরম্যাট টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের জার্সিতে ৭৪ ম্যাচে তামিমের রান ১ হাজার ৭০১।
বাংলাদেশের একমাত্র ব্যাটসম্যান হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে সেঞ্চুরি আছে তামিমের। ওয়ানডেতে রানের মতো সেঞ্চুরির তালিকাতেও সবার উপরে তিনি। বাংলাদেশের প্রিয় ফরম্যাটে অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান ১৫টি সেঞ্চুরি করেছেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৯টি সেঞ্চুরি সাকিব আল হাসানের। টেস্টে তামিমের সেঞ্চুরি ১০টি, তার উপরে আছেন কেবল ১১টি সেঞ্চুরির মালিক মুমিনুল হক। তিন ফরম্যাট মিলিয়ে আন্তর্জাতিক রানে তামিমের পর আছেন মুশফিকুর রহিম, তার রান ১৩ হাজার ৭৬৬।
এই ম্যাচে বাংলাদেশের হয়েও ১৫ হাজার রান পূর্ণ করার সুযোগ ছিল তামিমের সামনে। কিন্তু ইনিংসটা বড় করা হয়নি, ৩১ বলে ৪টি চারে ২৩ রান করে আউট হয়ে যান তিনি। বাংলাদেশের জার্সিতে ১৫ হাজার রান পূর্ণ হতে তামিমের দরকার আর ৪৮ রান, ৩৭৯ ম্যাচে তার রান এখন ১৪ হাজার ৯৫২। ৭৮টি টি-টোয়েন্টি খেলা তামিম এই ফরম্যাটে ৪টি ম্যাচ বিশ্ব একাদশের হয়ে খেলেছেন, রান করেছেন ৫৭।