রপ্তানি মূল্য বাড়ায় পেঁয়াজের দাম আরও বেড়ে যাবার শঙ্কা
ভারতে বন্যার কারণে উৎপাদন কম হওয়ার অজুহাতে পেঁয়াজের রপ্তানি মূল্য বাড়ানো হয়েছে। গত দু’মাসের ব্যবধানে দু’দফায় এ মূল্য বাড়িয়ে প্রতি মেট্রিক টনের দাম ধরা হয়েছে ৮৫২ মার্কিন ডলার।
তবে নতুন মূল্যের পেঁয়াজ দেশে আসতে এখনও দু’-তিন দিন সময় লাগবে। কিন্তু ব্যবসায়ীরা এরই মধ্যে আগে আমদানিকৃত পেঁয়াজের দামও বাড়িয়ে দিয়েছেন। আশঙ্কা করা হচ্ছে, প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ৮০-৯০ টাকা পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে।
এদিকে, শনিবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুসারে, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ বোঝাই কোনো ট্রাক আসেনি।
হিলির ব্যবসায়ীরা বলছেন, এক বছর আগে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানিতে ‘রপ্তানি মূল্য’ তুলে নিয়েছিল ভারত সরকার। তাই তখন বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা কোনো রপ্তানি মূল্য ছাড়াই ন্যূনতম ১৫০ থেকে ২০০ ডলার দিয়ে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি করতেন। বন্দরের ব্যবসায়ীরাও ১৫-২০ টাকা করে পাইকারি মূল্যে পেঁয়াজ বিক্রি করতেন। কিন্তু গত দু’মাসে দাম আবার ৩৫০ থেকে ৪০০ ডলার হয়ে গিয়েছে। তাতে পাইকারি মূল্য বেড়ে হয়েছে ৩২-৩৬ টাকা।
ভারতের হিলির ব্যবসায়ী পান্না ও অনিল ঠাকুর জানান, মহারাষ্ট্র ও উত্তর প্রদেশসহ বিভিন্ন প্রদেশে বন্যায় পেঁয়াজ উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। এসব অঞ্চলেই পেঁয়াজ উৎপাদনের হার বেশি। বন্যার কারণে ওসব প্রদেশে সংকট দেখা দেওয়ায় পেঁয়াজের দাম বাড়ছে।
দু’মাস ধরে ৩৫০ থেকে ৪০০ ডলারে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি করা হচ্ছে বলে তারা জানান। এখন এটা বাড়িয়ে ৮৫২ ডলার করা হয়েছে। বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানির বিষয়টি নিরুৎসাহিত করতেই ভারত সরকার এ পদক্ষেপ নিয়েছেন বলে তাদের ধারণা। এ দামের পেঁয়াজ অবশ্য এখনও বাংলাদেশে রপ্তানি করা শুরু হয়নি।
ভারতের ব্যবসায়ীরা জানান, ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৪০ থেকে ৫০ রুপিতে বিক্রি হচ্ছে এখন। এই দাম নিয়েও তারা চিন্তিত।
হিলি বন্দরের আমদানিকারক মোবারক হোসেনের সঙ্গে কথা হল। ভারত থেকে ৩৫০ থেকে ৪০০ ডলারে পেঁয়াজ আমদানির প্রসঙ্গে বললেন, এর ফলে বন্দরের মোকামে পেঁয়াজ প্রকারভেদে বিক্রি হয়েছে ৩২ থেকে ৩৬ টাকায়। গত বৃহস্পতিবার আবার প্রতি কেজিতে দু’টাকা বেড়ে বিক্রি হয়েছে ৩৮ টাকায়।
“নতুন মূল্যে, মানে ৮৫২ টাকা দরে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হলে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ৭২ টাকার মতো পড়বে। পেঁয়াজ আমদানি নিয়ে আমরা ব্যবসায়ীরাও তাই শঙ্কিত। কী করব বুঝতে পারছি না,” যোগ করেন মোবারক।