ওসির অপসরণের শর্তে হাটহাজারীর অবরোধ তুলে নিতে রাজি হেফাজত
শুক্রবার দুপুর থেকে ৪৮ ঘন্টার বেশি সময় ধরে অবরুদ্ধ চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়ক থেকে অবরোধ তুলে নিতে সম্মত হয়েছেন হেফাজতে ইসলামের নেতারা। তবে এর আগে হাটহাজারী থানার ওসি রফিকুল ইসলামের অপসারণ দাবী করেছেন হেফাজত আমির আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী।
রোববার দুপুর তিনটায় হাটহাজারীতে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়কের ত্রিবেণী মোড়ে আয়োজিত এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দেন।
বাবুনগরী বলেন, "তৌহিদী জনতার অংশগ্রহণে শান্তিপূর্ণভাবে হরতাল পালিত হচ্ছে। হরতালে অংশগ্রহণকারীদের মোবারকবাদ জানাই। আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে কেউ উস্কানিমূলক কাজ করবেন না। হরতাল শেষে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়কের ব্যারিকেড তুলে দেওয়া হবে। ছাত্রদেরকে এ বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।"
তিনি আরও বলেন, "শুক্রবার বিনা উস্কানিতে পুলিশ মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের উপর গুলি চালিয়েছে। তাই এ ঘটনার দায়িত্ব পুলিশ প্রশাসনকে নিতে হবে। অবিলম্বে হাটহাজারী থানার ওসিকে প্রত্যাহার করতে হবে। এছাড়া চট্টগ্রাম মেডিকেলে চিকিৎসাধীন আহত ২০ নেতাকর্মীর সুচিকিৎসার নিশ্চয়তা ও ব্যবস্থা সরকারকেই নিতে হবে।"
হরতাল শেষে হেফাজতের সুরা কমিটির সঙ্গে আলাপ করে পরবর্তী কর্মসূচি দেওয়া হবে বলেও জানান জুনায়েদ বাবুনগরী।
ভারতের রাষ্ট্রপতি নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আগমনকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট বিক্ষোভে চারজন নিহতের জেরে গত শুক্রবার থেকে টানা তিনদিন ধরে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়ক অবরোধ করে রেখেছে হেফাজত ইসলামের নেতাকর্মীরা।
হেফাজত কর্মীরা ওই সড়কে প্রায় ১০ ফুট উচু দেওয়াল তৈরী প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছেন এবং রাস্তার বিশাল এলাকা খুঁড়ে গর্তের সৃষ্টি করা হয়েছে। তিনদিন ধরে প্রশাসনের বারবার অনুরোধও হেফাজত কর্মীরা এ অবরোধ তুলেনি। ফলে ওই সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় চট্টগ্রামের সঙ্গে খাগড়াছড়ি, ফটিকছড়ি ও নাজিরহাট এলাকার যোগাযোগ পুরোপুরি বিছিন্ন রয়েছে।