৩৪৫ ডলারের রোলেক্স যখন চার লাখ মার্কিন ডলার!
১৯৭৪ সালে ৩৪৫ দশমিক ৯৭ ডলার দিয়ে রোলেক্স মডেলের একটি ঘড়ি কিনেছিলেন আমেরিকান এক ব্যক্তি। ক্রয়ের ৪৫ বছর পর ঘড়িটির দাম শুনে চক্ষুচড়কগাছ বনে যান ওই ব্যক্তি নিজেই। একটি নিলামে ঘড়িটি তোলার পর তার মূল্য নির্ধারণ করা হয় ৪ লাখ মার্কিন ডলার!
তবে এই দামেই থেমে যাচ্ছেন না নিলামের মূল্য নির্ধারকরা। তাদের একজন বলেছেন, ঘড়িটির বয়স অনেক হওয়ায় এটির দাম কমপক্ষে পাঁচ থেকে সাত লাখ মার্কিন ডলার হওয়া উচিত।
আমেরিকার নর্থ ডেকোটায় ‘এনটিক রোডশো’ নামে একটি অনুষ্ঠানে ঘড়ির মালিক এই ব্যক্তিকে প্রথম উপস্থাপন করা হয়। তিনি মার্কিন বিমানবাহিনীর সাবেক একজন কর্মকর্তা।
তিনি জানান, স্কুবা ডাইভিংয়ে কাজে দেবে এমন ধারণা থেকেই ১৯৭৪ সালের নভেম্বরে এয়ারফোর্স বেইস এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে তিনি এই ঘড়িটির অর্ডার করেছিলেন। ঘড়িটি তার হাতে এসে পৌঁছায় ১৯৭৫ সালের এপ্রিলে।
নিজের পুরো মাসের বেতনে কেনা ওই ঘড়িটি হাতে পাওয়ার পর এই ব্যক্তির ধারণা হয়েছিল, সমুদ্রের লবণাক্ত পানিতে ডুব দেওয়ার জন্য এই ঘড়িটি নয়, কারণ ঘড়িটি দেখতে অনেক বেশি সুন্দর।
রোলেক্স অয়েস্টার কসমোগ্রাফ মডেলের ওই ঘড়িটি তৈরি করা হয়েছিল ১৯৭১ সালে।
ঘড়িটি ব্যবহার না করে সেটিকে সুরক্ষিত একটি বাক্সে যত্ন করে রেখে দিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। মাঝে মাঝে খুলে যাচাই করে দেখতেন ঠিক আছে কিনা।
মার্কিন বিমানবাহিনীর সাবেক এই কর্মকর্তা ঘড়িটিকে শুধু যত্ন করেই রাখেননি, তিনি ঘড়িটির সঙ্গে দেওয়া ওয়ারেন্টিপেপার, রোলেক্সের আসল ব্রুশিয়ার এবং ঘড়ির বাক্সটিকেও নিজের কাছে রেখে দেন।
পিটার প্লেইনস নামে ঘড়িটির একজন মূল্যনির্ধারণকারী জানান, সংগ্রাহকরা এই ঘড়িটি পছন্দ করবে কারণ মার্কিন তারকা অভিনেতা পল নিউম্যান তার ‘উইনিং’ সিনেমায় এই মডেলের একটি ঘড়িটি ব্যবহার করেছিলেন।
তিনি বলেন, “এটা সত্যিই একটি দারুণ সংগ্রহ। পল নিউম্যানের হাতে দেওয়া ঘড়ির মডেলগুলোর এটি একটি দুর্লভ সংস্করণ। আমি মনেকরি, এই মুহুর্তে এই মডেলের আর কোন ভালো সংস্করণ পৃথিবীতে নেই।”
প্লেইনসের ভাষ্য অনুযায়ী, অত্যন্ত দুর্লভ সংস্করণের অব্যবহৃত এই ঘড়িটির বর্তমানে দাম হওয়া উচিত পাঁচ লাখ থেকে সাত লাখ মার্কিন ডলার।