ঈদের সময়সূচীতেই চলবে ব্যাংকে লেনদেন
কোভিডের সংক্রমণ রোধে বিধিনিষেধের সময় আবারও বাড়ায়, ২৩ মে পর্যন্ত সরকারি ও সাপ্তাহিক ছুটির দিন ছাড়া সীমিত আকারে ব্যাংকে লেনদেনের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত লেনদেন চলবে।
তবে লেনদেন পরবর্তী কার্যক্রম সম্পন্ন করতে ব্যাংকারদের বিকেল সাড়ে তিনটা পর্যন্ত অফিসে থাকতে হবে। ঈদের আগে ব্যাংকের লেনদেন সময়সীমা এক ঘণ্টা বাড়িয়ে দুপুর ২টা পর্যন্ত করা হয়েছিল।
রোববার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফসাইট সুপারভিশন (ডিওএস) নতুন নির্দেশনা দিয়ে সার্কুলার ইস্যু করেছে। নতুন সময়সীমা ছাড়া গেল ১৩ এপ্রিল জারি করা সার্কুলারের অন্যান্য নির্দেশনা বহাল থাকবে।
ওই নির্দেশনায় (১৩ এপ্রিল) বলা হয়েছিল, সরকারি ও সাপ্তাহিক ছুটির দিন ছাড়া নতুন সময়সীমা অনুযায়ী ব্যাংকিং কার্যক্রম চলবে। বিধি-নিষেধ চলাকালে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়সহ অনুমোদিত সকল ডিলার (এডি) শাখা ও জেলা সদরে অবস্থিত ব্যাংকের সদর শাখা খোলা রাখতে হবে।
এছাড়া সিটি কর্পোরেশন এলাকার প্রতি দুই কিলোমিটারের মধ্যে একটি শাখা (এডি শাখা খোলা না থাকলে) খোলা রাখতে হবে।
অন্যদিকে, উপজেলা পর্যায়ে প্রতিটি ব্যাংকের একটি শাখা রোব, মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার খোলা রাখতে হবে।
এর বাইরে সমুদ্র, স্থল, বিমান বন্দর এলাকায় অবস্থিত ব্যাংকের শাখা উপ-শাখা, বুথসমূহ সার্বক্ষণিক খোলা থাকবে। তবে স্থানীয় প্রশাসনসহ বন্দর, কাস্টমস কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্যবিধি পরিপালনে যথাযথ ভূমিকা গ্রহণ করবেন।
সীমিত জনবল দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু রাখাতে হবে। এছাড়া ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারি স্ব স্ব অফিসে আনা-নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।
তবে যেসব ব্যাংক নিজস্ব ব্যবস্থপনায় যাতায়াত নিশ্চিত করতে পারছে না, তাদেরকে যাতায়াত ভাতা দিতে গত ২২ এপ্রিল নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এদিকে, গ্রাহকদের হিসাবে সব ধরনের লেনদেন সুবিধা অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক চালু রাখা বিভিন্ন পেমেন্ট সিস্টেমের ক্লিয়ারিং ব্যবস্থার আওতাধীন সকল লেনদেন সুবিধা প্রদান নিশ্চিত করতে হবে।
নগদ টাকার যেন সংকট না হয় সেজন্য এটিএম বুথগুলোতে পর্যাপ্ত টাকা রাখার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি বুথ থেকে দৈনিক টাকার তোলার সীমা ৫০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ লাখ টাকা করা হয়েছে।
মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্ট পয়েন্ট যথেষ্ট পরিমাণে নগদ টাকা রাখাও নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এদিকে, ব্যাংকের পাশাপাশি নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো স্বাস্থ্যবিধি মেনে সরকারি ও সাপ্তাহিক ছুটির দিন ব্যতীত আগামী ২৩ মে পর্যন্ত সীমিত পরিসরে চালু রাখার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ (ডিপার্টমেন্ট অব ফিনানসিয়াল ইন্সটিটিউশন্স অ্যান্ড মার্কেটস)।
নির্দেশনায় বলা হয়, ঋণের কিস্তিগ্রহণ, মেয়াদপূর্তিতে স্থায়ী আমানত নগদায়নের মতো জরুরি আর্থিক সেবা দিতে নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সংশ্লিষ্ট শাখা সকাল ১০টা থেকে বিকেল ২টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। তবে ঢাকায় একটি এবং ঢাকার বাইরে একটিসহ মোট দুটি শাখা খোলা রাখা যাবে।