আদালতের রায় আমার পরিবারে শান্তি ফেরাবে না: অভিজিতের স্ত্রী

ব্লগার অভিজিৎ রায়ের নির্মম হত্যাকাণ্ডের মামলার রায় নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন নিহতের স্ত্রী বন্যা আহমেদ।
বিচার বহির্ভূত আরও কিছু হত্যাকাণ্ডের কথা উল্লেখ করে বন্যা বলেন, "চরমপন্থার উত্থানকে অবহেলা করে এবং তার মূল উৎপাটন না করে; শুধু কিছু মাঠ-পর্যায়ের কর্মীকে শাস্তি দিয়ে অভি বা অন্যান্য ব্লগার, প্রকাশক এবং সমকামীদের হত্যার ঘটনায় ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়। অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডের আগে ও পরে সংগঠিত এসব ঘটনাকে তিনি পরিকল্পিত 'সিরিয়াল কিলিং' বলেও উল্লেখ করে।
'এ রায় আমার বা অন্যান্য নিহতদের পরিবারে শান্তি ফেরাবে না' আজ মঙ্গলবার নিজ ফেসবুক অ্যাকাউন্টে করা এক পোস্টে জানান বন্যা।
সেখানে তিনি অভিযোগ করেন, অভিজিতের উপর হামলার ঘটনায় তিনি প্রত্যক্ষদর্শী ও সরাসরি ভিকটিম হওয়া সত্ত্বেও; বিগত ছয় বছরে মামলার অনুসন্ধানে জড়িতদের কেউই তার সঙ্গে যোগাযোগ করেনি।
"গত জানুয়ারিতে মামলায় নিয়োজিত রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জনসম্মুখে মিথ্যাচার করেছেন। তিনি দাবি করেন, আমি এই হত্যার ঘটনার সাক্ষী হতে রাজি হইনি। আসল সত্যি হলো, বাংলাদেশ সরকার বা বিচারকাজে জড়িতদের কেউই আমার সঙ্গে কখনো যোগাযোগের চেষ্টা করেননি।"
এর আগে, আজ মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার একটি আদালত অভিজিৎ রায়কে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যার দায়ে পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার রায় দেন। এসময় মুক্তমনা ব্লগের এই প্রতিষ্ঠাতা এবং লেখকের হত্যায় জড়িত থাকার দায়ে অপর এক আসামীকে আজীবন কারাবাস দেওয়া হয়।
সম্প্রতি পরলোকগত পদার্থবিদ অজয় রায়ের পুত্র ছিলেন অভিজিৎ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে টিএসসি'র সামনে তাকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এসময় অভিজিৎ ও বন্যা দম্পতি অমর একুশে গ্রন্থমেলা থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। আততায়ীদের হামলা ঠেকাতে গিয়ে বন্যা নিজেও গুরুতর আহত হন।
এঘটনার পরের দিন অভিজিতের বাবা শাহবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।