৩ বছর মেয়াদি মধ্যর্বর্তীকালীন পুনরুদ্ধার পরিকল্পনার দাবি বিএনপির
কোভিড-১৯-এর কারণে হওয়া অর্থনৈতিক ক্ষতি প্রশমিত করার জন্য সরকারের অবশ্যই একটি ৬ মাসের বিশেষ অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট প্রবর্তন করা দরকার বলে আজ শুক্রবার জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রাজধানীর গুলশানে বিএনপি কার্যালয়ে আসন্ন ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট প্রসঙ্গে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি দাবি করেন, পূর্ববর্তী বাজেট বাস্তবায়নে সরকার ব্যর্থ হয়েছে।
গতানুগতিক বাজেট থেকে সরে এসে একটি তিন বছর মেয়াদি পুনরুদ্ধার পরিকল্পনা করারও দাবি জানান মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, যথাযথ উন্নয়ন এবং গরিবের জন্য সাহায্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে এটির দরকার রয়েছে।
'লুটপাট'কে বৈধতা দেওয়ার উদ্দেশে আসন্ন বাজেটেও কালো টাকা সাদা করার অপশন রাখবে সরকার- এমন মন্তব্যও করেন তিনি।
বছরের পর বছর ধরে বিরাট আকারের বাজেট এবং বার্ষিক উন্নয়ন পরিকল্পনা (এডিপি) ঘোষণা করা হলেও বরাদ্দকৃত অর্থের যথাযথ ব্যবহার করতে সরকার ব্যর্থ হয়েছে বলেও দাবি করেন বিএনপি মহাসচিব।
তিনি বলেন, বর্তমান অর্থবছরে (২০২০-২১) এডিপির মাত্র ৪৯. ৯ শতাংশ বাস্তবায়ন হয়েছে। আগামী ২ মাসের মধ্যে ১,০৬,৫৪২ কোটি টাকা খরচ করতে হবে। মন্ত্রণালয় যদি বরাদ্দ খরচ করতে সক্ষম না হয়, তাহলে এই বাজেটের মানে কী?
মহামারির সময় কোভিড-১৯-এর প্রভাবকে গুরুত্ব না দিয়ে বড় আকারের বাজেট ঘোষণার প্রস্তুতি নেওয়াকে সরকারের প্রহসন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
এর আগে, ২০২০ সালে মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধারের জন্য একটি তিন বছরের পুনরুদ্ধার পরিকল্পনা সহকারে একটি মধ্যবর্তী বাজেট কাঠামোর প্রস্তাব দিয়েছিল বিএনপি।
১৯৯১ সালে সংসদীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার পর বিএনপি দুই মেয়াদে ক্ষমতায় ছিল এবং ১০টি বাজেট দিয়েছিল। দুই মেয়াদেই অর্থমন্ত্রী হিসেবে সাইফুর রহমান ১৯৯১-৯৫ অর্থবছর এবং ২০০২-০৭ অর্থবছরগুলোর বাজেট ঘোষণা করেছিলেন।