বাসের ভাড়া কিলোমিটারে কমল ৩ পয়সা
জ্বালানি তেলের দাম কমানোর পর মহানগর ও দূরপাল্লার রুটে চলাচলকারী ডিজেলচালিত বাসের ভাড়া প্রতি কিলোমিটারে ৩ পয়সা কমিয়েছে সরকার। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) ভাড়া নির্ধারণ কমিটির সুপারিশের পর ভাড়া কমানো হলো।
আজ সোমবার সন্ধ্যায় এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ। আগামীকাল মঙ্গলবার থেকেই নতুন ভাড়া কার্যকর হবে।
বিভাগের উপসচিব মনিরুল আলম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, দূরপাল্লার বাসে প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া ২ টাকা ১৫ পয়সা থেকে কমে হবে ২ টাকা ১২ পয়সা। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহানগরীতে অভ্যন্তরীণ রুটের বাসের ভাড়া ২ টাকা ৪৫ পয়সা থেকে কমে হবে ২ টাকা ৪২ পয়সা। এই দুই শহরের বাসের সর্বনিম্ন ভাড়া হবে ১০ টাকা। মিনিবাসে কিলোমিটারে ভাড়া হবে ২ টাকা ৩২ পয়সা। মিনিবাসে সর্বনিম্ন ভাড়া হবে ৮ টাকা।
এর আগে আজ দুপুরে রাজধানীর বনানীতে বিআরটিএ সদর দপ্তরে ভাড়া নির্ধারণ কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। ডিজেলের দাম দুই দফায় লিটারে ৩ টাকা কমায় সভা থেকে বাস ভাড়াও কিলোমিটার প্রতি ৩ পয়সা কমানোর সুপারিশ করা হয়।
এদিকে দফায় দফায় জ্বালানি তেলের দাম কমলেও হিস্যা অনুযায়ী বাস ভাড়া কমানোর পরিবর্তে প্রতি কিলোমিটারে মাত্র ৩ পয়সা কমিয়ে সরকার যাত্রীদের সঙ্গে তামাশা করছে বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
আজ দুপুরে সংবাদ মাধ্যমে সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরীর পাঠানো বিবৃতিতে এ অভিযোগ করা হয়।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ঈদযাত্রায় দেশের বিভিন্ন রুটে যাতায়াতকারী বেশিরভাগ বাসে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য শুরু হয়েছে। এমন সময়ে দুই দফা জ্বালানি তেলের দাম কমানোর পর সরকার আজ বাসের ভাড়া প্রতি কিলোমিটারে মাত্র ৩ পয়সা কমানোর ঘোষণা দিয়েছে, যা কোনোভাবেই কার্যকরযোগ্য নয়। ইতোপূর্বে সরকার ২০১১ সালে বাসের ভাড়া ২ পয়সা কমিয়েছিল। এর সুফল যাত্রী সাধারণ পায়নি।
এরপর ২০১৬ সালে জ্বালানি তেলের মূল্য কমানোর কারণে বাসের ভাড়া ৩ পয়সা কমানোর সুফল থেকেও যাত্রীরা বঞ্চিত হয়েছে। ঠিক একই পন্থায় বাস মালিকদের বিশেষ সুবিধা দিতে এবারও বাস ভাড়া ৩ পয়সা কমানোর সুফল কোনো পরিবহনে মিলবে না। এতে জ্বালানি তেলের মূল্য কমানোর সুফল কেবল বাস ও অন্যান্য পরিবহনের মালিকেরা ভোগ করলেও দেশের জনগণ বঞ্চিত হবে।
বিবৃতিতে অনতিবিলম্বে উল্লেখযোগ্য হারে জ্বালানি তেলের দাম কমিয়ে দেশের সাধারণ নাগরিকদের সামর্থ্য বিবেচনায় গণপরিবহণ ভাড়া উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়ে আনার দাবি জানানো হয়।