আবাসিক হলে কোনো ‘গণরুম’ রাখা যাবে না: ঢাবি সিন্ডিকেট
দীর্ঘ দেড় বছর পর আগামী ৫ অক্টোবর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। প্রথম দিনে শুধুমাত্র অনার্স ৪র্থ বর্ষ ও মাস্টার্সের শিক্ষার্থীরা হলে উঠতে পারবে। এরপর টিকাগ্রহণ সাপেক্ষে পর্যায়ক্রমে হলে উঠতে পারবেন অনার্স প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা।
দীর্ঘদিন ধরেই হলগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ না থাকায়, রাজনৈতিক কর্মসূচিতে যাওয়ার বিনিময়ে ক্ষমতাসীন দলগুলোর ছাত্রসংগঠন শিক্ষার্থীদের 'গণরুমে' তুলতো। ৬ জন শিক্ষার্থী থাকার কক্ষে ২০ থেকে ৪০ শিক্ষার্থীকে গাদাগাদি করে থাকতে দেওয়া হতো। তবে এবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ঘোষণা দিয়েছে, আবাসিক হলগুলোতে আগের মতো ঠাসাঠাসি করে বসবাস করা এবং কথিত কোন 'গণরুম' রাখা যাবে না।
শনিবার বিকেলে শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, "টিকা গ্রহণ সাপেক্ষে পর্যায়ক্রমে অনার্স ১ম, ২য় ও ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য নিজ নিজ আবাসিক হল খুলে দেয়া হবে। আবাসিক হলগুলোতে আগের মতো ঠাসাঠাসি করে বসবাস করা এবং কথিত কোন 'গণরুম' রাখা যাবে না। স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুধুমাত্র নিয়মিত আবাসিক শিক্ষার্থীরা হলে অবস্থান করবে।"
বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রেণি কার্যক্রম চালুর বিষয়ে ওই সভায় সিদ্ধান্ত হয়, "শতভাগ শিক্ষার্থী টিকা কার্যক্রমের আওতায় আসার পর সশরীরে শ্রেণি কার্যক্রমের তারিখ নির্ধারণ করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ বুদ্ধিজীবী ডা. মোহাম্মদ মোর্তজা মেডিকেল সেন্টারে টিকা প্রদান কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। যে সকল শিক্ষার্থী এখনও টিকা রেজিষ্ট্রেশন করেনি, তাদেরকে জাতীয় পরিচয়পত্র/জন্ম নিবন্ধন সনদ দিয়ে আগামী ২৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে রেজিষ্ট্রেশনের আওতায় এসে টিকা গ্রহণের জন্য বলা হয়েছে।"