খালেদা জিয়ার জন্মদিন তিনটি, হাইকোর্টে ৬ সংস্থার প্রতিবেদন
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জন্ম সংক্রান্ত প্রতিবেদনে রাষ্টের ছয়টি সংস্থা তিনটি তারিখের কথা উল্লেখ করেছে।
মঙ্গলবার হাইকোর্টে দাখিল করা পুলিশ সদর দপ্তরের নথিতে দেখা যায়, বিএনপি নেত্রীর জন্মতারিখ ১৫ আগস্ট, ১৯৪৬। একই তথ্য পাওয়া গেছে ডিএমপির রিপোর্টেও।
তবে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ (এসবি) বলছে, খালেদা জিয়ার জন্মদিন, ১৯৪৬ সালের ৫ সেপ্টেম্বর। স্কুলে হাজিরা খাতা অনুযায়ী একই তারিখ রয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের নথিতেও।
কিন্তু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের রিপোর্টে দেখা গেছে ভিন্ন। তাদের মতে, বিএনপি নেত্রীর জন্মদিন ১৯৪৬ সালের ৮ মে। পুলিশের লিগ্যাল সেলও দিয়েছে একই তথ্য।
এরমধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রকৃত জন্মদিন কোনটি, তা ঠিক করবেন হাইকোর্ট।
এ বিষয়ে শুনানির জন্য বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) তারিখ ধার্য করেছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন।
এক রিটের প্রেক্ষিতে এর আগে গত ১৩ জুন ৬০ দিনের মধ্যে জন্মদিন সংক্রান্ত নথি আদালতে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ১৫ আগস্ট খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন বন্ধে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।
পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, নির্বাচন কমিশনের সচিব, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং সকল শিক্ষাবোর্ডকে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। সে অনুযায়ী জন্মদিন সংক্রান্ত নথি হাইকোর্টে এসেছে।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দু কুমার রায় ও বিপুল বাগমার।
আদালতে রিট আবেদন দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মামুন অর রশিদ।
আবেদনে খালেদা জিয়ার সব ধরনের সার্টিফিকেট (যেগুলোতে জন্মদিন ব্যবহার করা হয়েছে) আদালতে দাখিলের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। এছাড়া একটি (সিঙ্গেল) জন্মদিন নির্দিষ্ট করার নির্দেশনাও চাওয়া হয়েছিল।
রিট আবেদনে স্বরাষ্ট্রসচিব, স্বাস্থ্যসচিব, আইজিপি, ডিএমপি কমিশনার, গুলশান থানার ওসি এবং খালেদা জিয়াকে বিবাদী করা হয়েছে।