অনলাইনে টিকেট বিক্রি প্রসঙ্গে অস্পষ্ট ব্যাখ্যা বিসিবির প্রধান নির্বাহীর
ঘরের মাঠে প্রতিটি আন্তর্জাতিক সিরিজের আগে অনলাইনে টিকেট বিক্রির আলোচনা সামনে আসে। সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, বিসিবি কর্তারা মুখস্থ কিছু কথা বলে দেন। পরবর্তী কোনো সিরিজ থেকে অনলাইনে টিকেট বিক্রির আশ্বাস দেওয়া হয়। কিন্তু সেটা ওই আশ্বাস পর্যন্তই, অনলাইনে টিকেট বিক্রির কার্যক্রম আর বাস্তবতায় রূপ নেয় না।
ইংল্যান্ড সিরিজের আগেও একই ধরনের কথা জানানো হলো। তবে ক্রিকেটমোদীদের জন্য আশার খবর হতে পারে, আয়ারল্যান্ড সিরিজ থেকেই অনলাইনে টিকেট বিক্রি করতে আত্মবিশ্বাসী বিসিবি। কেন অনলাইনে টিকেট বিক্রি সম্ভব হচ্ছে না, এবার সেটারও 'কিছুটা' ব্যাখ্যা দেওয়া হলো। যদিও বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরীর সেসব ব্যাখ্যা পরিষ্কার নয়।
এক সময়ে অনলাইনে টিকেট বিক্রি হলেও সেটা এখন দূরের অতীত। এখন সিরিজ শুরুর আগের দিন টিকেট ছাড়া হয় কাউন্টারে। প্রতিপক্ষ বিবেচনায় কখনও কখনও দীর্ঘ লাইন পড়ে। টিকেট সংগ্রহ করতে ভোগান্তির শেষ থাকে না ক্রিকেটভক্তদের। আবার ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়েও অনেকে টিকেট সংগ্রহ করতে ব্যর্থ হন।
এসব ব্যাপার তুলে ধরে অনলাইনে টিকেট বিক্রি সম্পর্কে জানতে চাইলে নিজাম উদ্দিন চৌধুরী অনেকটা পুরনো কথা বললেন, 'অবশ্যই সম্ভব হবে, যদি আমরা করতে পারি এবং আমাদের সেই পরিকল্পনা রয়েছে। কিছু কারণে আমরা এবারও করতে পারিনি। আপনি যেটা বললেন, আসলেই মানুষের কষ্ট হয়। এটা কিছু কমফোর্ট দিতে পারে অবশ্যই, যদি অনলাইন বা ইউজার ফ্রেন্ডলি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম থাকে। এবারও পারিনি করতে। চেষ্টা করব আগামী অন্তত আয়ারল্যান্ড সিরিজ থেকে যেন থাকে।'
সেই 'কিছু কারণ' আসলে কী কী? উত্তরে বিসিবির প্রধান নির্বাহী যা বললেন, তাতে সন্তুষ্ট হওয়ার উপায় নেই। তিনি বলেন, 'সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ নেই। প্রযুক্তি ব্যবহার করে যদি এটা করা যায়… খুব একটা জটিল প্রক্রিয়া নয়। কিছু স্পন্সরের বিষয় থাকে, কিছু বাণিজ্যিক ব্যাপার থাকে। এই বিষয়গুলো আমরা চূড়ান্ত করতে পারিনি বলে…। হয়তো আমরা নিজেরা সরাসরি করে ফেলতে পারতাম। তবে একটা প্ল্যাটফর্ম, এরপর অন্যান্য যে বিষয়গুলো থাকে, এগুলো করে আমরা করে ফেলতে পারব।'
প্রতিটি সিরিজে টাইটেল স্পন্সর ও অন্যান্য স্পন্সরদের নাম-লোগোর ছাপ থাকে টিকেটে। প্রায় সব সিরিজেই একেবারে শেষ মুহূর্তে স্পন্সরশিপ চূড়ান্ত করে বিসিবি। যে কারণে টিকেটে নাম-লোগো দেওয়ার ব্যাপারটি নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। এটাকে প্রধানতম সমস্যা হিসেবে বলতে চাইলেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী। আর এর দায়টা নিজের উপর নিলেন তিনি।
নিজাম উদ্দিন চৌধুরীর ভাষায়, 'অবশ্যই প্রধান নির্বাহী হিসেবে দায় তো আমাকেই নিতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। এখন আমরা পেশাদার সিস্টেমের মধ্যে চলে এসেছি বললেও হবে না, ঢুকে গিয়েছি… আপনারা দেখেছেন, আমাদের যারা ভলান্টারি সার্ভিস দেয়, তাদের ভূমিকা খুব সীমিত হয়ে গিয়েছে। আমাদের যে বিসিবির পেশাদার ম্যানেজমেন্ট টিম আছে, এই টিমই পুরো ইভেন্ট পরিচালনা করছে। সেক্ষেত্রে দায়িত্বটি আমাদের কাঁধেই আসে এবং প্রধান নির্বাহী হিসেবে আমাকেই বলতে হবে।'